নবীগঞ্জে হত্যা মামলার সাক্ষীকে কোপালো যুবলীগ

প্রকাশিত: ৮:৫৮ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১৫, ২০২৪

নবীগঞ্জে হত্যা মামলার সাক্ষীকে কোপালো যুবলীগ

নবীগঞ্জ প্রতিনিধি
নবীগঞ্জে সমেদ হত্যা মামলার সাক্ষী হওয়ায় স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা লুৎফুর রহমান (৪০)কে কুপিয়ে রক্তাক্ত করেছে হত্যা মামলার অন্যতম আসামি যুবলীগ নেতা আলমগীর খান ও তার সঙ্গীয় ক্যাডার বাহিনী। শনিবার রাতে এই হামলার ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেন।
আহত লুৎফুর রহমান নবীগঞ্জ উপজেলার দেবপাড়া ইউনিয়নের কালাভরপুর গ্রামের বাসিন্দা ও নবীগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক আহবায়ক কমিটির সদস্য।
এদিকে হামলাকারী আলমগীর খান একই গ্রামের ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও পৌর যুবলীগের বর্তমান আহবায়ক কমিটির সদস্য। সে সমেত হত্যা মামলার অন্যতম আসামি।
জানা যায়, শনিবার রাতের আঁধারে লুৎফুর রহমানকে একা পেয়ে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে আলমগীর বাহিনী। তার আর্তচিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
এলাকাবাসী জানায়, সমেদ হত্যা মামলার অন্যতম আসামিরা হলেন একই গ্রামের যুবলীগ নেতা আজিজুল খানের পুত্র আলমগীর খান, মৃত দবির মিয়ার পুত্র লিটন মিয়া, দরবেশ মিয়ার পুত্র খোরশেদ মিয়া, খোরশেদ মিয়ার পুত্র নয়ন মিয়া। এই হত্যা মামলার সাক্ষী ছিলেন লুৎফুর রহমান। যে কারণে প্রতিনিয়তই তাকে মেরে ফেলার হুমকী দিয়ে আসছিল আসামিরা। বিষয়টি এলাকার লোকজনেরও জানা রয়েছে। গত শনিবার রাতে সে বাড়ি যাওয়ার পথে কালাভরপুর গ্রামে কদর মিয়ার বাড়ির সামনে তার উপর হামলার ঘটনা ঘটে। সেখানে আগে থেকেই ওঁৎপেতে ছিল সমেদ হত্যা মামলার আসামীসহ আলমগীর খান, লিটন মিয়া, খোরশেদ মিয়া, পরশ, নয়ন মিয়াগংরা। ধারালো ছুরি ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে লুৎফুর রহমানের উপর অর্তকির্ত হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করে।
আহত লুৎফুরের পরিবার জানায়, ‘আলমগীর খানের নেতৃত্ব ১০/১২ জনের একদল সংবদ্ধ দুর্বৃত্ত তার উপর হামলা করেছে। তাকে প্রাণে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে।’
তারা বলেন, ‘লুৎফুরের চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসেন। তখন হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে তারা উদ্ধার করে প্রথমে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে যান। সেখান থেকে তাকে সিলেটে ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করেন। আহত লুৎফুর রহমান এখন জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছেন। এ ঘটনায় নবীগঞ্জ থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।’
হামলার সত্যতা নিশ্চিত করে নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ কামাল হোসেন পিপিএম জানান, হামলার ঘটনার খবর শুনে তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি, পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নিব।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বশেষ ২৪ খবর