ঢাকা ১৭ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৪ঠা ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৭:৩৩ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৯, ২০২৫
নিজাম উদ্দিন, কোম্পানীগঞ্জ থেকে
সিলেট বিভাগের ২য় দীর্ঘতম ধলাই সেতু অবৈধভাবে বালু পাথর উত্তোলনের কারনে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। ২০০৩ সালে তৎকালীন বিএনপি সরকারের অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রী এম সাইফুর রহমান সেতুটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন এবং ২০০৬ সালের ৯ সেপ্টেম্বর তিনি সেতুটি চলাচলের জন্য উদ্বোধন করেন। গত ৫ আগস্ট নতুন স্বাধীনতার পর থেকে ধলাই সেতুর পূর্ব ও পশ্চিম পাড়ের কিছু শ্রমিক চিহ্নিত কিছু চাঁদাবাজের সহযোগিতায় প্রশাসনের দুর্বলতার সুযোগে অবৈধভাবে সেতুর নিচ থেকে বালু ও পাথর উত্তোলন শুরু করেন, যা এখনো অব্যাহত আছে। ফলে সেতুর পিলার প্রায় ৪০/৫০ ফিট মাটির বাহিরে চলে এসেছে। যেখানে পিলারের গভীরতা সম্ভবত ৮৫ ফিট।
এ অবস্থা আরো কিছুদিন অব্যাহত থাকলে যেকোনো সময় সেতুটি ভেঙে পড়তে পারে।
এদিকে সেতুর এই দুরাবস্থা নিয়ে সেতুর পূর্বপাড়ের জনগণ খুবই উদ্বিগ্ন। কারন এই সেতুটিই পুর্বপাড়ের দুটি ইউনিয়ন পুর্বইসলামপুর ও উত্তর রনিখাইয়ের প্রায় ৪০/৫০ হাজার জনগণের উপজেলা সদর এমনকি সিলেট শহরের যাতায়াতের একমাত মাধ্যম। যদি এই বালু পাথর উত্তোলনের কারনে সেতুটি ভেঙে পড়ে তাহলে জনজীবনে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হবে।
এই বালু পাথর উত্তোলন বন্ধ করার জন্য স্থানীয় জনগণ মানববন্ধন, প্রতিবাদ সভাসহ নানান কর্মসূচি পালন করেছেন কিন্তু কোন ফল আসছে না। এনিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্থানীয় জনগণ প্রতিনিয়ত বালু পাথর উত্তোলনের ছবি ভিডিও আপলোড করে প্রতিবাদ ও প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করলেও কোন ফল হচ্ছে না।
পূর্বপাড়ের স্থানীয় জনগণের ভাষ্যমতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সেতুর পূর্বপাড়ের পিলার ঘেঁষে দুই পাশে বালুর সাইট ব্যবসা ও পশ্চিম পাড়ে যুবলীগ নেতার বালু বিক্রির কারনে বালু উত্তোলন বন্ধ হচ্ছে না। উপজেলা প্রশাসন মাঝে মধ্যে দায়সারাভাবে অভিযান পরিচালনা করলেও কোন ফল আসছে না।
স্থানীয় জনগণের দাবি- চিহ্নিত চাঁদাবাজ ও বালু খেকোদের বিরুদ্ধে মামলা নিয়ে গ্রেফতার করতে পারলে হয়তো বালু উত্তোলন বন্ধ হতে পারে। আর তাতেই সেতুটি ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা পাবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আজিজুন নাহার বলেন, ‘আমরা নিয়মিত অভিযান দিচ্ছি। এমনকি গত ২৬ তারিখও অভিযান দিয়ে ড্রাইভারসহ একটি ট্রাক্টর আটক করেছি এবং এরকম অভিযান নিয়মিত চলবে।
সম্পাদক : জে.এ কাজল খান
স্বত্ত্ব: দৈনিক বিজয়ের কণ্ঠ (প্রিন্ট ভার্সন)
০১৭১৮৩২৩২৩৯
Design and developed by syltech