রাত পোহালেই গাজীপুরে ভোট

প্রকাশিত: ১২:৫৫ পূর্বাহ্ণ, মে ২৫, ২০২৩

রাত পোহালেই গাজীপুরে ভোট

নির্বাচন তফসিল ঘোষণার পর থেকেই আলোচনায় ছিল আওয়ামী লীগের মনোনয়ন যুদ্ধ। অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খানের আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিশ্চিতের পর নির্বাচনের মাঠে উত্তাপ ছড়ান দল থেকে বহিষ্কৃত নেতা সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম ও তার মা জায়েদা খাতুন। ঋণ খেলাপি থাকায় দেশের সর্বোচ্চ আদালতে শরণাপন্ন হয়েও নির্বাচনে ফিরতে না পেরে জাহাঙ্গীর তার মা জায়েদা খাতুনকে করেছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী আজমত উল্লা খানের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী।

স্বতন্ত্র প্রার্থী বারবার হামলা ও প্রচার প্রচারণায় বাধা দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন। সর্বশেষ নির্বাচনের একদিন আগে ‘নৌকা ছাড়া কাউকে ভোটকেন্দ্রে আসতে দেবেন না’ এমন মন্তব্যের জেরে ভোটারদের মধ্যে ভয়ভীতি দেখিয়ে বক্তব্য দেওয়ায় সিটির ৪০ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মো. আজিজুর রহমানের প্রার্থিতা বাতিল করে নির্বাচন কমিশনার। মঙ্গলবার মধ্য রাতে শেষ হয় প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা। এখন অপেক্ষা ভোটের।

বৃহস্পতিবার (২৫ মে) গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) চলবে এ ভোটগ্রহণ।

রাত পোহালেই গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ভোট। ইতোমধ্যে ভোটগ্রহণের প্রায় সব ধরনের আয়োজন সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন। সিটি কর্পোরেশনের ৪৮০টি কেন্দ্রে পৌঁছে গেছে নির্বাচনী সামগ্রী। নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে কাজ করবেন ৫ হাজার পুলিশ সদস্য। 

নির্বাচন তফসিল ঘোষণার পর থেকেই আলোচনায় ছিল আওয়ামী লীগের মনোনয়ন যুদ্ধ। অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খানের আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিশ্চিতের পর নির্বাচনের মাঠে উত্তাপ ছড়ান দল থেকে বহিষ্কৃত নেতা সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম ও তার মা জায়েদা খাতুন। ঋণ খেলাপি থাকায় দেশের সর্বোচ্চ আদালতে শরণাপন্ন হয়েও নির্বাচনে ফিরতে না পেরে জাহাঙ্গীর তার মা জায়েদা খাতুনকে করেছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী আজমত উল্লা খানের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী।

 

স্বতন্ত্র প্রার্থী বারবার হামলা ও প্রচার প্রচারণায় বাধা দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন। সর্বশেষ নির্বাচনের একদিন আগে ‘নৌকা ছাড়া কাউকে ভোটকেন্দ্রে আসতে দেবেন না’ এমন মন্তব্যের জেরে ভোটারদের মধ্যে ভয়ভীতি দেখিয়ে বক্তব্য দেওয়ায় সিটির ৪০ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মো. আজিজুর রহমানের প্রার্থিতা বাতিল করে নির্বাচন কমিশনার। মঙ্গলবার মধ্য রাতে শেষ হয় প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা। এখন অপেক্ষা ভোটের।

বৃহস্পতিবার (২৫ মে) গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) চলবে এ ভোটগ্রহণ।

মেয়র পদে লড়ছেন যারা

 

আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে নৌকা প্রতীকে মেয়র পদে নির্বাচন করছেন গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আজমত উল্লাহ খান। টেবিল ঘড়ি প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করছেন সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের মা জায়েদা খাতুন। জাতীয় পার্টির মনোনয়ন নিয়ে লাঙ্গল প্রতীকে নির্বাচন করছেন এম এম নিয়াজ উদ্দিন। হাতি প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করছেন সরকার শাহনূর ইসলাম (রনি সরকার)। ঘোড়া প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করছেন মো. হারুন-অর-রশীদ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হয়ে হাতপাখা প্রতীকে নির্বাচন করছেন গাজী আতাউর রহমান, জাকের পার্টির সমর্থন নিয়ে গোলাপ ফুল প্রতীকে নির্বাচন করছেন মো. রাজু আহাম্মেদ এরশাদ, গণফ্রন্টের প্রার্থী মাছ প্রতীকে আতিকুল ইসলাম।

মেয়র প্রার্থীরা কে কোন কেন্দ্রে ভোট দেবেন

আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খান ৫৭নং ওয়ার্ডের টঙ্গীর আরিচপুর মসজিদ রোডের দারুস সালাম মাদরাসা কেন্দ্রে ভোট দেবেন। টেবিল ঘড়ি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা খাতুন ও তার ছেলে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম জয়দেবপুরের কানাইয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্কুল কেন্দ্রে ভোট দেবেন। লাঙ্গল প্রতীকে জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী এম এম নিয়াজ উদ্দিন টঙ্গীর ৫৪নং ওয়ার্ডের আউচপাড়ার কলেজ রোড এলাকায় সকাল ৮টায় নিউ ব্লোন স্কুল কেন্দ্রে, হাতি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সরকার শাহনূর ইসলাম রনি সরকার সিটি করপোরেশনের ৫৫নং ওয়ার্ডের টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতাল কেন্দ্রে ও টঙ্গীর ৫৭নং ওয়ার্ডের আরিচপুর এলাকায় সিরাজ উদ্দিন সরকার বিদ্যা নিকেতন অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে ভোট দেবেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী গাজী আতাউর রহমান।

নির্বাচনে প্রার্থীর সংখ্যা

গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ৩৩৪ জন প্রার্থী ভোট যুদ্ধে অংশ নিচ্ছেন। এর মধ্যে মেয়র পদে ৮ জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৪৬ জন ও সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ৭৯ জন প্রার্থী। এর মধ্যে সাধারণ ওয়ার্ডে একজন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ায় নির্বাচনে লড়বেন ৩৩৩ জন প্রার্থী।

ভোটার সংখ্যা

৫৭টি ওয়ার্ডে এই নগরের এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৪৬৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৫ লাখ ৯২ হাজার ৭৪৭ জন, নারী ভোটার ৫ লাখ ৮৬ হাজার ৬৯৮ জন ও তৃতীয় লিঙ্গের (হিজড়া) ভোটার আছে ১৮ জন।

আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (এসবি) আবুল বাশার মো. আতিকুর রহমান জানান, নির্বাচনে ৫ হাজার পুলিশ সদস্য, প্রতিটি কেন্দ্রে ২ জন করে মোট ৯৬০ জন আনসার ব্যাটালিয়ন, প্রতি  কেন্দ্রে ১০ জন করে ৪ হাজার ৮০০ গ্রাম পুলিশ, ৫৭টি ওয়ার্ডে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে আনসার সদস্য নিয়োজিত থাকবে। এছাড়া নগরীর ৫৭টি ওয়ার্ডে ৫৭ জন ম্যাজিস্ট্রেট এবং ১৯ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, ২০ প্লাটুন বিজিবি ও র‌্যাব মোতায়েন থাকবে।

৪৮০ কেন্দ্রে পৌঁছে গেছে ভোটের সরঞ্জাম

গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন উপলক্ষ্যে ৫৭টি ওয়ার্ডে ৪৮০টি ভোটকেন্দ্র ও ৩ হাজার ৪৯৭টি ভোটকক্ষ স্থাপন করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে গাজীপুর মহানগরের পৃথক ৫টি আঞ্চলিক কেন্দ্র থেকে নির্বাচনী সরঞ্জাম বিতরণ করা হয়েছে। নির্বাচন সংশ্লিষ্টরা উৎসবমুখর পরিবেশে এসব নির্বাচনী সরঞ্জাম সংগ্রহ করেছেন।

গাজীপুর সিটির ধীরাশ্রম জিকে হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ১২০টি কেন্দ্রের, চান্দনা উচ্চ বিদ্যালয় অ্যান্ড স্কুল থেকে ১১৫টি কেন্দ্রের, দারুস সালাম মাদরাসা থেকে ৫৮টি কেন্দ্রের, আজিম উদ্দিন স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ৬৮টি কেন্দ্রের ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১১৯ কেন্দ্রের নির্বাচনী সরঞ্জাম বিতরণ করা হয়েছে। ইভিএম, বুথ কক্ষ নির্মাণের জন্য কাপড়, টিস্যু পেপার, অমোছনীয় কালি, হ্যান্ড সেনিটাইজার, ভোটার তালিকা, ভ্যাসলিন, মখমলের কাপড়, স্ক্রু ড্রাইভার, মাল্টিপ্ল্যাগসহ ৪৬ ধরনের সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।

কেন্দ্রে থাকবে সিসি ক্যামেরা

গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা এইচ এম কামরুল ইসলাম বলেন, ৪৮০টি কেন্দ্রের প্রতিটি কেন্দ্রে এবং কক্ষে একটি করে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে।

ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম)

৪৮০টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণের জন্য ৫ হাজার ২৪৬টি ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিটি নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা এইচ এম কামরুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ইভিএমে কারিগরি সমস্যা দেখা দিলে তা দ্রুত সরানোর জন্য প্রস্তুতি হিসেবে প্রতি কেন্দ্রে একজন করে মোট ৪৮০ জন ট্রাবলশুটার, প্রতি দুই কেন্দ্রে একজন করে মোট ২৪০ জন (ভ্রাম্যমাণ) টেকনিক্যাল এক্সপার্ট, ১৪ জন সহকারী প্রোগ্রামার এবং চারজন প্রোগ্রামার থাকবেন।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বশেষ ২৪ খবর