ঢাকা ১৭ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩রা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৫:৩৫ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৬, ২০২৫
ইউসুফ আহমেদ ইমন, কুলাউড়া
তরমুজ পছন্দ করেন না এমন মানুষ খুব কমই আছে। রমজানকে কেন্দ্র করে বাজারে আসা তরমুজের চাহিদা আরো বেড়েছে কয়েকগুণ। গত কয়েকদিনের গরমে সেই চাহিদা বাজারে ক্রেতাদের উপস্থিতিই জানান দিচ্ছে। প্রতিদিন দুপুরের পর থেকে ইফতারের আগ পর্যন্ত তরমুজের দোকানে ক্রেতারা ভিড় করছেন। চাহিদা বাড়ার সুযোগে বিক্রেতারা বাড়তি দাম চাইছেন।তবে কেও কেও বলছেন গেল বছরের থেকে এবার দাম কম।
রবিবার (১৬ মার্চ) কুলাউড়া পৌর শহরের উত্তর বাজার, পৌরসভার সম্মুখ, চৌমুহনী, স্টেশন রোড, বাসস্ট্যান্ড এলাকার ভাসমান দোকানি ও ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এ চিত্র পাওয়া গেছে।
রোজার শুরু থেকে বাজারে তরমুজ পাওয়া গেলেও ক্রেতার সংখ্যা কম ছিল। তবে গেল ৩/৪দিনের গরম, সেই সাথে ইফতারিতে তরমুজের চাহিদা ব্যাপকভাবে বেড়েগেছে। এর সাথে বাজারে আগের তুলনায় তরমুজের সরবরাহ বেড়েছে। বড় থেকে মাঝারি আকারের তরমুজের পরিমাণ বেশি। ছোট আকৃতির তরমুজ ১৫০/২০০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। একটু বড় হলে ৩০০/ ৪০০/ ৫০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
ক্রেতাদের অভিযোগ, গরমের কারণে চাহিদা বাড়ায় বিক্রেতারা বেশি লাভের আশায় দাম বাড়িয়েছেন, যা অনৈতিক।
কুলাউড়া পৌর শহরের আতিকুল ইসলাম নামে এক ক্রেতা বলেন, রমজান মাসে তরমুজের চাহিদা বাড়া স্বাভাবিক। এই সুযোগে বিক্রেতারা যেন দাম বেশি বাড়াতে না পারে সে ব্যাপারে প্রশাসনের তদারকি দরকার। রোজার শুরু থেকে তৎপরতা থাকলেও এখন আর চোখে পড়ছে না। তাই বিক্রেতারা ইচ্ছেমতো দাম হাঁকছেন।
সুমন নামে আরেক ক্রেতা বলেন, কিছু বিক্রেতা অতিরিক্ত মুনাফা করতে চান। তারা যে দাম চাইছেন সেটি অনেক বেশি, একচেটিয়াও। যে যার মতো করে দাম নিচ্ছেন।
অন্যদিকে ব্যবসায়ীরা বলছেন, রমজান মাসের শুরু থেকে পাইকারিভাবেই দাম অনেক বেড়েছে। যার প্রভাব পড়েছে বাজারে। এবার তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে। বিক্রেতা বেশি থাকায় কিছু সিন্ডিকেটের কারণে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। তবে গেল বছর দাম আরো বেশি ছিল।এবার অনেক কমদামে বিক্রি হচ্ছে।
রবিবার বিকেলে কয়েকজন বিক্রিতার সাথে আলাপ করে আরো জানা যায়, কুলাউড়ার অধিংকাংশ ব্যবসায়ীরা, শ্রীমঙ্গল, সিলেট ও ভৈরব থেকে এসব তরমুজ সংগ্রহ করেন। বিক্রেতাদের ভীরে পাইকারদের কাছ থেকে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে, এর মধ্যে পরিবহন খরচ, লেবার খরচ তাছারাও কিছু তরমুজ নষ্ট হওয়ার কারণে চড়া দামে বিক্রি করে থাকেন।
সম্পাদক : জে.এ কাজল খান
স্বত্ত্ব: দৈনিক বিজয়ের কণ্ঠ (প্রিন্ট ভার্সন)
০১৭১৮৩২৩২৩৯
Design and developed by syltech