ঢাকা ১৭ই এপ্রিল, ২০২১ খ্রিস্টাব্দ | ৪ঠা বৈশাখ, ১৪২৮ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১১:২১ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ১২, ২০১৮
গোলাম মর্তুজা বাচ্চু
সিলেট পল্লীবিদ্যু সমিতি ২-এর রয়েছে ৪ হাজার কিলোমিটার লাইন, ১লাখ ৫১ হাজার গ্রাহক এবং ৬টি সাবস্টেশন। এসব সাবস্টেশন থেকে পরিচালিত হয় সমিতির কর্যক্রম। সরবরাহ করা হয়ে থাকে বিদ্যুৎ। সরবরাহ অনুপাতে গ্রাহক সংখ্যা বেশি হওয়ায় দুর্ভোগ পোহাতে হয় গ্রাহকদের। তাই গ্রাহকদের চাহিদা মেটাতে আরো দুটি সাস্টেশন নির্মাণ কাজ হাতে নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
সমিতির জেনারেল ম্যানেজার আবু হানিফ মিয়া জানান, প্রতিমাসে সমিতি সোয়া ৪ কোটি টাকার বিদ্যুৎ বিক্রয় করে থাকে। এই বিক্রয় গড় হিসেবে হয়ে থাকে। বর্তমান সরকারের আমলে পল্লীঅঞ্চলে শতভাগ বিদ্যুতায়নের লক্ষ্যে জৈন্তাপুর ও সদর উপজেলায় সিলেট পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-২ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। কিন্তু সমিতির কার্যএলাকা দূর্গম হওয়ায় অনেক ক্ষেত্রে গ্রাহকদের বিদ্যুৎবিল পরিশোধে অসুবিধে হয়ে থাকে। শতভাগ রাজস্ব আয়ের সুবিধার্থে ও বিদ্যুত সরবরাহ সহজতর করার লক্ষ্যে বর্তমানে সমিতি কার্য এলাকায় আরো ২ টি সাবস্টেশন নির্মাণ কাজ হাতে নিয়েছে। এগুলো হচ্ছে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় ও জৈন্তাপুরের ফতেহপুরে। ইতোমধ্যে একটির নির্মান কাজ শুরু হয়েছে এবং অপরটি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
তবে ভোক্তভোগী গ্রাহকদের অভিযোগ, দেশব্যাপী শতভাগ বিদ্যুতায়নে প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাস থাকলেও পল্লী অঞ্চলে লোডশেডিংয়ের কারণে পল্লীবিদ্যুত সমিতির গ্রাহকসেবা দারুনভাবে বিঘিœত হচ্ছে। ঘন্টার পর ঘন্টা বিদ্যুৎবিভ্রাটের করণে গ্রাহকদের চরম দূর্ভোগ পোহাতে হয়। গ্রাহকরা কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করলে সবসময় তাদের বলা হয় একই কথা, আর তা হচ্ছে কাজের জন্যই বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে।
এ ব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পল্লীবিদ্যুৎ কর্মকর্তা জানান, সমিতির এলাকা দূর্গম হওয়ায় কোথাও ট্রান্সফর্মার বা লাইনে গোলগোয দেখা দিলে সাথে সাথে মেরামত করা সম্ভব হয় না বিধায় গ্রাহকদের দূর্ভোগ পোহাতে হয়। তবে পল্লী বিদ্যুত সমিতি-২ কর্তৃপক্ষ গ্রাহকদের দূর্ভোগ লাগবে যথাসাধ্য চেষ্টা অব্যাহত রেখে চলেছে বলে জানান তিনি।
সম্পাদক ও প্রকাশক : জে.এ কাজল খান
Design and developed by syltech