ঢাকা ৮ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৫শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ২:৩২ অপরাহ্ণ, জুন ২৮, ২০২৪
নিজস্ব প্রতিবেদক: এম.এ.ওয়াহিদ সোয়েব
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সম্প্রতি ভারত সফরের সময় ভারতের সঙ্গে যে কটি বিষয়ে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম হলো বাংলাদেশের ভূখণ্ড ব্যবহার করে ভারতের ট্রেন চলাচলবিষয়ক সমঝোতা। এই সমঝোতা স্মারক সম্পর্কে ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রা বলেছেন, রেলওয়ের জন্য সমঝোতা স্মারকটি ছিল দুই দেশের রেলওয়ের মধ্যে সংযোগ স্থাপন-সংক্রান্ত।
ভারতের বাংলাদেশের রেলপথ ব্যবহার কে কন্দ্র করে নানা আলোচনা এবং সমালোচনা শুরু হয়েছে বেশ কিছু দিন ধরে,তবে এর সুবিধা এবং অসুবিধা সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়েছে কয়েকজন কূটনীতিক ও বিশেষজ্ঞের কাছে।তবে এখন পর্যন্ত প্রকাশিত তথ্য এবং ট্রানজিটের অতীত অভিজ্ঞতা থেকে বাংলাদেশের লাভের বিষয়ে খুব একটা আশাবাদী হতে পারছেন না বিশ্লেষকরা।
“এ যাবৎ যা অভিজ্ঞতা তাতে বলা যায় যে, নতুন এই চুক্তির বিনিময়ে বাংলাদেশ তেমন কিছু পাবে না,” বলেন সাবেক পররাষ্ট্র সচিব মো. তৌহিদ হোসেন।২০১০ সালে ট্রানজিট চুক্তি সইয়ের পর বাংলাদেশ সরকারেরে পক্ষ থেকে বলা হয়েছিলো যে, এর মাধ্যমে দেশটি আর্থিকভাবে বেশ লাভবান হবে।মূলতঃ পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে টন প্রতি হিসেবে একটি ট্রানজিট ফি বা মাশুল দিয়ে থাকে ভারত।
স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে দেখা যাচ্ছে, সব মিলিয়ে প্রতি টনে দেশটি মাশুল পায় মাত্র তিনশ টাকার মতো।”অথচ তখন বলা হয়েছিলো যে, বছরে প্রায় পাঁচশ মিলিয়ন ডলারের মতো লাভ হবে। কিন্তু পরে আদৌ কী কোনও মিলিয়ন ডলার আয় হয়েছে? তেমন কিছু তো শোনা যায় না,” বলেন মি. তৌহিদ।
তবে অতীতে না পারলেও নতুন চুক্তির মাধ্যমে মাশুলের হার বাড়ানোর একটি সুযোগ তৈরি হয়েছে বলে মনে করছেন সিপিডির সম্মাননীয় ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান।বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে সরাসরি ভারতের মালবাহী ট্রেন চলাচলের সিদ্ধান্তটি ভবিষ্যতে দেশটির নিরাপত্তার জন্য কী কোন ঝুঁকি তৈরি করতে পারে?
সাবেক পররাষ্ট্র সচিব মো. তৌহিদ হোসেন বলছেন, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের যেসব রাজ্যে দীর্ঘদিন ধরে অস্থিরতা বিরাজ করছে, সেসব অভিযানে ভারত হয়তো এই রেলপথ ব্যবহার করতে চাইবে।এসব রাজ্যে অতীতে ভারতীয় নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো সংঘাতও হতে দেখা গেছে।অন্যদিকে, চীন-ভারত সীমান্তেও বিভিন্ন সময় সংঘাতময় পরিস্থিতি তৈরি হতে দেখা গেছে
সম্পাদক : জে.এ কাজল খান
স্বত্ত্ব: দৈনিক বিজয়ের কণ্ঠ (প্রিন্ট ভার্সন)
০১৭১৮৩২৩২৩৯
Design and developed by syltech