ঢাকা ২৬শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ২:০৮ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ১৪, ২০২৩
বিজয়ের কণ্ঠ ডেস্ক
ভোটের সময় সংবাদ সংগ্রহে নির্বাচন কমিশন প্রণীত সাংবাদিক নীতিমালা নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ নেই বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। এটাকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে প্রয়োজনে সংশোধনের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। নীতিমালা জারির পরদিন সিইসি এ আশ্বাস দিলেন।
এর আগে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ভোটের প্রায় আট মাস আগে সংসদ ও স্থানীয় নির্বাচনে সাংবাদিকদের জন্য এই নীতিমালা প্রণয়ন করেছে ইসি।
বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সিইসি বলেন, নির্বাচন কমিশন স্বচ্ছতা চায়। সুশৃঙ্খল, সুষ্ঠু পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক, সেটাই চায়। সেই লক্ষ্য নিয়েই আমরা সব বিষয়ে একটা শৃঙ্খলা বিধানের চেষ্টা করবো। অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন যাতে বাধাগ্রস্ত না হয়, সেটা মাথায় রেখেই হয়তো নীতিমালাটা করেছি। তারপরও যেহেতু আপনারা নির্বাচন পর্যবেক্ষণের কাজটা করবেন, আপনাদের মতামতগুলো নিয়ে আমরা বসে আরও আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবো এবং আপনাদের যথাসময়ে অবহিত করবো।
সাংবাদিক নীতিমালা অনুযায়ী, নির্বাচন কমিশনের অনুমোদিত কার্ডধারীদের ভোটকেন্দ্রে গিয়ে সংবাদ সংগ্রহ করতে অন্তত এক ডজন নির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে।
সেখানে ভোটের দিন যাতায়াতের জন্য একটি গণমাধ্যমকে ‘যৌক্তিক সংখ্যক’ গাড়ির স্টিকার প্রদান, মোটরসাইকেল ব্যবহারের নিষেধাজ্ঞা, প্রিসাইডিং অফিসারকে অবহিত করে তথ্য সংগ্রহ, ছবি তোলা এবং ভিডিও ধারণ ইত্যাদি নির্দেশনা দেওয়া হয়।
এই নীতিমালার কয়েকটি বিষয় নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে সাংবাদিকদের মধ্যে। বিশেষ করে মোটরসাইকেলে নিষেধাজ্ঞা নিয়ে তাদের আপত্তি আছে, কারণ ভোটের দিন কেন্দ্রে কেন্দ্রে ঘোরার জন্য মোটরসাইকেল খুবই সহায়ক বাহন।
এ বিষয়ে সিইসি বলেন, ‘আমরা সংবাদ সংগ্রহে সাংবাদিকদের জন্য একটা নীতিমালা জারি করেছি। এটা নিয়ে কিছু বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। সেটা আমরা মিডিয়া থেকে জানতে পেরেছি। বিষয়টা নিয়ে আমরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেছি।’
যদি প্রয়োজন হয়, ওই নীতিমালায় সময়ে সময়ে পরিবর্তন করা যাবে জানিয়ে হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘আমরা নিজেদের মধ্যে আরও আলোচনা করবো এবং বিভিন্ন সূত্র থেকে যেসব মতামত বা সমালোচনা আসবে বা এসেছে, সেগুলো আমরা বিবেচনায় নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখবো যে নীতিমালায় কোনও অধিকতর সংশোধন, সংযোজন বা বিয়োজনের কোনও প্রয়োজন আছে কি না। সে বিষয়গুলো আমরা দেখে যথাসময়ে সিদ্ধান্ত নেবো। এটা নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই।’
২০১৮ সালে একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগেও এক ডজন নির্দেশনাসহ সাংবাদিকদের জন্য নীতিমালা করা হয়েছিল। তখনও মোটরসাইকেল চলাচলে নিষেধাজ্ঞা ছিল। পরে সাংবাদিকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে তা শিথিল করা হয়।
সম্পাদক : জে.এ কাজল খান
স্বত্ত্ব: দৈনিক বিজয়ের কণ্ঠ (প্রিন্ট ভার্সন)
০১৭১৮৩২৩২৩৯
Design and developed by syltech