ঢাকা ২২শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৮ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৬:৩৪ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৩, ২০২৪
মঈন উদ্দিন মিলন, কোম্পানীগঞ্জ
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জ রোপওয়ে এলাকায় উপজেলা ভূমি অফিসার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রাট ফরহাদ আহমেদ এর নেতৃত্বাধীন অভিযান চলাকালে পাথর লুটপাটকারীরাই ঢিল ছুঁড়েছে বলে দাবি করছেন স্থানীয় ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা। তারা বলেন, সোমবার সন্ধ্যা রাতে রোপওয়ে এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানকে লক্ষ্য করে ঢিল ছোঁড়া হয়। এতে করে সরকারি কাজ ব্যাহত হয়েছে। মূলত, অপরাধীরা নিজেদের আড়াল করতেই এই বে-আইনী পন্থা অবলম্বন করেছে।
অভিযান নেতৃদানকারী নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্র্যাট ফরহাদ আহমেদ এ প্রতিবেদককে জানান, দুপুর হতে ধলাই সেতু ১০নং এলাকায় বালু ও পাথর লুটপাট দমনে অভিযান পরিচালনা হয়। শেষমেশ রোপওয়ে এলাকায় পাথর হরিলুট হচ্ছে শুনে সেখানে যাওয়া মাত্রই প্রায় ২ শতাধিক লুটপাটে জড়িত ব্যক্তিরা অহরহ পাথর দিয়ে ঢিল ছুঁড়ে অভিযানে ব্যাহত করে। নৌকায় ঢিল ছুড়তে থাকলে ২ অভিযানিক সদস্য আহত হন। এমন পরিস্থিতিতে অভিযান পর্ব স্থগিত রেখে লোকবল নিয়ে চলে আসেন বলে তিনি জানান।
অনুসন্ধানে জানা যায়, গণঅভ্যুত্থান পূর্বে ভোলাগঞ্জ সাদা পাথর, কালাইরাগ বালু মহাল হতে পুলিশের চাঁদাবাজিতে পাথর/বালু লুটপাট রাতের আঁধারে বিচ্ছিন্নভাবে হয়েছে। কিন্তু শেখ হাসিনা ভারতে চলে যাওয়ার পরদিনই পাথর ও বালু অবাধে দিন-দুপুরে হরিলুট হতে থাকে। দেশের সার্বিক অবস্থা শীতিল হলে উপজেলা প্রশাসন লিজবহির্ভূত ধলাই নদীর বালু ও পাথর উত্তোলন বিরত রাখতে স্বোচ্ছার হয়। ঘন ঘন অভিযানে নৌকা, ট্টাক, ট্রাক্টর বিনষ্টসহ লুটপাটের সাথে জড়িতদের জেল জরিমানাও অব্যাহত রেখেছেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন। তবুও থামছে না ওই এলাকার পাথর বালু হরিলুট।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েক শ্রমিক ও ব্যবসায়ী জানান, ‘বৃহৎ জনগোষ্ঠীর দাবি দীর্ঘদিন বৃহৎ কর্মসংস্থান বন্ধ থাকায় অনেকে বিচ্ছিন্নভাবে পাথর বালু আহরণে যায়। তারা বৃহৎ কর্মসংস্থান পাথর কোয়ারী সচলে লিজ দেয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন। পাশাপাশি অভিযানের উপর হামলাকারীরা যে বা যারাই করেছে ওরা দুষ্ক্রীতকারী। ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই আমরা।’
সম্পাদক : জে.এ কাজল খান
স্বত্ত্ব: দৈনিক বিজয়ের কণ্ঠ (প্রিন্ট ভার্সন)
০১৭১৮৩২৩২৩৯
Design and developed by syltech