ঢাকা ১৪ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৯:২৩ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১৭, ২০২৫
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
বোরো ধান সংগ্রহ কার্যক্রম বিষয়ে মিলার ও খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আবুল হাছানাত হুমায়ুন কবির। সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আবুল হাছানাত হুমায়ুন কবির। তিনি বলেন, আগামী ২৪ এপ্রিল থেকে সারা দেশে ধান ও চাউল সংগ্রহ শুরু হবে। সরকারী নীতিমালা অনুযায়ী ধান ও চাউল কেনা হবে। আমাদের এই কার্যক্রমে যেন কৃষকেরা হয়রানি না হয়। সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
তিনি বলেন, মানুষের ৫টি মৌলিক চাহিদার মধ্েয প্রথমটি খাদ্য। খাদ্য নিশ্চিত না হলে অন্যান্য চাহিদা পূরণের সুযোগ নেই। এবার সারাদেশে সাড়ে ৩ লক্ষ মেট্রিক টন ধান এবং ১৪ লক্ষ মেট্রিক টন চাউল ক্রয় করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সরকার। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই উদ্যোগ সফল করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, সিলেট বিভাগের মানুষ আতব চাউল খাওয়ার অভ্যাস, তাই সুনামগঞ্জে নামেমাত্র সিদ্ধ চাউলের বরাদ্দ রেখে বেশিরভাগ আতব চাউল বরাদ্দের ব্যবস্থা করা হবে। সাথে আটার বরাদ্দ ও বাড়ানো হবে।
সভায় জানানো হয়, এবার ১৪ হাজার ৬৪৫ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
প্রতি মণ ধান ১ হাজার ৪৪০ টাকা দর নির্ধারণ করা হয়েছে। ধান প্রতি কেজি মূল্য ৩৬ টাকা, সিদ্ধ চাউল ৪৯ টাকা ও আতব চাউল ৪৮ কেজি নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে বিএনপি নেতা মোনাজ্জির হোসেন সুজন ২৮ হাজার মেট্রিক টন ধান সংগ্রহের প্রস্তাব রাখেন। কোনো মধ্যস্বত্ত্বভোগী যাতে সুবিধা নিতে না পারে সেটার প্রতি লক্ষ্য রাখা এবং যাচাই-বাছাই করে প্রকৃত কৃষকদের কার্ড দেওয়ার প্রস্তাব রাখেন তিনি।
দিরাই উপজেলার কৃষক আব্দুল হক বলেন, দলীয় সরকার থাকলে আজ এখানে বসে কথা বলতে পারতাম না। বিগত সময়ে কৃষি কার্ড নিয়ে ব্যবসা চলতো। ১০/১২ হাজার টাকা করে কৃষকের কার্ড কেনাবেচা হতো। এবার যেন সেটা না হয়।
এ প্রসঙ্গে সুনামগঞ্জের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোস্তফা ইকবাল আজাদ বলেন, ২০১২ সালের পর নতুনভাবে কোনো কৃষি কার্ড দেওয়া হয়নি। এবার কৃষকের কার্ড যাচা-বাছাই করা সম্ভব নয়। তবুও যা পারা যায় আমরা খেয়াল রাখবো। সভা পরিচালনা করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সমর কুমার পাল।
সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ তোফায়েল আহমদ, সিলেট বিভাগের আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক এস.এম সাইফুল ইসলাম।
সভায় এ ছাড়াও বক্তব্য রাখেন শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সুকান্ত সাহা, বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোহাম্মদ মফিজুর রহমান, শাল্লা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) পিয়াস চন্দ্র দাস, সুনামগঞ্জ জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক হুমায়ূন কবির, ইসলামগঞ্জ কলেজের অধ্যক্ষ নুরুজ আলী, সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মুশফিকুর রহমান, দিরাই উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মামুনুর রশিদ, শান্তিগঞ্জ উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আব্দুর রব, জগন্নাথপুর খাদ্য নিয়ন্ত্রক শাহাব উদ্দিন, শান্তিগঞ্জ উপজেলা মল্লিকপুর খাদ্য গোদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহিনুর রেজা, অ্যাড. মল্লিক মইন উদ্দিন সোহেল, অ্যাড. আব্দুল হক, তাহিরপুর উপজেলা কৃষক দল নেতা মো. আনিসুল হক, মিল মালিক সমিতির সভাপতি মো. জিয়াউল হক, দৈনিক সুনামগঞ্জের খবরের সম্পাদক পংকজ দে, বিএনপি নেতা মোনাজ্জির হোসেন সুজন, মিল মালিক মোহাম্মদ দারু মিয়া, মিল মালিক আশরাফ চৌধুরী প্রমূখ।
সম্পাদক : জে.এ কাজল খান
স্বত্ত্ব: দৈনিক বিজয়ের কণ্ঠ (প্রিন্ট ভার্সন)
০১৭১৮৩২৩২৩৯
Design and developed by Yellow Host