নগরের ২৫টি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ও মার্কেট চিহ্নিত, ৬টি ১০দিন বন্ধ রাখার নির্দেশ

প্রকাশিত: ৮:০০ অপরাহ্ণ, মে ৩০, ২০২১

নগরের ২৫টি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ও মার্কেট চিহ্নিত, ৬টি ১০দিন বন্ধ রাখার নির্দেশ

বিজয়ের কণ্ঠ ডেস্ক
সিলেট নগরে ২৫টি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন-মার্কেট চিহ্নিত করেছে সিলেট সিটি করপোরেশন। যার মধ্যে সিটি করপোরেশনের মালিকানাধীন ভবনও রয়েছে। এর আগে ২০১৯ সালে সার্ভে করে নগরের ২৩টি ভবনকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। এর বাইরে শনিবার ভূমিকম্পে হেলে পড়া আরও দুটি ভবনকে নতুন করে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়েছে। উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা ওই ২৫টির মধ্যে ৬টি ভবন ও মার্কেট আগামী দশ দিন বন্ধ রাখতে সিসিকের পক্ষ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়। এছাড়াও একই সময়ের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ অন্যান্য ভবনের বাসিন্দাদেরও অন্যত্র সরে যেতে বলা হয়েছে।

রবিবার বিকাল তিনটায় সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী সিলেট নগরের কয়েকটি ঝুঁকিপূর্ণ মার্কেটে গিয়ে নির্দেশনা দিয়ে আসেন। এসময় তার সাথে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ সদস্যরা ছিলেন।

 

শনিবার ও আজ রবিবার কয়েক দফায় সিলেট নগরেতে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে সিলেটে আগামী এক সপ্তাহ বড় ধরণের ভূমিকম্পের শংকা রয়েছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে আগামী প্রস্তুতি হিসেবে অভিযানে নেমে সিলেট সিটি করপোরেশন।

 

ঝুঁকিপূর্ণ মার্কেট পরিদর্শন করে ব্যবসায়ীদের আগামী ১০ দিন মার্কেট বন্ধ রাখার অনুরোধ জানান মেয়র আরিফ। এসময় তিনি জানান, সিলেট নগরেতে দফায় দফায় ভূমিকম্পের কারণে সিলেটে বড় ধরণের ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে এসব ক্ষয়ক্ষতির ঝুঁকি এড়াতে ঝুুঁকিপূর্ণ সকল মার্কেট অন্তত ১০ দিন বন্ধ রাখতে হবে।

 

তিনি সাংবাদিকদের জানান, সিলেট নগরের জিন্দাবাজারস্থ মিতালী ম্যানশন, রাজা ম্যানশন ও বন্দরবাজারের সিটি সুপার এবং মধুবন সুপার মার্কেট আগে থেকেই ঝুঁকিপূর্ণ ভবন হিসেবে চিহ্নিত। এভাবে সিলেট নগরের সকল ঝুঁকিপূর্ণ মার্কেট ও ভবনের কর্তৃপক্ষ, ব্যবসায়ী এবং সংশ্লিষ্টদের আগামী ১০ দিন বন্ধ রাখার জন্য নির্দেশ দেয়া হবে। এছাড়াও ঝুঁকিপূর্ণ বাসাবাড়ির বাসিন্দাদেরও আগামী ১০ দিন অন্যত্র থাকতে হবে। মেয়রের নির্দেশনার পর এই বিষয়ে করণীয় সম্পর্কে বৈঠকে বসেছেন মার্কেটগুলোর কর্তৃপক্ষ ও ব্যবসায়ীরা।

 

এদিকে, কয়েকটি মার্কেটে অভিযান শেষে মেয়র আরিফের নেতৃত্বে সিসিক ও জেলা প্রশাসনের প্রতিনিধি দল নগরের পাঠানটুলায় যায়। ভূমিকম্পের কারণে সেখানকার হেলে পড়া দুটি ৬ তলা বাসা পরিদর্শন করেন তারা। বর্তমানে দুটি ভবন একটি অপরটির দিকে অন্তত দুই ফুট করে হেলে আছে। বাসাগুলো পরিদর্শন শেষে ভবন দু’টির বাসিন্দাদেরও আগামী ১০ দিনের জন্য অন্যত্র সরে যাওয়ার নির্দেশ দেয় সিটি করপোরেশন।

 

প্রসঙ্গত, সিলেট সিটি করপোরেশন কর্তৃক ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত ভবনগুলো হচ্ছে- জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের উত্তর পাশের কালেক্টরেট ভবন-৩, জেলরোডস্থ সমবায় ব্যাংক ভবন, একই এলাকায় মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার সাবেক কার্যালয় ভবন, সুরমা মার্কেট, বন্দরবাজারস্থ সিটি সুপার মার্কেট, জিন্দাবাজারের মিতালী ম্যানশন, দরগাগেইটের হোটেল আজমীর, বন্দরবাজারের মধুবন সুপার মার্কেট, টিলাগড় কালাশীলের মান্নান ভিউ, শেখঘাট শুভেচ্ছা-২২৬ নম্বর ভবন, যতরপুরের নবপুষ্প ২৬/এ বাসা, চৌকিদেখির ৫১/৩ সরকার ভবন, জিন্দাবাজারের রাজাম্যানশন, পুরানলেনের ৪/এ কিবরিয়া লজ, খারপাড়ার মিতালী-৭৪, মির্জাজাঙ্গাল মেঘনা এ-৩৯/২, পাঠানটুলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, উত্তর বাগবাড়ির একতা ৩৭৭/৭ ওয়ারিছ মঞ্জিল, একই এলাকার একতা ৩৭৭/৮ হোসেইন মঞ্জিল, একতা-৩৭৭/৯ শাহনাজ রিয়াজ ভিলা, বনকলাপাড়া নূরানী-১৪, ধোপাদিঘীর দক্ষিণ পাড়ের পৌরবিপণী মার্কেট ও ধোপাদিঘীরপাড়ের পৌর শপিং সেন্টার।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বশেষ ২৪ খবর