ঢাকা ১৫ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১লা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৭:৪৬ অপরাহ্ণ, মে ৪, ২০২৫
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
‘ইউএনও মফিজ হঠাও, বিশ্বম্ভরপুর বাচাঁও’ এমন শ্লোগানে সুনামগঞ্জ জেলার বিশম্ভরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. মফিজুর রহমানের অপসারণ, নানা অনিয়ম, দুর্নীতির প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি অনষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার (০৪ মে) সকালে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা চত্বর ও কারেন্টের বাজারে পৃথক দুটি মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
প্রতিবাদকারীদের অভিযোগ- ইউএনও মফিজুর রহমান বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমল থেকেই আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে সীমান্তের চোরাচালান, হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধের কাজে অনিয়ম দুর্নীতি করে প্রচুর ফায়দা হাসিল করেছেন। বর্তমানে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের কিছু নেতাকর্মীদের নিয়ে ঠিক একইভাবেই অনৈতিক ফায়দা হাসিল করছেন। তার ব্যক্তিগত ব্যাংক হিসাবে প্রচুর অর্থ রয়েছে। এছাড়াও অযৌক্তিক প্রকল্প গ্রহন, স্বেচ্ছাচারীতার প্রতিবাদে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার সাধারণ মানুষ মানববন্ধন করেন।
এদিকে ইউএনও’র অপসারণ দাবিতে অনুষ্ঠিত শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন চলাকালে ইউএনও’র পক্ষ নিয়ে একদল লোক দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মানববন্ধনকারীদের ওপর হামলা করে করেছে বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন বিক্ষোভকারীরা।
তারা জানান, বিশ্বম্ভরপুর বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের একাংশের কিছু নেতাকর্মী এই হামলা চালায়। হামলার সাথে জড়িতরা হচ্ছে- ডা. আসাদুজ্জামান, সৈয়দ আকরাম হোসেন, সোহাগ তালুকদার, জাহাঙ্গীর, সুহাঙ্গীর, আলমগীর, আরিফ রব্বানী হিমেল, কয়েস আহমদ, শাহ রাজিব, গোলাপ রায়হান, শেকুল ইসলাম, কামাল মেম্বার-সহ অর্ধ শতাধিক লোক।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন- মো. শফিকুল ইসলাম জনি, নুরুল আলম, আব্দুর রব সহ অন্যান্যরা। অভিযুক্ত ইউএনও মো. মফিজুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, আমি জেলা সদরে ছিলাম। শুনেছি আমার বিরুদ্ধে কিছু মানুষ মানববন্ধন করেছেন, আবার কিছু লোক তাদের উপর হামলা করেছে।
বিশ্বম্ভরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মুখলেছুর রহমান জানান, মানববন্ধনের বিষয়টি অবগত আছি। হামলার ঘটনা নিয়ে কোন আভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আইনগতভাবে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সম্পাদক : জে.এ কাজল খান
স্বত্ত্ব: দৈনিক বিজয়ের কণ্ঠ (প্রিন্ট ভার্সন)
০১৭১৮৩২৩২৩৯
Design and developed by syltech