ঢাকা ২১শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৬:৩৮ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৫
মৌলভীবাজার সংবাদদাতা
সিলেটের মৌলভীবাজারে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের এক কর্মীকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এক সাংবাদিকের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মানহানিকর ও কুরুচিপূর্ণ তথ্য ছড়ানোর অভিযোগে এ মামলা হয়।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সিলেট সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মনির কামাল এ আদেশ দেন। গেফতারকৃত ছাত্রলীগকর্মী হলেন- ইকরামুল ইসলাম। তিনি মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার পৃথিমপাশা ইউনিয়নের বাসিন্দা। তিনি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সদস্য।
ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) এজাজ উদ্দিন বলেন, ‘আসামি জামিনের আবেদন করলে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে এর বিরোধিতা করা হয়। শুনানি শেষে আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন। এ মামলার অন্য দুই আসামি জলিল ও সামাদ পলাতক রয়েছেন।’
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সালে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার এলাকার বাসিন্দা, আরটিভির সাবেক রিপোর্টার এম এ কাইয়ুমের বিরুদ্ধে ফেসবুকে মানহানিকর ও কুরুচিপূর্ণ তথ্য ছড়ান ছাত্রলীগের সদস্য ইকরামুলসহ তার সহযোগীরা। এ অভিযোগে ওই সাংবাদিক বাদী হয়ে একই বছরের ৩০ আগস্ট সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগকে (ডিবি) নির্দেশ দেন। তদন্ত শেষে ডিবি ফরেনসিক রিপোর্টসহ আদালতে গত বছরের ৭ এপ্রিল প্রতিবেদন জমা দেয়। সেখানে অভিযোগের সত্যতা মেলে।
এ ব্যাপারে সাংবাদিক এম এ কাইয়ুম বলেন, ‘সীমান্তে চোরাচালান নিয়ে আমি বেশকিছু অনুসন্ধানী সংবাদ করেছিলাম। এর পর থেকে ইকরামুল ও তার চাচা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ময়নুল ইসলাম পংকি, ছাত্রলীগের সামাদসসহ কিছু নামধারী কর্মী আমার মানহানি করতে উঠে পড়ে লাগে। ফেসবুক তারা কুরুচিপূর্ণ, মিথ্যা, ভিত্তিহীন তথ্য ছড়ায়। আমার সাবেক কর্মস্থল আরটিভির নির্দেশনায় আমি সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেছিলাম। আজ তার জামিন নামঞ্জুর হয়েছে বলে জেনেছি।’
সম্পাদক : জে.এ কাজল খান
স্বত্ত্ব: দৈনিক বিজয়ের কণ্ঠ (প্রিন্ট ভার্সন)
০১৭১৮৩২৩২৩৯
Design and developed by syltech