উন্নয়নের জন্য নড়াইলবাসীর সহযোগিতা চান মাশরাফি

প্রকাশিত: ১০:২২ পূর্বাহ্ণ, ডিসেম্বর ৩১, ২০১৮

উন্নয়নের জন্য নড়াইলবাসীর সহযোগিতা চান মাশরাফি

ক্রীড়াকণ্ঠ ডেস্ক
অনুন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা, খেলাধুলা, স্বাস্থ্য, কৃষি ও শিক্ষার উন্নয়ন, দুর্নীতি ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণসহ নড়াইলকে দেশের অন্যতম বাসযোগ্য স্থান হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করবেন বলে জানিয়েছেন নড়াইল-২ আসনের সদ্যনির্বাচিত সাংসদ মাশরাফি বিন মর্তুজা। এজন্য তিনি নড়াইলবাসীর সহযোগিতা কামনা করেন।

বিজয়ী হবার পর এক প্রতিক্রিয়ায় নিজ পরিকল্পনার কথা এভাবেই জানান মাশরাফি।

সোমবার (৩১ডিসেম্বর) দুপুর ১টার দিকে মাশরাফির নির্বাচনী কার্যালয় তাহেরা কনভেনশন সেন্টারে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এসব কথা বলেন।

‘নির্বাচনী গণসংযোগের সময় দেখেছি নড়াইলের সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা খুবই অনুন্নত। বিভিন্ন এলাকা নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত। দায়িত্ব নেওয়ার পর যোগাযোগ ব্যবস্থার টেকসই উন্নয়ন ও নদী ভাঙন প্রতিরোধে কাজ করতে চাই,’ বলেন এই ক্রিকেট তারকা।

স্বাস্থ্য ও শিক্ষার ব্যাপারে গুরুত্ব দেন তিনি।

মাশরাফি বলেন, ‘নড়াইলে কোনো মেডিকেল কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয় করা যায় কিনা সে ব্যাপারে সম্ভাব্যতা যাচাই করে প্রধানমন্ত্রীর সাথে বসে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে’।

এছাড়া কৃষির উন্নয়ন পরিকল্পনাও জানান তিনি।

ওয়ানডে ক্রিকেটর এই অধিনায়ক বলেন, ‘ইতোমধ্যে নড়াইল এক্সপ্রেস ফাউন্ডেশন থেকে জেলার দরিদ্র কৃষকদের বিনামূল্যে বীজ দেওয়া হয়েছে। এই ধারা অব্যাহত থাকবে এবং কৃষকদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে কাজ করা হবে’।

খেলাধুলার ব্যাপারে মাশরাফি বলেন, ‘ইতোমধ্যে নড়াইল এক্সপ্রেস ফাউন্ডেশন থেকে ক্রিকেট, ফুটবল ও ভলিবল খেলার উন্নয়নের জন্য জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে খেলোয়াড় বাছাই করে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এ ধারা অব্যাহত থাকবে’।

‘এতে তরুণ সমাজের সুস্থ মেধা মনন তৈরি হবে, চাকরি ও কর্মসংস্থানের সুযোগ পাবে এবং তরুণ সমাজ মাদকদ্রব্য থেকে দূরে থাকবে’ যোগ করেন তিনি।

খেলার মাঠের মাশরাফি আর রাজনীতির মাঠের মাশরাফির মধ্যে কোনো পার্থক্য থাকবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘দেশের জন্য যেমন খেলেছি, তেমনি রাজনীতির মাঠে থেকে দেশের সেবা করার চেষ্টা করবো’।

আগামী ৫ জানুয়ারি থেকে বিপিএল খেলা শুরু হবে। সেজন্য ১ জানুয়ারি নড়াইল থেকে ঢাকায় ফিরবেন তিনি।

‘এখন থেকে ফের খেলায় মনোযোগী হবো। এখন টার্গেট আগামী বিশ্বকাপ। এরপর কি করবো সেটা তখনই চিন্তা-ভাবনা করা যাবে,’ বলেন মাশরাফি।

এ আসনে তিনি ২ লক্ষ ৭১ হাজার ২১০ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী এনপিপির চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদ ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন মাত্র ৭ হাজার ৮৮৩ ভোট।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বশেষ ২৪ খবর