হবিগঞ্জে নিজ কন্যাকে ধর্ষণের অভিযোগে পিতা গ্রেফতার

প্রকাশিত: ৫:২৯ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২৫

হবিগঞ্জে নিজ কন্যাকে ধর্ষণের অভিযোগে পিতা গ্রেফতার

হবিগঞ্জ সংবাদদাতা
এবার সিলেট বিভাগের হবিগঞ্জে পিতা কর্তৃক নিজ কিশোরী কন্যাকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। কন্যার দায়েরী অভিযোগের প্রেক্ষিতে লম্পট পিতাকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ।
ঘটনাটি ঘটেছে মাধবপুর উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নের ভেঙ্গাডোবা গ্রামে। নিগৃহের শিকার ওই কিশোরী (১৫) বাদী হয়ে তার পিতা সাক্কু মিয়ার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনলে সাক্কু মিয়াকে আটক করে পুলিশে তুলে দেন এলাকাবাসী।
মামলার বিবরণে জানা গেছে- তার মা ও বাবা প্রায় ১২-১৩ বছর আগে আলাদা হয়ে যান। এরপর মা বিয়ে করে চলে যান সিলেটে। ফলে মেয়েটি বাবার কাছে থেকেই বড় হয়। তার বাবা সাক্কু মিয়া চারটি বিবাহ করেছেন এবং বর্তমানে সৎ মায়ের সঙ্গে বসবাস করছিলেন।
সাক্কু মিয়া ভবঘুরে ধরনের মানুষ। যখন যে কাজ পান তাই করেন। কাজ না পেলে বেকার থাকেন। প্রায় ৩-৪ মাস আগে রাতে সাক্কু তার মেয়েকে ডেকে শরীর টিপে দেয়ার কথা বলে ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করেন। বিষয়টি লোকলজ্জার ভয়ে চেপে রাখলেও পরে সে তার সৎ মাকে বিষয়টি জানায়। কিন্তু এমন ঘটনা তার সৎ মা বিশ্বাস করতে পারেননি।
গত ১৯ ফেব্রুয়ারি বিকেলে আবারও তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করা হলে তিনি বিষয়টি আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশীদের জানান। তারা বিষয়টি জানার পর ক্ষোভে ফেটে পড়েন। পরে ২১ ফেব্রুয়ারি রাতে এলাকাবাসী সাক্কু মিয়াকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়। পরে মাধবপুর থানা পুলিশ সাক্কু মিয়াকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
রোববার (২৩ ফেব্রয়ারি) সকালে মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, নিজ মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে সাক্কু মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সে পুলিশের কাছে প্রাথমিকভাবে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে। এ ঘটনায় গতকাল শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) মেয়ে বাদি হয়ে বাবাকে আসামি করে মামলা করেছে। ওই মামলায় সাক্কু মিয়াকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে গত সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলায় নিজ কন্যাকে ধর্ষণের দায়ে বাবাকে আটক করে জৈন্তাপুর মডেল থানা পুলিশ। সোমবার সন্ধ্যায় ১৩ বছর বয়সী কন্যাকে ধর্ষণরত অবস্থায় প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় আটক করে তার স্ত্রী। স্থানীয়রা ধর্ষক পিতাকে মারধর করে পুলিশে সোপর্দ করে। পুলিশের হাতে আটক অভিযুক্ত ওই পিতা কানাইঘাট উপজেলার বাসিন্দা। বর্তমানে সে পরিবার নিয়ে জৈন্তাপুর উপজেলার নিজপাট ইউনিয়নে বসবাস করে আসছে। তবে, এ ঘটনা রহস্যজনক বলে সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেককে পোস্ট করতে দেখা গেছে।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বশেষ ২৪ খবর