ঢাকা ২৫শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই ফাল্গুন, ১৪২৭ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৭:৫২ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৩, ২০২১
নিজস্ব প্রতিবেদক
দেশের অন্যান্য স্থানের মতো সিলেটে জেঁকে বসেছে শীত। ঘন কুয়াশা আর ঠান্ডায় জনজীবনেও এর প্রভাব পড়ছে। তবে দিনের বেলা রৌদ্র থাকায় তীব্রতা একটু কম অনুভ‚ত হলেও রাতের পুরোপুরি জেঁকে ও ডেকে বসে শীত। এমন বাস্তবতায় শীত নিবারনে ভিড় বেড়েছে শীতবস্ত্রের বাজারে। ধুম পড়েছে শীতের কাপড় কেনাকাটায়। যে যার সাধ্যমত পুরাতন আর নতুন শীতের পোশাক পরে শীত থেকে বাঁচার চেষ্টা করছে। গ্রামাঞ্চলে শীতের তীব্রতা বেশি হওয়ায় শীতবস্ত্র কিনতে অনেক নগরে এসে ভিড় করছেন। আবার স্থানীয় বাজারগুলোতে বসানো হয়েছে শীতবস্ত্রের দোকান। বিভিন্ন সংস্থা ও সংগঠনের পক্ষে ছিন্নমূল মানুষের মধ্যে বিতরণও করা হচ্ছে কম্বল ও শীতবস্ত্র।
সরেজমিনে নগরের বিভিন্ন মর্কেট, ফুটপাত ও রাস্তা ঘুরে দেখা যায়, নগরের কীনব্রিজ, রেল স্টেশন এলাকা, হকার্স মার্কেট, পৌর মার্কেট, মধুবন সুপার মার্কেট, কানিজপ্লাজা, আলহামরা, মিলেনিয়াম, বøুওয়াটার, শুকরিয়া মার্কেট, ফেডারেল মার্কেটসহ জিন্দাবাজার, কোর্ট পয়েন্ট, মদিনা মার্কেট ইত্যাদি ফুটপাত ও রাস্তা শীতবস্ত্র কেনাবেচায় সরগরম। বিকেল হলেই জমজমাট হয়ে ওঠে এসব শীত কাপড়ের দোকান। সম্প্রতি সিলেট সিটি করপোরেশন ফুটপাত ও হকার উচ্ছেদে জিরো টলারেন্সে নামায় রাস্তা ও ফুটপাতে আপাতত শীতবস্ত্রের বেচাকেনা খানিকটা বন্ধ রয়েছে।
তবে লালদিঘিীর পারে সদ্য বসানো সোফা (খোলা) বাজারসহ বিভিন্ন পাড়া-মহল্লার রাস্তা ও ফুটপাতে বিক্রি হচ্ছে গরম কাপড়। প্রতিটি মার্কেট ও ফুটপাতে দেখা যাচ্ছে শীতের বাহারি রকমের পোশাক। তবে মার্কেট ও অভিজাত বিপনী বিতানগুলোতে নতুন বেøজার, জ্যাকেট, সুইটারের দাম একটু বেশি।
নগরের পাঠনটুলার এক পুরাতন ব্যবসায়ী মতিন জানান, মোটামুটি ভালই বেচাকেনা হচ্ছে। প্রতিদিন ৩-৪ হাজার টাকা পুরাতন কাপড় বিক্রি হয়ে থাকে।
মদিনা মর্কেটের আরেক ফুটপাত ব্যবসায়ী আমির আলী জানান, কোন-কোনদিন খুব ভাল বেচাকেনা হয়, আবার কোনদিন বেচাকেনা কম। তবে এভারেজে তার ৩-৪ হাজার টাকা বেচাকেনা আছেই।
অন্যদিকে, স্টেশনের পুরাতন কাপড় ব্যবসায়ী মোহণ লাল জানান, আগের চেয়ে বেচাকেনা ভালই। পুরাতন কাপড় ব্যবসা হচ্ছে সিজনাল। তাই ভাল বেচাকেনা না হলে চলা যায় না।
শীতবস্ত্রের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিটা পুরাতন জ্যাকেট বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকায়। আর শিশুদের কাপড় বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ৩০০ টাকায়। তবে প্রতিটা পোশাক মার্কেট থেকে অনেক সহজলভ্য। যে কারণে, সাধ আর সাধ্যের মেলবন্ধন ঘটাতে মানুষ ছুটছে পুরাতন কাপড়ের বাজার ও দেকানে।
অপরদিকে সিলেটে ইদানীং শীত পড়লেও রোদ থাকায় শীতের তীব্রতা কিছুটা সহনশীল। যদিও জানুয়ারির মাঝামাঝিতে আরেকটা শৈত্যপ্রবাহের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। ফলে এখনও শীত নিবারণে শীত কাপড়ের বাজারে ছুটছে মানুষ।
সম্পাদক ও প্রকাশক : জে.এ কাজল খান
Design and developed by syltech