ঢাকা ৫ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১২:৫৪ পূর্বাহ্ণ, জুন ১২, ২০২৪
জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
‘
আশ্রয়ণের অধিকার, শেখ হাসিনার উপহার’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সারা দেশের ন্যায় সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে ৫ম পর্যায়ের (২য় ধাপে) ঘর পেয়েছে ২০টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার। মঙ্গলবার (১১ জুন) বেলা ১১টায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে পঞ্চম পর্যায়ের দ্বিতীয় ধাপে দেওয়া এসব ঘর বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
আসন্ন ঈদুল আজহার আগে শেখ হাসিনার ঈদ উপহার হিসেবে ঘর পেল অসহায় এসব পরিবার। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপকার ভোগীদের হাতে জমির দলিল ও ঘরের চাবি হস্তান্তর করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আল-বশিরুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) রিয়াদ বিন ইব্রাহিম ভূঞা সা-আধ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক রেজাউল করিম রিজু, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোছা. সুফিয়া খানম সাথী, ইউপি চেয়ারম্যান মো. আংগুর মিয়া সহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।
উল্লেখ্য যে, ১৯৭২ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গৃহহীনদের পুনর্বাসন কর্মসূচি শুরু করেন। বঙ্গবন্ধুর এ কর্মসূচিকে অনুসরণ করে তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৭ সালে আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে গৃহ ও ভূমিহীনদের ঘর ও জমির মালিকানা দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেন। আশ্রয়ণ প্রকল্প ও অন্যান্য প্রকল্পের আওতায় ১৯৯৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত সারা দেশে ৮ লাখ ৬৭ হাজার ৯০৪ ভূমি ও গৃহহীন পরিবারের প্রায় ৪৩ লাখ ৪০ হাজার মানুষকে পুনর্বাসন করা হয়েছে। শুধুমাত্র আশ্রয়ণ প্রকল্পের অধীনে ৫ লাখ ৮২ হাজার ৫৩ ভূমি ও গৃহহীন পরিবারের ২৯ লাখ ১০ হাজার ২৬৫ জনকে পুনর্বাসন করা হয়েছে। শুধুমাত্র মুজিব শতবর্ষে ২ লাখ ৬৬ হাজার ১২টি ভূমি ও গৃহহীন পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে।##
জগন্নাথপুরে রূপচাঁদা বলে বিষাক্ত পিরানহা মাছ বিক্রি মৎস্য অভিযান ৪ টি মাছ জব্দ
জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর বাজার সহ বিভিন্নি হাটবাজারে মঙ্গলবার (১১জুন) বিকাল ৪ টায় মৎস্য অফিসের অভিযানে ৪টি পিরানহা মাছ আটক করেন। অভিযান টের পেয়ে অসাধু ব্যবসায় মাছ রেখে পালিয়ে যান। উপজেলা পরিষদ চত্বরে মাছগুলোকে মাটি চাপা দেওয়া হয়। রূপচাঁদা মাছ হিসেবেই প্রতিদিন ক্রয়-বিক্রয় হয় নিষিদ্ধ ও বিষাক্ত পিরানহা মাছ। এ মাছ প্রতি কেজি অনেক কম মূল্য এবং স্বাদ একটু বেশি থাকার কারণে সাধারণ মানুষের কাছে অনেকটা গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। অনেকের পছন্দের তালিকায় আছে এ মাছ। স্থানীয় মৎস্য ব্যবসায়ীরা পিরানহা মাছকে সামুদ্রিক রূপচাঁদা মাছ হিসেবেই বিক্রয় করে থাকেন।
এ মাছ একটি হিংস্র এবং রাক্ষুসে মাছ। সারা বিশ্বে মানুষখেকো মাছ হিসেবে পরিচিত পিরানহা মাছের মানুষের প্রথম আঘাতের স্থান পায়ের আঙ্গুল। তিন ধরনের শব্দ উৎপন্ন করার মাধ্যমে এদের নিজস্ব একটা ভাষা আছে। জলাশয় বা নদীর অন্যান্য মাছ সমূলে ধ্বংস করে। ক্ষুধার্ত থাকার সময় এক পিরানহা আরেক পিরানহা মাছকেও খেয়ে থাকে। ধারালো দাঁত আর প্রায় মানুষের মতো জিহ্বা থাকার কারণে সে তার লক্ষ্যবস্তুতে শরীরের ১০ গুণ বেশি শক্তিতে কামড় দিতে সক্ষম।
জগন্নাথপুর উপজেলা মৎস্য অফিসার আল আমিন বলেন, পিরানহা মাছের চর্বি আমাদের শ্বাস-প্রশ্বাসের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত করে। এ মাছে থাকা ফসফেট আমাদের মূত্র প্রদাহ সৃষ্টি করে, নববিবাহিত নারীর বন্ধ্যত্ব সৃষ্টির অন্যতম কারণ। প্রস্রাবের সঙ্গে শরীর থেকে অতিরিক্ত মাত্রায় ক্যালসিয়াম ও রক্ত বের করে দেয়। পিরানহা মাছ খেলে মানসিক সমস্যাসহ মানুষের দেহে নানান রোগের সৃষ্টি করে। একটি অসাধু চক্র এই মাছ আমাদের এলাকায় আনার পেছনে দায়ী। বাংলাদেশ সরকার এ মাছকে ২০০৮ সালে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে।এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে আমরা শিগগিরই অভিযান পরিচালনা করব। এক মৎস্য ব্যবসায়ী জুয়েল মিয়া বলেন, এ মাছের চাহিদার ফলে আমরা মাছ বিক্রি করছি। নিষিদ্ধ ও বিষাক্ত কিনা জানি না
সম্পাদক : জে.এ কাজল খান
স্বত্ত্ব: দৈনিক বিজয়ের কণ্ঠ (প্রিন্ট ভার্সন)
০১৭১৮৩২৩২৩৯
Design and developed by syltech