গোয়াইনঘাটে জলমহাল নিয়ে সংঘর্ষের আশংকা

প্রকাশিত: ২:৩২ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৮, ২০২০

গোয়াইনঘাটে জলমহাল নিয়ে সংঘর্ষের আশংকা

গোয়াইনঘাট প্রতিনিধি : সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলায় জলমহাল দখল নিয়ে দু’পক্ষের মুখোমুখি অবস্থানের খবর পাওয়া গেছে। তবে গোয়াইনঘাট উপজেলা প্রশাসনের কার্যকরি পদক্ষেপে থাকায় শেষ পর্যন্ত বড় ধরনের হতাহতের ঘটনা থেকে রক্ষা পায় স্থানীয় এলাকাবসী মানুষ।

মঙ্গলবার বেলা ২টায় অনাকাঙ্খিত এই সংঘর্ষের আশঙ্কা করা হয়েছিলো। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, উপজেলার রুস্থমপুর ইউনিয়নের পাতনি খালের ইজারাদার পাতনি মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির সভাপতিসহ সকল সদস্যবৃন্দ মঙ্গলবার দুপুরে তাদের ইজারাকৃত পাতনি খালে মাছ আহরণের জন্য প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র ও জাল নিয়ে অবস্থান করেন।

যাবতীয় প্রস্তুতি নিয়ে মাছ আহরণের জন্যে পাতনি খালের পানিতে ঝাপ দেন। মৎস্য আহরণের উদ্দেশ্যে পাতনি খালের পানিতে ঝাপিয়ে পড়তেই কাঠাল কান্দি গ্রামের শফিক মিয়ার ছেলে আছরব আলী( ৩০), আব্দুল আলীর ছেলে, মনির উদ্দিন (২২,) ইউনূস আলীর ছেলে আম্বর আলী (২২,) মৃত মনেহর আলীর ছেলে ইন্তাজ আলী( ৫০), মজম্মিল আলী ( ৫০,) পিতা অজ্ঞাত, মজু মিয়ার ছেলে আঙ্গুর মিয়া (৪৫), হায়দর ( ৩২) হাসন , ৩৫ আজর আলী, সৈয়দ আলীর ছেলে আরমান (৪৫) ও গোজারকান্দি গ্রামের মনাফ মিয়ার ছেলে রাজ্জাক ( ৪০) সহ কয়েক শতাধিক লোক দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ইজারাদারের উপর অতর্কিত হামলার উদ্দেশ্যে আক্রমনাত্বক ভাবে আসেন।

অপর দিকে ইজারাদাররা এলাকাবাসীর আক্রমণাত্বক দেখে পাতনি খাল থেকে নিরাপদ স্থানে অবস্থান করেন। ইজারাদাররাও মারামারির প্রস্তুতি নিয়ে পাতনি খালের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন।

খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজমুস সাকিব ও থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আব্দুল আহাদ অর্ধশতাধিক পুলিশ সদস্য নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে প্রশাসনের কর্মকর্তারা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন। উল্লেখ্য গত বছরের ২৭ মার্চ পাতনি খালের ইজারা নেন পাতনি মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি।

এ ব্যাপারে খালের ইজারাদার মো: বিলাল উদ্দিন বলেন, আমরা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় থেকে যথাযথ প্রক্রিয়ায় বৈধ ভাবে পাতনি খালের ইজারা গ্রহন করেছি। ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা পাতনি খালটিকে সমিতিকে সমজিয়ে দিয়েছেন।

কিন্তু আমরা বৈধ উপায়ে ইজারা গ্রহন করেও কাঠাল কান্দির একটি বাহিনীর কারণে মাছ আহরণ করতে পারছিনা।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও অফিসার ইনচার্জদ্বয়কে আমরা লিখিত অভিযোগ দিয়েছি একাধিক বার। তার পরেও আমাদের বৈধ ইজারাকৃত পাতনি খালে গোপনে সিংহভাগ মাছ লুটপাট করে নিয়েও শান্তি না পেয়ে আমাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়।

এ ব্যাপারে গোয়াইনঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আব্দুল আহাদ জানান, পাতনি খালের ইজারাদার ও গ্রাম বাসীর মধ্যে অনাকাঙ্খিত ঘটনার আশংকা ছিল। তাৎকনিক ঘটনা স্থলে উপস্থিত হওয়ায় তা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে।

গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুস সাকিব বলেন, যথাযথ নিয়মে পাতনি খালের ইজারা প্রদান করা হয়েছে। কিন্তু একটি পক্ষ বৈধ ইজারাদারকে মাছ আহরণে বাঁধা দিচ্ছে এবং বিষয়টি নিস্পত্তির লক্ষ্যে উভয় পক্ষদের নিয়ে বৃহস্পতিবার আমার কার্যালয়ে বসা হবে।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বশেষ ২৪ খবর