অবরোধের প্রভাব সিলেটজুড়ে, ভোগান্তিতে সাধারণ মানুষ

প্রকাশিত: ১০:২৫ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২৪

অবরোধের প্রভাব সিলেটজুড়ে, ভোগান্তিতে সাধারণ মানুষ

সিলেটে শ্রমিক ইউনিয়নের অবরোধের প্রভাব পড়েছে সিলেট জেলাজুড়ে। মহানগরসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে সড়ক অবরোধ করে রেখেছেন জেলা ট্রাক পিকআপ কাভার্ডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা।

মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে দক্ষিণ সুরমার তেতলি পয়েন্টে প্রথম সিলেট-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করেন ট্রাক শ্রমিকরা।

এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (৮টা ৪৫ মিনিট) সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের দক্ষিণ সুরমা থেকে নাজিরবাজার, টিলাগড়-মেজরটিলায়, সিলেট-তামাবিল মহাসড়ক, এয়ারপোর্ট রোড, গোলাপগঞ্জে সিলেট-জকিগঞ্জ সড়ক অবরোধ করে রাখার খবর পাওয়া গেছে।

জানা গেছে, অবরোধের কারণে চরম বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। অবরোধের ফলে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কসহ বিভিন্ন সড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। প্রায় সাড়ে তিনঘন্টা ধরে চলা এ অবরোধে সবচেয়ে বেশী ভোগান্তিতে পড়েছেন ঘরমুখী মানুষজন। বাধ্য হয়ে অনেকে হেঁটে গন্তব্যে যাচ্ছেন। সবচেয়ে বেশী ভোগান্তিতে পড়েছেন নারী ও শিশুরা। অনেক রোগী বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স আটকা পড়তে দেখা গেছে।

এদিকে শ্রমিকরা অভিযোগ করে বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী একটি বাহিনী তাদের চারজন শ্রমিক নেতাকে ধরে নিয়ে গেছে। শ্রমিক নেতারা বলছেন- সিলেটের গোলাপগঞ্জ থেকে দুজন ও দক্ষিণ সুরমা থেকে দুজনকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

জেলা ট্রাক পিকআপ কাভার্ডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. দিলু মিয়া সিলেটভিউকে বলেন, আমাদের চার শ্রমিক নেতাকে ধরে নিয়ে গেছে একটি বাহিনী। কী কারণে নিয়ে গেছে আমরা জানি না। আমাদেরকে কিছু বলা হয়নি। এ চারজনকে না ছাড়া পর্যন্ত আমরা অবরোধ তুলবো না। আমরা জেলার প্রতিটি থানায় অবরোধ গড়ে তোলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইয়ারদৌস হাসান সিলেটভিউকে বলেন, আমরা চন্ডিপুল এলাকায় রয়েছি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছি। তবে এখনো অবরোধ করে রেখেছেন শ্রমিকরা।

যে বাহিনীর কথা উল্লেখ করে আটকের দাবি করছেন শ্রমিকরা- সেই বাহিনীর মিডিয়া অফিসার সিলেটভিউকে বলেন, আমাদের দুটি টিম অভিযানে গিয়েছে। তারা না ফিরলে বিস্তারিত বলা যাবে না। তবে কাউকে আটক করে থাকলে নিশ্চয় সুনির্দিষ্ট অভিযোগ বা মামলার ভিত্তিতে আটক করবে।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বশেষ ২৪ খবর