ঢাকা ৫ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৫:১৬ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৩০, ২০১৮
নিজস্ব প্রতিবেদন
গোলাপগঞ্জে ২দিনের ব্যবধানে সুরমা নদী থেকে ষাটোর্দ্ধ ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার বাঘা ইউনিয়নের তুড়ুভাগ এলাকার সুরমা নদী থেকে চুনু মিয়ার (৬০) লাশ উদ্ধার করা হয়। তিনি বাঘা মাঝের মহল্লার মৃত আব্দুল লতিফের পুত্র। প্রথমে লাশের পরিচয় না পাওয়া গেলেও পরবর্তীতে স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা আর্জমন্দ আলী লাশের পরিচয় নিশ্চিত করে বলেন, প্রতিদিনের মত সকালে নদীর ধারে হাটতে বের হন চুনু মিয়া। অসতর্কতাবশতঃ নদীতে পড়ে তার মৃত্যু হয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, চুনু মিয়ার পরিবার জানিয়েছে ব্যক্তিগত জীবনে তিনি অবিবাহিত এবং কারোও সাথে তার শত্রুতা আছে বলে জানা নেই।
পুলিশ ও স্থানীয় সংবাদসূত্র জানায়, সুরমা নদীর বাঘা ইউনিয়নের তুড়ুভাগ খেয়াঘাটের পাশে লাশ ভাসতে দেখে এলাকাবাসী স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ইন্সপেক্টর (অপারেশন) দেলওয়ার হোসেন একদল পুলিশ নিয়ে নদী থেকে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন। লাশ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। উদ্ধারের সময় লাশের পরনে ছিল লুঙ্গি, লাল রঙ্গের শার্ট ও পায়ে স্যান্ডেল। পুলিশেরও ধারণা তার স্বাভাবিক মৃত্যু ঘটেছে।
এব্যাপারে গোলাপগঞ্জ মডেল থানা অফিসার ইনচার্জ একেএম ফজলুল হক শিবলী জানান, প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে নদীর ধারে হাটার সময় হৃদ রোগে আক্রান্ত হয়ে তার মৃত্যু হতে পারে। তবে ময়না তদন্তের রিপোর্ট আসার পরে মৃত্যুর প্রকৃত রহস্য উদঘাটন হবে।
এদিকে গত রবিবার উপজেলার চৌঘুরী এলাকায় সুরমা নদীতে ভাসমান অবস্থায় অর্ধ গলিত একটি লাশ উদ্ধার করা হয়। এ লাশ উদ্ধারের ৪৮ ঘন্টার ব্যবধানে মঙ্গলবার এ লাশটি উদ্ধার করা হয়। এর আগে বাঘা রস্তমপুর ব্রিজের নীচ থেকে ৮ অক্টোবর ভোরে আরেকটি অজ্ঞাত একটি লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
পরে অনেক তদন্তের পর লাশের পরিচয় সনাক্ত করা হয়। উদ্ধার হওয়া লাশটি কানাইঘাট উপজেলার লীপ্রসাদ পশ্চিম ইউনিয়নের গোরকপুর গ্রামের ফয়জুর রহমানের পুত্র মাওলানা মুহিবুর রহমান (৫০) বলে জানা গেছে ।
সম্পাদক : জে.এ কাজল খান
স্বত্ত্ব: দৈনিক বিজয়ের কণ্ঠ (প্রিন্ট ভার্সন)
০১৭১৮৩২৩২৩৯
Design and developed by syltech