জগন্নাথপুর প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে পারিবারিক শত্রুতার জেরধরে হামলার ঘটনায় কয়েক জন মারাত্মক আহত হয়েছেন। ৭ই এপ্রিল সোমবার রাতে জগন্নাথপুর উপজেলার চিলাউড়া হলদিপুর ইউনিয়নের ইসমাইল চক গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
এতে আহত হয়েছেন,মিজানুর রহমান, পিতা-মৃত হান্দু
মিয়া, আবু মিয়া, পিতা-মৃত জমশেদ আলী,মুরছালিন মিয়া, পিতা-আব্দুর রউফ সহ কয়েকজন। স্হানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল সহ বিভিন্ন মেডিকেলে চিকিৎসার জন্য পাটান।

এই ঘটনায় ইসমাইল চক গ্রামের মোঃ ছন্দু মিয়ার ছেলে আহত জেবুল মিয়া বাদি হয়ে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, জগন্নাথপুর জোন সুনামগঞ্জে একটি মামলা দায়ের করেছেন, যার নং জগন্নাথপুর সি.আর নং- ৯৯ /২০২৫ইং। মামলায় আসামি করেন, চিলাউগা হলদিপুর গ্রামের রিয়াজ উদ্দিন (৪৫) পিতা-মৃত গোলজার আলী,সুয়েব মিয়া (৪০) পিতা-মৃত নেছাফর মিয়া,মকবুল হোসেন (৪৫) পিতা-মৃত ইশাদ আলী,জাহির আহমদ (৩৫) পিতা-ময়না মিয়া,মহিম উদ্দিন (৪৫) পিতা-মৃত ছবারক উল্লা, জহুর উদ্দিন (৩০) পিতা-মৃত ছবারক উল্লা,রাজ উদ্দিন (৪০) পিতা-মৃত ছবারক উল্লা,রুহুল আমিন (২৮) পিতা-এলাইছ মিয়া,হাফিজুর রহমান (৩০) পিতা-তরুছ আলী,জয়নাল মিয়া (৩২) পিতা-মন্নান উল্লা, আতাউর রহমান (২৫) পিতা-আব্দুর রউফ,শিহাব মিয়া (২২) পিতা-মৃত নেছাফর মিয়া।

বাদি এজহারে উল্লেখ করেন,,পুর্ব শত্রুতার সূত্র ধরে 
আসামিরা দেশীয় অস্ত্র দা,শাবল,লাঠি নিয় আতঙ্কিত ভাবে আমাদের উপর হামলা করে। আমার চাচাত ভাই মিজানুর রহমানকে পাইয়া আসামী রিয়াজ উদ্দিন তার হাতে থাকা লোহার রড দিয়া প্রাণে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাতাড়ি আগাত করে মারাত্মক হাড় ভাঙ্গা জখম করে। আসামী মকবুল হোসেন তাহার হাতে থাকা রামদা দিয়া মিজানুর রহমানকে প্রাণে হত্যার উদ্দেশ্যে ডান পায়ের হাটুর নীচে মারিয়া মারাত্মক কাটা রক্তাক্ত জখম করে। যাহাতে ৮টি সেলাই দেওয়া হয়। আবু মিয়া ও মুরছালিন মিয়া মিজানুর রহমানকে রক্ষা করার জন্য আগাইয়া গেলে আসামী জাহির আহমদ তাহার হাতের লোহার রড দিয়ে এলোপাতাড়ি মারিয়া শক্ত ফোলা ও বেদনাদায়ক জখম করে। আসামী জহুর উদ্দিন লোহার রড দিয়া মুরছালিন মিয়ার শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে।

এক পর্যায়ে আসামী রিয়াজ উদ্দিন, মহিম,রাজ উদ্দিন, আতাউর রহমান সহ তাদের সহযোগীরা জোরপুর্বক অস্ত্র হাতে আমার ঘরের গ্রীলের তালা ভাঙ্গিয়া ঘরে প্রবেশ করে ষ্টীলের আলমারি হইতে নগদ ৮০,০০০/- (আশি হাজার টাকা নিয়ে যায়। এছাড়াও ঘরের আসবাবপত্র ভাংচুর করিয়া ও ঘরের দরজা জানালা ইট, পাথর নিক্ষেপ করে অনুমান ২,০০,০০০/- (দুই লক্ষ) টাকার ক্ষতি সাধন করে।

এই ঘটনার মুল নায়েক সন্ত্রাসী রিয়াজ উদ্দিন বাহিনীর তান্ডবে মারাত্মকভাবে আহত কয়েকজন এখনও সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চিকিৎসা নিচ্ছেন। এর মধ্যে ২ জনের অবস্থা আশংকাজনক।

জগন্নাথপুরথানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি)
মাহফুজ ইমতিয়াজ ভূঁইয়া জানান, জগন্নাথপুর উপজেলার চিলাউড়া হলদিপুর ইউনিয়নের ইসমাইল চক মারামারির ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করেছেন জেবুল মিয়া, মামলাটি রুজু হয়েছে ও আসামীদের আটক করার চেষ্টা চলছে।