গোয়াইনঘাটে পুলিশ সদস্যের নেতৃত্বে নিরীহ পরিবারের উপর হামলা, আহত ১০ আদালতে মামলা

প্রকাশিত: ১০:৫৮ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২৪

গোয়াইনঘাটে পুলিশ সদস্যের নেতৃত্বে নিরীহ পরিবারের উপর হামলা, আহত ১০ আদালতে মামলা

সিলেটের গোয়াইনঘাটে সুলেমান নামের এক পুলিশ সদস্যসের বিরুদ্বে নিরীহ পরিবারের উপর মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এতে নারীসহ আহত হয়েছেন ১০-১৫ জন। এঘটনায় পুলিশ কমিশনার এসএমপি সিলেট, ও ডিসি উত্তর সিলেট, বরাবর ১৫ ফেব্রুয়ারী লিখিত অভিযোগ দায়ের এবং গত ৩০শে জানুয়ারী সিলেট চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-১০নং আমলী আদালতে ২৩ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন ঘোষগ্রামের আল আমিন। যার নং গোয়াইনঘাট সি.আর ৩৪/২০২৪ গোয়াইনঘাট থানার মামলা নং ৩, তারিখ ০৩/০২/২৪ইং।

অভিযুক্ত সুলেমান (পুলিশ সদস্য কং ২০৭ বিপি নং-৮৮০৭১০৯৯০০) সিলেট মেট্রোপলিটন বিমানবন্দর থানার আওতাধীন কালাগুল পুলিশ ক্যাম্পে কর্মরত আছেন। তিনি গোয়াইনঘাট উপজেলার ডৌবাড়ী ইউনিয়নের ঘোঘগ্রামের মৃত আজিদ উল্লার ছেলে।

অভিযোগ সুত্রে যানা জায়, গত ২৬ জানুয়ারি সকাল ৭টায় উপজেলার ডৌবাড়ী ইউনিয়নের ঘোষগ্রামে পুলিশ সদস্য সুলেমানের নেতৃত্বে ইয়াকুব আলীর গ্রুপ তার ৩০-৩৫জন আত্মীয়স্বজন মিলে দেশীয় অস্ত্র দা,লোহার ঝাটা/সুলফি, বাশের লাটি, নিয়ে একই গ্রামের ইয়াছিন আলীর বাড়ীতে হামলা চালায়। এসময় পুলিশ সদস্য সুলেমান লুহার সুলফি দিয়ে ইয়াছিন আলীর বাতিজা আব্দুর রহমানের বুকে ঘাই মারে। যার ফলে তার বুকের মাঝখানে গুরুতর কাটা জখম হয় এবং ইয়াকুব আলী তার হাতের সুলফি দিয়া আব্দুর রহমানের পেটে ঘাই মারার কারনে তার নাড়িভুড়ি বাইরে বেরিয়ে আসে। আব্দুর রহমানকে বাচাতে তার মা ও স্বজনরা এগিয়ে আসলে তাদের উপর এলোপাতাড়িভাবে বিভিন্ন অস্ত্র দিয়ে মারধর করে সুলেমান ও ইয়াকুব আলীর গ্রুপের লোকজন। এসময় গুরুতর আহত হন ইয়াছিন আলীর মেয়ে সাহিদা। তার মাথায় দা”য়ের কয়েকটি আগাত ও ডান হাতের ফনা কেটে হাড় কাটা জখম হয়। এছাড়াও ইব্রাহিম আলি, আব্দুল হামিদ, আব্দুস সামাদ সহ তাদের পরিবারের মহিলা সহ প্রায় ১০-১৫জন গুরুতর আহত হন। পরে স্হানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করে।

মামলার বাদী আল আমিন বলেন, এই ঘটনায় আদালতে মামলা করার কারণে আসামিরা তাকে ও তার পরিবারের লোকজনকে প্রাণে মারার জন্য বিভিন্নভাবে হুমকি প্রদান করছেন। তাকে তার বাড়ীতে প্রবেশ করতে দিচ্ছেননা। চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে ভুক্তভোগী পরিবারের লোকজন।

গ্রামের মুরব্বিরা জানান, গত ২৬ জানুয়ারি সকালে ইয়াছিন আলীর বাড়ীতে ইয়াকুব আলীর ঘুষ্টি হামলা করেছে। এতে ইয়াছিন আলীর মেয়ে সহ বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হয়েছেন। আমরা চেষ্টা করেছি স্হানীয়ভাবে শালিস করে বিষয়টি শেষ করার। কিন্তু একপক্ষ বিছার/শালিস মানলেও অন্য পক্ষ রাজি হয়নি।

অত্র ওয়ার্ডের মেম্বার নিজাম উদ্দিন বলেন আমি মারামারির সময় ঘটনাস্থলে ছিলাম, বার বার চেষ্টা করেছি মারামারি থামানুর জন্য। এক পর্যায় ইয়াকুব আলীর গ্রুপ ইয়াছিন আলীর বাড়ীতে উটে যায়। আমি সহ গ্রামের কেউ মারামারি থামাতে পারি নাই। ঘটনাস্থলে কয়েকজন আহত হয়েছেন। পরে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাটাই।

এদিকে অভিযুক্তরা বলছেন, আল আমিন আমাদের গ্রুপের একজনকে রাতে রাস্তায় একা পেয়ে মারপিট করেছে। সেজন্য আমরা তাদেকে মেরেছি।

আর অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য সুলেমান এর মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ করে কথা না বলে ফোন কেটে দেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে গোয়াইনঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, এই মামলার একজন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিস্তারিত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিংকু দাস এর সাথে কথা বলতে বলেন, তদন্তকারী কর্মকর্তার মুঠোফোন একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বশেষ ২৪ খবর