কৃষক নেতা আজাদ মিয়া স্মরণে সভা

প্রকাশিত: ৯:৪৯ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৭, ২০২৫

কৃষক নেতা আজাদ মিয়া স্মরণে সভা

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
জেলা হাওর বাঁচাও আন্দোলনের উদ্যোগে কৃষক নেতা আজাদ মিয়ার স্মরণে সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার দুপুরে শহরের মুক্তারপাড়া এলাকায় দৈনিক সুনামকণ্ঠ কার্যালয়ে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা হাওর বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি ইয়াকুব বখত বাহলুল।
স্মরণ সভায় বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় হাওর বাঁচাও আন্দোলনের সহ-সভাপতি সুখেন্দু সেন, সহ-সভাপতি চিত্তরঞ্জন তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক বিজন সেন রায়, প্রচার সম্পাদক শহীদ নুর আহমদ, জেলা হাওর বাঁচাও আন্দোলনের সহ-সভাপতি মুরশেদ আলম, আলী নুর, মানব চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল হক মিলন, সদস্য দুলাল মিয়া, আফরোজ রায়হান, জিয়া উদ্দিন, তছকির আলী, শওকত আলী, আশরাফ আলী, আব্দুর রশিদ, এটিএম আবুল হোসেন প্রমূখ।
সভায় বক্তারা বলেন, কৃষক নেতা আজাদ মিয়া হত্যাকাণ্ডের ৬ বছর পার হলেও এখনো মামলার তদন্ত শেষ হয়নি। বিগত ৬ বছরে দুই দফা তদন্ত হলেও অদৃশ্য কারণে প্রতিবারই ঘটনার মূল হোতারা ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকে। প্রথম দফায় সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশ এবং পরবর্তীতে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন, সিলেট (পিবিআই) মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পায়। সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানা অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) সনজুর মোর্শেদ শাহিন মামলার এজাহারভুক্ত প্রধান আসামি নূরুল হক এবং উকিল আলীর নাম বাদ দিয়ে অপর ৩জনকে আসামি করে কোর্টে প্রতিবেদন দাখিল করেন। পরবর্তীতে পিবিআই’র তদন্ত প্রতিবেদনেও এজাহারভুক্ত আসামি নূরুল হক এবং উকিল আলীর নাম না থাকায় ন্যায়বিচার নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেন বাদী পক্ষ।
তারা বলেন, নূরুল হক এবং উকিল আলী এই হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত মাস্টার মাইন্ড। এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড এবং এরা দুজন হচ্ছে এই হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী।
বক্তারা আরও বলেন, ৫ আগস্টের পর দেশে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের কথা উল্লেখ করে আজিজ মিয়া বলেন, অন্তর্র্বতী সরকার ক্ষমতায় আসার পর এই দুর্নীতিবাজ রাজনৈতিক নেতা এবং আমলারাও গা ঢাকা দিয়েছে। কেউ দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। এবার মামলাটির অধিকতর তদন্ত হলে আমরা ন্যায়বিচার পাবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তারা।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ১৪ মার্চ দিবাগত রাত দশটার দিকে বাসায় ফেরার পথে সুনামগঞ্জ শহরের পিটিআই স্কুল সংলগ্ন এলাকায় সন্ত্রাসীদের দ্বারা হামলার শিকার হন হাওর বাঁচাও আন্দোলনের নেতা আজাদ মিয়া। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। অবস্থা গুরুতর দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানে ৩ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর ১৭ মার্চ তিনি মারা যান। পরের দিন ১৮ মার্চ নিহতের বড় ভাই আজিজ মিয়া বাদী হয়ে নূরুল হক, উকিল আলী, পাভেল আহমদ এবং রিপন মিয়া এই চার জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরো ৭/৮ জনকে আসামি করে সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। বর্তমানে মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য উচ্চ আদালতের নির্দেশের অপেক্ষায় রয়েছে বলে জানা গেছে।

সর্বশেষ ২৪ খবর