ঢাকা ৫ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১১:৪৮ অপরাহ্ণ, জুলাই ১১, ২০২৪
প্রতিবেদক: এম.এ.ওয়াহিদ সোয়েব।
তার নাম সৈয়দ আবেদ আলী,যার নামের অর্থের সাথে তার কর্মকান্ডের মিল নেই।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখা যায় তার পরহেজগারি ও লোকদেখানো নামাজের বিভিন্ন ছবি,যা এখন রীতিমতো ভাইরাল।তার সাথে জড়িয়ে আছে নানা অপকর্ম।পেশায় ছিলেন একজন গাড়ি চালক সেখান থেকে তিনি এখন কোটিপতি। বিলাস বহুল জীবন-যাপন করেন এবং ছেলেকে পড়ান প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে।
সৈয়দ আবেদ আলী মাদারীপুরের ডাসার উপজেলার পশ্চিম বোতলা গ্রামের মৃত আবদুর রহমান মীরের ছেলে। স্থানীয় মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আবদুর রহমান মীরের তিন ছেলে ও এক মেয়ের মধ্যে আবেদ আলী মেজ। তাঁর এক ভাই কৃষিকাজ করেন। আরেক ভাই অটোরিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। তবে এলাকার মানুষের কাছে আবেদ আলী পরিচয় দিতেন শিল্পপতি হিসেবে।
স্থানীয় সূত্র বলছে, আবেদ আলী নিজ গ্রামে প্রায় ৬ কোটি টাকা খরচ করে বিলাসবহুল ‘ডুপ্লেক্স’ বাড়ি নির্মাণ করেছেন। বাড়ির পাশে করেছেন মসজিদ। তিনি মাদারীপুরে গরুর খামার ও বিপণিবিতান নির্মাণ করছেন, যার একাংশ সরকারি জমিতে বলে অভিযোগ রয়েছে।
এদিকে পিএসসি সূত্রে জানা গেছে, সৈয়দ আবেদ আলী পিএসসিতে চাকরি নিয়েছিলেন ভুয়া ঠিকানা ব্যবহার করে। তাঁর বাড়ি মাদারীপুরে। তবে তিনি ঠিকানা দিয়েছিলেন সিরাজগঞ্জের। ২০১৪ সালে প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় পিএসসির চাকরি থেকে তাঁকে বরখাস্ত করা হয়।
পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আবেদ আলী এসব তথ্য জানিয়েছেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। সিআইডির কর্মকর্তাদের ধারণা, আবেদ আলীর আরও সম্পদ রয়েছে।
বাংলাদেশ রেলওয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী পদে নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসে জড়িত অভিযোগে গতকাল সোমবার রাজধানীর শেওড়াপাড়ার ওয়াসা রোডের নিজ ফ্ল্যাট থেকে সৈয়দ আবেদ আলী ও তাঁর বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া ছেলে সৈয়দ সোহানুর রহমান ওরফে সিয়ামকে গ্রেপ্তার করা হয়।সৈয়দ আবেদ আলীর ছেলে সৈয়দ সোহানুর রহমান ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সম্পাদক ছিলেন। গতকাল সোমবার তাঁকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
দুই বছর আগে থেকে আবেদ আলী মাদারীপুরের ডাসারে তাঁর নিজ এলাকায় নিয়মিত যাতায়াত শুরু করেন। তিনি নতুন উপজেলা ডাসার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হতে চেয়েছিলেন। এই নির্বাচনের তফসিল এখনো হয়নি। তবে তিনি প্রার্থী হতে দীর্ঘদিন ধরে প্রচার চালাচ্ছেন। এলাকায় তিনি দামি গাড়িতে চড়ে গণসংযোগ করেন।
সম্পাদক : জে.এ কাজল খান
স্বত্ত্ব: দৈনিক বিজয়ের কণ্ঠ (প্রিন্ট ভার্সন)
০১৭১৮৩২৩২৩৯
Design and developed by syltech