ঢাকা ৩০শে জানুয়ারি, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ১৬ই মাঘ, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৯:৫৩ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৯, ২০২৩
ছাতক প্রতিনিধি
ছাতক পিডিবির সহকারি প্রকৌশলী মাহমুদুল হাসানের বিরুদ্ধে পুরাতন বিদূৎ লাইন সংস্কারের নামে ব্যাপক অনিয়ম দূর্নীতি দালাল সিন্ডিকেটের মাধ্যমে গ্রাহকদের কাছ থেকে প্রায় দেড় কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগ থেকে জানা যায়, ছাতক ও দোয়ারাবাজার দুটি উপজেলার ইসলামপুর, নোয়ারাই, দোয়ারাবাজার সদর, সুরমা, বুগলা, লক্ষীপুরসহ ৬টি ইউপির কয়েক হাজার গ্রাহকদের কাছে পুরাতন বিদুৎ লাইন সংস্কারের নামে ১৩টি গ্রামে পুর্নসংস্কার করার নামে পিডিবির নোয়ারাই ফিন্ডারের ইনচার্জ সহকারি প্রকৌশলী মাহমুদুল হাসান এর নেতৃত্বে স্থানীয় ইউছুফ আলী, মুজিবুর রহমান, আব্দুল কাইয়ুম, অমলবাবু ও কয়েকজন জনপ্রতিনিধি-সহ ২০জন দালালের মাধ্যমে ১২ মিটার ফুল খুটি ৬১টি, ৯ মিটার ফুল ২৫৭টি ,ট্রান্সফরমা ১২টি দিয়ে সংযোগ দিয়ে গ্রাহকদের কাছ থেকে প্রায় দেড় কোটি টাকা হাতিয়ে নেন বলে অভিযোগ করেন এলাকাবাসী।
গ্রাম গুলো হচ্ছে, শারপিন, টিলা, বাসটিলা, বারকাপন, লক্ষীবাউর, জয়নগর, মোল্লাপাড়া, টেংরাটিলা, কবিরখালি, মহববতপুর বাজার ও ইসলাম উদ্দিনের অটো মিল, গ্রিসনগর, উরুরগাও, শিমুলতলা ও কাউয়ার ঘর ১৩টি গ্রামে কাজ চলছে। এসব গ্রামগুলোতে বিদুৎ লাইন সংস্কার করার নামে গ্রাহকদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকার চাদাবাজি করার অভিযোগ উঠেছে সহকারি প্রকৌশলী মাহমুদুল হাসানের বিরুদ্ধে।
গত ১৫ জানুয়ারি সিলেটের পিডিবির প্রধান প্রকৌশলী বরাবরে ছাতক দোয়ারবাজার ৬টি ইউপি বাসীর পক্ষে আব্দুল করিম,আব্দুল কাদিরসহ দুই শতাধিক ব্যক্তির স্বাক্ষরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়।
এ অভিযোগটি জ্বালানি উপদেষ্টা, বিদুৎ মন্ত্রী, মন্ত্রনালয়ের সচিব, বিদুৎ চেয়ারম্যান, দুর্নীতি দমন কমিশন ঢাকা, পরিকল্পনা মন্ত্রী ও মন্ত্রনালয় সচিব, পরাষ্টমন্ত্রী মন্ত্রী ও মন্ত্রনালয় সচিব, পিডিবির প্রকল্প চেয়ারম্যান ঢাকা, উৎপাদন প্রকল্প ঢাকা, পিডিবির বিভাগীয় প্রধান প্রকৌশলী সিলেট, বিভাগীয় কমিশনার সিলেট, সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক, গোয়েন্দা সংস্থাসহ ২০টি বিভিন্ন দপ্তরে এ অনিয়ম দুর্নীতির লিখিত অভিযোগ করেন।
তার বিরুদ্ধে রয়েছে আগে টাকা পরে সেবা। টাকা ছাড়াই কোন গ্রাহকরা সেবাপাচ্ছেন না। প্রিপ্রেইড মিটারের লাইন সংযোগ বিচ্ছিন্ন, অফিসে মিটার আটকিয়ে গ্রাহককে মামলার ভয় দেখিয়ে বকেয়ার নামে লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
সহকারি প্রকৌশলী মাহমুদুল হাসান কে মিটার চুরি ও নানা অনিয়ম,ঘুষ দুর্নীতির ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ছাতক থেকে নরসিংদী জেলার পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল বিদুৎ কেন্দ্রে (বিউবো)কে বদলী করা হলেও দীর্ঘ ১০ মাস ধরেই রয়েছেন বহাল তবিয়তে।
তার নিজের বদলী ঠেকাতে সিলেটের চীপ প্রধান বড় অংকের টাকা দিয়ে বহাল থাকার অভিযোগে উল্লেখ্য করেছেন। তার নানা অনিয়ম-দূর্নীতি ঘুষ কেলেংকারির একাধিক বিষয়ে সম্প্রতি বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায়ও প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। পিডিবির প্রকৌশলীর দূর্নীতির শেষ কোথায়? ছাতকে প্রিপ্রেইড মিটারে বকেয়া বিল, টাকা না দিলে অফিসে বসে মিটারের বিদুৎ লাইন সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন পিডিবির সহকারি প্রকৌশলী মামুদুল হাসান।মিটার লক করে দিয়ে গ্রাহককে অন্ধকারে রেখেই হয়রানির নতুন কৌশল চালু করা হচ্ছে বলে গ্রাহকরা অভিযোগ করেছেন। এসব অনিয়ম দূর্নীতি ও লুটপাটের ঘটনা ঘটছে তবু ও দেখার কেউ নেই। তারা দালাল ব্যক্তিদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে পিডিবির প্রকৌশলীরা বিদ্যুৎ প্রিপ্রেইড মিটারে লক ও লাইন সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার মতো ঘটনা ঘটিয়েও পার পেয়ে যাচ্ছেন প্রকৌশলীরা । এসব অনিয়ম দূর্নীতি ও লুটপাটের ঘটনা ঘটছে তবু ও দেখার কেউ নেই। এসব ঘুষের টাকা নিয়ে পিডিবির অফিসে হাতাহাতির ঘটনা নিয়ে সিলেট বিভাগ জুড়েই ব্যাপক সমালোচনার ঝড় বইছে। এসব টাকার ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে কর্মকতা ও কর্মচারিদের মধ্যে ২ভাগে বিভত্ত হয়। ঘুষের টাকার ভাগ নিয়ে যেকোনো সময় ভয়াবহ সংঘর্ষের আংশকা বিরাজ করছে। ছাতক, দোয়ারবাজার ও সিলেটের বিশ্বনাথে ৫০হাজার বিদুৎগ্রাহকরা চরম হয়রানির শিকার হচ্ছে। ফলে অন্ধকারাচ্ছন্ন পরিবেশে থাকতে হচ্ছে গ্রাহকদের। তবে দফতরে ধরনা দিলেই ল্যাপটপ থেকেই সার্ভারের লক খুলে দেয়ার মতো ঘটনা এখন নিত্যনৈমিত্তিক হয়রানি হচ্ছে।
প্রশ্ন উঠেছে, প্রিপ্রেইড মিটারে বকেয়া বিলের অভিযোগ তুলে দালাল চক্র ব্যক্তিদের সুবিধা দিতে গিয়ে গ্রাহকদের হয়রানি করার মতো প্রতিনিয়ত ঘটনা ঘটছে এ অফিস প্রিপ্রেইড মিটারে ১৮হাজার ৩শ`গ্রাহকের অফিসের সর্বত্র গোপন নম্বার প্রকৌশলী ছাড়াই জনৈক ব্যক্তি এসব গোপন নম্বার জানেন বলে গ্রাহকরা অভিযোগ করেন।
২০১৯সালে বরাদ্ধকৃত মিটার ২০২১ সালে গ্রাহকদের নামে রেজিষ্টার করে দেয়া হচ্ছে।গ্রাহকরা টাকা না দিলে অফিসে মিটার নেই। নগদ টাকা দিলে রাতারাতি মিটার মিলছে বলে অভিযোগ গ্রাহকদের।
এ ব্যাপারে উন্নয়ন ও বিতরণ কেন্দ্রের সহকারি প্রকৌশলী মাহমুদুল হাসান তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এসব অভিযোগ মিথ্যা বানোয়াট ভিত্তিহীন বলে মন্তব্য করেন।
সম্পাদক : জে.এ কাজল খান
স্বত্ত্ব: দৈনিক বিজয়ের কণ্ঠ (প্রিন্ট ভার্সন)
০১৭১৮৩২৩২৩৯
Design and developed by syltech