ঢাকা ১৬ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২রা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১০:৫৩ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৯, ২০১৯
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি : সুনামগঞ্জের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে অবাধে পাচাঁর করা হচ্ছে গরু,মদ,গাঁজা,ইয়াবা, বিড়ি,অস্ত্র ও কয়লা। পাচাঁরের সময় পৃথক অভিযান চালিয়ে ১২০ কেজি (৩বস্তা) চোরাই কয়লা ও ১টি ইঞ্জিনের নৌকা বোঝাই গরুর চালানসহ ১জনকে আটক করেছে বিজিবি ও ইউএনও। এলাকাবাসী জানায়, শনিবার ভোর ৪টায় জেলার তাহিরপুর উপজেলার টেকেরঘাট ও বালিয়াঘাট সীমান্তের চুনাপাথর খনি প্রকল্প ও লাকমা এলাকা দিয়ে বিজিবি ও পুলিশের সোর্স পরিচয়ধারী ল্যাংড়া বাবুল,মানিক মিয়া ও রহমত আলী ১ বস্তা কয়লা থেকে বিজিবি ক্যাম্পের নামে ৫০টাকা,টেকেরঘাট পুলিশ ফাঁড়ির নামে ৩০টাকা ও স্থানীয় কয়েকজন সাংবাদিকের নামে ২০টাকা চাঁদা নিয়ে ভারত থেকে ১০ মে.টন কয়লা পাচাঁর করে এবং পুলিশ ও বিজিবি ক্যাম্প সংলগ্ন পুটিয়া গ্রামে নিয়ে নৌকা বোঝাই করে পার্শ্ববর্তী বিন্দারবন্দ গ্রামে নিয়ে মজুত করে।
.
কিন্তু এব্যাপারে কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। অন্যদিকে চাঁরাগাঁও সীমান্তের ১১৯৬পিলার সংলগ্ন লালঘাট পশ্চিমপাড়া ও বাঁশতলা এলাকা দিয়ে বিজিবি ও পুলিশে সোর্স পরিচয়ধারী আব্দুল আলী ভান্ডারী,দীপক মিয়া, খোকন মিয়া ও রমজান আলীসহ আরো ১জন সোর্স ১বস্তা কয়লা পাচাঁরের জন্য পুলিশ,বিজিবি ও সাংবাদিকদের নাম ভাংগিয়ে ১২০টাকা করে চাঁদা নিয়ে ভারত থেকে ৮ মে.টন অবৈধ কয়লার সাথে কয়লার বস্তার ভিতরে করে বিপুল পরিমান মদ,গাঁজা ও ইয়াবা পাচাঁর করে। বিজিবি এখবর পেয়ে সোর্সদের সহযোগী সদস্য চোরাচালানী জসিম মিয়ার বাড়ি থেকে মাত্র ৩বস্তা (১২০কেজি) কয়লা আটক করে। এর আগে গতকাল শুক্রবার সকাল ৮টায় চাঁনপুর ও লাউড়গড় সীমান্তের রাজাই,বারেকটিলা, কড়ইগড়া,যাদুকাটা নদী ও সাহিদাবাদ এলাকা দিয়ে চোরাচালানীরা ভারত থেকে শতাধিক গরু পাচাঁর করে শিমুলতলা,শান্তিপুর,বাদাঘাট,গাগটিয়া ও বারহাল এলাকায় নিয়ে মজুত করাসহ ৩৯টি গরু ১টি ইঞ্জিনের নৌকা বোঝাই করে নদীপথে ধর্মপাশা নিয়ে যাওয়ার সময় খবর পেয়ে তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনতাসির হাসান পলাশ অভিযান চালিয়ে টাংগুয়ার হাওর থেকে শফিক মিয়া নামের চোরাচালানীকে সহ নৌকা বোঝাই গরুর চালান আটক করেন। কিন্তু গরুগুলো পাচাঁরের সময় বিজিবি কোন পদক্ষেপ নেয়নি এবং পাচাঁরকৃত ১টি গরু থেকে বিজিবি ক্যাম্পের নামে ৩হাজার টাকা,থানার নামে ১৫০০টাকা,স্থানীয় কয়েকজন সাংবাদিকদের নামে ১হাজার টাকা,চেয়ারম্যানের নামে ১হাজার টাকা,২মেম্মারের নামে ১হাজার টাকা চাঁদা নিয়েছে বিজিবি ও পুলিশের সোর্স পরিচয়ধারীরা বলে এলাকাবাসী জানায়। এছাড়া চাঁনপুর সীমান্তের নয়াছড়া,চাঁরাগাঁও সীমানের চাঁরাগাঁও ছড়া,কলাগাঁও ছড়া,লালঘাট ছড়া,টেকেরঘাট সীমান্তের বরুঙ্গাছড়া, টেকেঘাট ছড়া,বালিয়াঘাট সীমান্তের লাকমা ছড়ায় শতশত মে.টন চুনাপাথর ও বল্ডার পাথর ভারত থেকে এনে অবৈধ ভাবে মজুত করে রাখা হয়েছে কিন্তু এব্যাপারে কোন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। এব্যাপারে চাঁরাগাঁও ক্যাম্প কমান্ডার দিলোয়ার বলেন,আমাদের কোন সোর্স নাই,কয়লা পাচাঁরের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ৩বস্তা জব্দ করি কোন লোক পাইনি। সুনামগঞ্জ ২৮ব্যাটালিয়নের বিজিবি অধিনায়ক মাকসুদল আলমের সরকারী মোবাইল নাম্বারে (০১৭৬৯-৬০৩১৩০) বারবার কল করার পরও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
সম্পাদক : জে.এ কাজল খান
স্বত্ত্ব: দৈনিক বিজয়ের কণ্ঠ (প্রিন্ট ভার্সন)
০১৭১৮৩২৩২৩৯
Design and developed by syltech