ঢাকা ১৬ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২রা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৪:০০ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১, ২০১৯
সুনামগঞ্জ-৫ (ছাতক ও দোয়াাবাজার) আসনে বিএনপি, ২০ দলীয় জোট ও ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত প্রার্থী মিজানুর রহমান চৌধুরী ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনকে তামাশার ভোট বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি নির্বাচনী ফলাফল প্রত্যাখান করে পুনরায় নির্বাচন দাবি করেছেন।
আন্দোলনের ডাক দিয়ে তিনি বলেন, ধানের শীষের গণজোয়ার দেখে জনবিচ্ছিন্ন শাসকদল রাষ্ট্রীয় বাহিনীকে ব্যবহার করে আগের রাতেই ভোট দিয়ে নৌকাকে বিজয়ী করে রেখেছিল। পরদিন ভোট কেন্দ্রে যাওয়ার ভোটারদের বাধা দিয়ে ভোট চুরির ফলাফল ঘোষণা করে। এ রায় গণরায় নয়, এ রায় চুরির ফল।
তিনি সোমবার সুনামগঞ্জ কারাগারে ভোটের আগে কারাবন্দী নেতাকর্মীদের সাথে সাাৎ, সিলেটের হাসপাতাল ও বিভিন্ন কিনিকে ভোটের দিন আহত নেতাকর্মীদের দেখতে গিয়ে এসব কথা বলেন।
ছাতক ও দোয়ারাবাজারবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে মিজানুর রহমান চৌধুরী বলেন, এ নির্বাচনে জাতি জিতেছে, হেরেছে আওয়ামী লীগ। ধানের শীষ বিজয়ী হয়েছে, হেরেছে শাসক দল। ভোটযুদ্ধে আসলেই বাস্তবিক অর্থে একটি যুদ্ধ হয়েছে। এ যুদ্ধে একদিকে ছিলেন নিরস্ত্র জনতা, অন্যদিকে পুলিশসহ সশস্ত্র আওয়ামী লীগ ক্যাডাররা। এ পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে ভোটের আগের দিন অন্তত শতাধিক নেতা-কর্মী গ্রেফতার হয়েছেন। ভোটের দিন ভোটাধিকার রা করতে গিয়ে আরও অন্তত দেড়শতাধিক আহত হয়েছেন। আমি ভোটের অধিকার রায় নেতাকর্মী জনগণকে নিয়ে যুদ্ধ করেছি। এখন আন্দোলন হবে ভোটাধিকার হরণের বিরুদ্ধে।
সোমবার সকালে নির্বাচনী এলাকায় যে সকল নেতাকর্মী নানাভাবে নির্যাতিত হন, তাদের সঙ্গে সাাৎ করেন মিজানুর রহমান চৌধুরী। দুপুরের দিকে সুনামগঞ্জ কারাগারে বন্দী বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও মিজানুর রহমান চৌধৃুরীর বড় ভাই কুতুবুর রহমান চৌধুরী, ছাতক উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আবু হুরায়রা সুরত, কালারুকা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল হক, দোয়ারা উপজেলার সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান হারুনুর রশীদ, বোগলা ইউপি চেয়ারম্যান আরিফুল ইসলাম জুয়েল, সিংচাপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ফারুক আহমদ, জামায়াতের দোয়রার সেক্রেটারি দেলওয়ার হোসেন, ছাতক উপজেলার নায়েবে আমির মাওলানা আকবর আলী, সেক্রেটারি কাজী সৈয়দ মনজুর আহমেদ, যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক ছদরুল আমিন সোহাগসহ শতাধিক নেতাকর্মীর সাথে সাাৎ করেন।
সোমবার রাতে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত চরমহল্লা ইউপির চেয়ারম্যান আবুল হাসনাত, দণি খুরমা ইউনিয়ন বিএনপির সেক্রেটারি লুৎফুর রহমান, ইউপি মেম্বার ফারুক আহমদ, জুয়েল আহমদ, মানিক মিয়া, রজব আলী, জসমসর আলী, ডালিম মিয়া, নাজমুল ইসলাম, আমিন আলী, আরব আলী, জলফু মিয়া, ফারুক আহমদ মেম্বার, নজরুল ইসলাম সহ প্রায় শতাধিক আহত নেতাকর্মীকে দেখতে যান তিনি।
এ সময় মিজানুর রহমান চৌধুরীর সাথে উপজেলা বিএনপির আহবায়ক ও নির্বাচনে প্রধান সমন্বয়কারী ফারুক আহমদ, দোয়ারা উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি শাহজাহান মাস্টার, যুগ্ম আহবায়ক নিজাম উদ্দিন, দোয়ারা উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আবদুল মালিক মাস্টার, দোলারবাজার ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান শাহ আবদুল গণি, পান্ডারগাও ইউপি চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ, দোয়ারা সদর ইউপি চেয়ারম্যান হাজী আবদুল বারী, মান্নারগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান আবু হেনা আজিজ, দোয়ারা উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক হেলাল মিয়া, দোয়ারা জামায়াতের আমির হারুনুর রশিদ, বিএনপির আবু সুফিয়ান, স্বেচ্ছাসেবক দলের দোয়ারার সভাপতি এরশাদুল হক মেম্বারসহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান চৌধুরী অভিযোগ করে বলেন, তার নির্বাচনী এলাকার ৯৬টি সেন্টার দখল করে রাখ হয়েছিল। সব এজেন্টকে বের করে দেওয়া হয়েছে। অস্ত্রধারী ক্যাডার ও পুলিশের অপতৎপরতায় সাধারণ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়্গো করতে পারেনি। এসব সেন্টারে ভোট গণনার ফলাফলে নানা রকম অসঙ্গতি আছে। সরকার দলের এমপির নিজ এলাকার সেন্টারে শতভাগেরও বেশি ভোট পড়েছে। তাই কোনোভাবে এই নির্বাচন মেনে নেওয়া যাবে না। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।
সম্পাদক : জে.এ কাজল খান
স্বত্ত্ব: দৈনিক বিজয়ের কণ্ঠ (প্রিন্ট ভার্সন)
০১৭১৮৩২৩২৩৯
Design and developed by syltech