ঢাকা ১৫ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১লা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৩:২০ অপরাহ্ণ, মার্চ ৩১, ২০১৯
হবিগঞ্জ সংবাদদাতা
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার দীঘলবাক ইউনিয়নের কসবা গ্রামে কোনো ধরণের ইজারা না নিয়েই কুশিয়ারা নদীর চর কেটে বালু বিক্রির ঘটনায় সংবাদ প্রকাশের জের ধরে অভিযানে নামে উপজেলা প্রশাসন। অভিযানে ৫জনকে আটক করা হয়।
জেলা প্রশাসকের নির্দেশে রোববার দুপুর ১টার দিকে উপজেলার দীঘলবাক ইউনিয়নের কুশিয়ারা নদীর চরে ঝটিকা অভিযান চালান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদ-বিন হাসান এ অভিযান পরিচালনা করেন। পরে গ্রেপ্তারকৃতদের ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান করা হয়।
জানা যায়, নবীগঞ্জ উপজেলার দীঘলবাক ইউনিয়নের বুক চিরে প্রবাহিত কুশিয়ারা নদীতে বর্তমান সময়ে পানি না থাকায় কসবা গ্রামে বিশাল চর জেগেছে। কয়েকমাস ধরে বিশাল স্থান নিয়ে জাগা এই চড়ে স্থানীয় ৪-৫টি সঙ্ঘবদ্ধ প্রভাবশালী চক্র কসবা গ্রামের কুশিয়ারা নদীর ঘাট এলাকায় অবস্থান নেয়। প্রতিদিন ওই সঙ্ঘবদ্ধ চক্রের অর্ধশতাধিক শ্রমিক তারা নদীর চর কেটে ট্রাকে বালু তোলে দেন। বালুগুলো বিভিন্ন কোম্পানির কাছে বিক্রি করা হয়। নদীর চর থেকে প্রতি ট্রাক বালুর দাম ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। প্রতিদিন শতাধিক ট্রাক বালু বিক্রি করা হচ্ছে। কুশিয়ারা নদীর চরের বালু বিক্রি করে সঙ্ঘবদ্ধ কুচক্রী মহল লাভবান হলেও কিছু অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারীদের ছত্রছায়ায় সরকার কোটি কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে।
অন্যদিকে বন্যা কবলিত এলাকায় নদীর চর কাটার ফলে আগামী দিনে বন্যার কবলে দীঘলবাক এলাকার আরো ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হবে।
রোববার এনিয়ে কয়েকটি জাতীয় ও স্থানীয় দৈনিক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হয়। সংবাদটি হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক মাহমুদুল কবীর মুরাদের নজরে আসলে তিনি তাৎক্ষণিক নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদ বিন-হাসানকে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ দেন।
এর প্রেক্ষিতে দুপুরে নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদ বিন-হাসান, নবীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি আতাউল গনি ওসমানীসহকারে ইনাতগঞ্জ পুলিশ ফাড়িঁর একদল পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে কুশিয়ারা নদীর বালুর চর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন।
এসময় ৫জনকে আটক করা হয়।
এদের মধ্যে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে উপজেলার কসবা গ্রামের আলতাব মিয়ার পুত্র ফুরমান মিয়া(২৫) কে ১মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই উপজেলার নুর ইসলামের পুত্র মালেক মিয়া(২৬), আলাই মিয়ার পুত্র কনু মিয়া(৩০), লেচু মিয়ার পুত্র রিপন মিয়া(২৪), আব্দুল মালিকের পুত্র কাওছার আহমেদ(২৬)কে ১সাপ্তাহের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।
এব্যাপারে নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদ বিন-হাসান বলেন, সংবাদ প্রকাশের পর বিষয়টি আমাদের নজরে আসে, আমরা তাৎক্ষণিক অভিয়ান চালিয়ে ৫জনকে গ্রেআটক করি এবং ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান করা হয়। ফের যদি কেউ চর কেটে বালু বিক্রি করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সম্পাদক : জে.এ কাজল খান
স্বত্ত্ব: দৈনিক বিজয়ের কণ্ঠ (প্রিন্ট ভার্সন)
০১৭১৮৩২৩২৩৯
Design and developed by syltech