দিরাইয়ে ইসরাইলি পণ্য বয়কটের ডাক

প্রকাশিত: ৩:৫৩ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ১৩, ২০২৫

দিরাইয়ে ইসরাইলি পণ্য বয়কটের ডাক

শান্তিগঞ্জ প্রতিনিধি
গাজায় যুদ্ধ বিরতী অমান্য করে ইসরাইল কর্তৃক মুসলমানদেরকে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে সুনামগঞ্জের দিরাই রাস্তা পয়েন্টে এক বিশাল সমাবেশ অনুষ্টিত হয়।শুক্রবার(১১এপ্রিল) বাদ জুম্মা সুনামগঞ্জ দিরাই -মদনপুর রাস্তার পয়েন্টে মাওলানা আব্দুল কায়ূইম এর সভাপতিত্বে মাওলানা নূরুল ইমান, আবদুল্লাহ গাজিনগরী, মাওলানা মাহবুব সালমান, মাওলানা রমজান আলী, ও মুফতি আব্দুল মালিক তোহার যৌথ পরিচালনায়
তৌহিদী জনতার উদ্যোগে আয়োজিত এই সমাবেশে দিরাই রাস্তা ও আশপাশের বিভিন্ন মসজিদ থেকে মুসুল্লিরা ব্যানার ফেস্টুন ও পতাকা নিয়ে মিছিল সহকারে যোগদান করেন।
ইসরাইলি হত্যা বন্ধ ও স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে এতে স্থানীয় জনগণ, মুসল্লি, শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী ও শ্রমজীবী সাধারণ মানুষ অংশ গ্রহণ করেন।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শায়খুল হাদীস আল্লামা নুরুল ইসলাম খান বলেন- আমাদের সবার দায়িত্ব নৃশংস এই হত্যাযজ্ঞের বিরুদ্ধে সাধ্যমত প্রতিবাদ করা। ইসরাইলি পণ্য বর্জনের মাধ্যমে ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি প্রকাশ করা।
তিনি আরো বলেন, ইসরাইলি পণ্য বিক্রি বন্ধ করে দেশীয় পণ্যে মনোযোগ দিতে হবে। তোমার পণ্য ক্রয় যেন গাজায় বোমা ফেলার কারণ না হয়। তিনি ব্যবসায়ীদের প্রতি এই আহবান জানিয়ে বলেন ইসরাইলি পণ্য মানে গাজায় রক্ত, আমাদের টাকায় এসব হত্যাযজ্ঞ চলতে দেয়া যায়না।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা তৈয়্যিবুর রহমান চৌধুরী ফিলিস্তিনের পক্ষে যুদ্ধ ঘোষণার জন্য প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন, প্রয়োজনে দেশের লক্ষ লক্ষ যুবক যুদ্ধে যেতে প্রস্তুত রয়েছে। তিনি ফিলিস্তিনের পরিপুর্ণ স্বাধীনতা আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই প্রতিরোধ চালিয়ে যাবার জন্য উপস্থিত জনতার প্রতি আহবান জানান।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, কিছু আন্তর্জাতিক কোমল পানীয় কোম্পানি যেমন কোকাকোলা, স্প্রাইট, সেভেন আপ এগুলো ইসরাইলী পণ্য। এগুলোর লভ্যাংশ ইসরাইলি আগ্রাসনে ব্যয় হয়। তাই দেশীয় কোম্পানিগুলোর উচিত দোকানদারদের প্রণোদনা দিয়ে এ পণ্যগুলোর বিকল্প তৈরি ও জনপ্রিয় করা।
বক্তারা আরো বলেন ইসরাইল গত এক থেকে দেড় বছরে গাজায় যে নৃশংস হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে, তাতে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে বহু নারী ও শিশু রয়েছে। এটি নিছক যুদ্ধ নয়, বরং একটি পরিকল্পিত গণহত্যা। এর বিরুদ্ধে বিশ্ববিবেক জাগ্রত করতে জাতিসংঘ, ওআইসিসহ বিশ্ব নেতাদের প্রতি আহবান জানান।এতে বক্তব্য প্রদান করেন শায়খুল হাদিস শিব্বির আহমদ, শায়খুল হাদিস মুখলিছুর রহমান, দরগাহপুর মাদারাসার মুহাদ্দিস মাওলানা এমদাদুল হক হাসারচরী, শায়খুল হাদিস মাওলানা তাহির আহমদ জামলাবাদী, শায়খুল হাদিস তৈয়্যিবুর রহমান চৌধুরী, মাওলানা ফরিদ আহমদ হাসারচরী, মাওলানা ডা. আব্দুল্লাহ, মাওলানা শিহাব উদ্দিন, লন্ডন প্রবাসী মাওলানা আমিরুল ইসলাম সাহেব, মাওলানা আনোয়ার হুসাইন, প্রবাসী নেতা মাওলানা খালেদ আহমদ জায়েম, মাওলানা মিজানুর রহমান, মাওলানা এরশাদ, ক্বারী মুহিব্বুল হক আজাদী, মাওলানা নূর আহমদ ছুয়াপুরী, মাওলানা ইলিয়াস আহমদ গাগলী, হাফিজ মাওলানা নাজমুল ইসলাম জামলাবাদী, মাও. মুশাররফ হুসেন, মাও. আবদুল রাজ্জাক , মাওলানা মতিউর রহমান, হাফিজ মাওলানা রেজওয়ান আহমদ, মাওলানা হারিস উদ্দিন, হাফিজ আবু সাঈদ, গাজি আবুল কালাম, মাওলানা এহসান রেজা মুহিবী, মাস্টার আমিরুল ইসলাম, শাব্বির আহমদ, হাফিজ হুসাইন আহমদ, মাওলানা ইমদাদুল্লাহ গাজিনগরী, মাওলানা আতাউর রহমান আজিজ, মাওলানা আতাউর রহমান সানী, যুবনেতা ফরিদ আহমদ, ছাত্র নেতা হারুনুর রশিদ হারুন, ছাত্রনেতা হাবিবুল্লাহ হামিদ, মাওলানা আব্দুল হাই দুলন, রাজনৈতিক ব্যক্তি হুসাইন আহমদ প্রমূখ।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বশেষ ২৪ খবর