বিশ্বনাথে পুলিশ পরিচয়ে অপহরণের চেষ্টা : আটক ২

প্রকাশিত: ১:৩৭ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ২৫, ২০২১

বিশ্বনাথে পুলিশ পরিচয়ে অপহরণের চেষ্টা : আটক ২

বিশ্বনাথ সংবাদদাতা
সিলেটের বিশ্বনাথে পুলিশ পরিচয়ে রিপন আলী (২৮) নামের এক দিনমজুর যুবককে অপহরণকালে অপর দুই যুবককে আটক করে পুলিশে দিয়েছে জনতা।

 

 

শনিবার (২৪ এপ্রিল) অপহৃত রিপনের মামলার প্রেক্ষিতে তাদের দু’জনকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠিয়েছে থানা পুলিশ।

 

 

শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১১টারদিকে উত্তর দশপাইকা থেকে সিএনজিযোগে অপহরণ করে নিয়ে যাবার পর হাবড়া বাজারে স্থানীয় জনতা তাদের আটক করে।

 

 

অপহরণকারীরা হলো মারুফ মিয়া (৩২) ও আফজাল মিয়া (৩৫)। তারা একে অপরের আপন চাচাতো ভাই। মারুফ বিশ^নাথ সদর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের মাসুক আলীর বড় ছেলে। মারুফের আপন চাচাতোভাই আফজাল একই বাড়ির আশিক আলীর ছেলে।

 

 

গোবিন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা হলেও পাড়া-প্রতিবেশীদের সঙ্গে মারামারির জেরে প্রায় প্রায় পাঁচ বছর আগে বাড়ি ছেড়ে কালিগঞ্জ বাজারের আম্বিয়া ভিলায় স্ব-পরিবারে বসবাস করছেন মারুফ। আর অপহৃত রিপন আলী দৌলতপুর ইউনিয়নের উত্তর দশপাইকা গ্রামের আসদ আলীর ছেলে। তবে, ঘটনার পর থেকে মূলহুতা আব্দুল মতিন পলাতক রয়েছে।

 

 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পেশায় রাজমিস্ত্রি রিপন আলী শুক্রবার রাতে পাশের বাড়ি থেকে নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন। হঠাৎ তার প্রতিবেশী একই গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল মতিন ও তার শালা মারুফ এবং আফজাল মিলে তাকে মারধর শুরু করেন। এক পর্যায়ে জোরপূর্বক হাত-পা ও মুখ বেঁধে সিএনজি চালিত অটোরিকশায় (সিলেট-থ-১১-৭১৩৭) উঠিয়ে নেন। কিছু দুরে যাবার পর অন্য আরও একটি নাম্বারবিহীন অটোরিকশায় তুলেন। অটোরিকশাটি পুরান হাবড়া বাজারে গেলে অপহৃত রিপন গাড়িতে চিৎকার ও এলোপাথাড়ি লাথি শুরু করেন। ঠিক সে সময় বাজারের ব্যবসায়ী ও পথচারীদের সন্দেহ হলে গাড়িটি আটকে অপহরণকারীদের আটকে পুলিশের খবর দেন। এ ঘটনায় শনিবার সকালে অপহৃত রিপন বাদী হয়ে থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেছেন, (মামলা নং ১৮)।

 

 

পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তারের পর দু’জনই অপহরণের কথা স্বীকার করেছে। জিজ্ঞাসাবাদে মারুফ পুলিশের কাছে বলেছে, উত্তর দশপাইকা গ্রামের আব্দুল মতিন তার বোন-জামাই হন। কিছু দিন আগে তার বোনের (মতিনের স্ত্রী) স্বর্ণালংকার চুরি হয়। এরপর স্থানীয় এক তান্ত্রিকের (পিরানী) নিকট গেলে রাজমিস্ত্রি রিপনের নাম বলেন। তারপর শালা-দুলাভাই মিলে দিন তারিখ ঠিক করে পরিকল্পনামতে অপহরণ করে জনতার হাতে আটকা পড়েন।

 

 

বিশ্বনাথ থানার ওসি শামীম মুসা বলেন, গ্রেপ্তারের পর দু’জনই অপহরণের কথা স্বীকার করেছে। শনিবার দুপুরে তাদের দু’জনকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বশেষ ২৪ খবর