ঢাকা ২০শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৭:৩৫ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১৩, ২০২৫
ছাতক প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জের ছাতক পাবলিক খেয়াঘাটে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের কারণে ইজারাদারের লোককে পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। শনিবার (১২এপ্রিল) সন্ধ্যায় ছদ্মবেশে খেয়াঘাটে অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তরিকুল ইসলাম। নির্ধারিত পাঁচ টাকার পরিবর্তে যাত্রীদের কাছ থেকে জোরপূর্বক ১০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। এতে সাধারণ মানুষ প্রতিদিনই অতিরিক্ত টাকা দিতে বাধ্য হচ্ছেন। স্থানীয়রা বিষয়টিকে ‘নীরব চাঁদাবাজি’ বলে অভিহিত করছেন।
জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ছদ্মবেশে খেয়াঘাটে অভিযান চালিয়ে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৪০ ধারায় খেয়াঘাটের অর্থআদায়কারী পৌর শহরের নোয়ারাই গ্রামের সাবাজ আলীর ছেলে শাহেদ মিয়া (৪২) কে পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করেন এবং খেয়াঘাটে নির্ধারিত ভাড়ার তালিকা টানানোর নির্দেশ দেন।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, দিনে ১০ টাকা নিলেও রাতে তা বেড়ে দ্বিগুণ কিংবা তিনগুণ পর্যন্ত নেওয়া হয়। তবে সাধারণ মানুষ মান-সম্মানের ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করছেন না। প্রতিদিন প্রায় সহস্র যাত্রী এই পথে পারাপার হন। অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের ফলে দিনে প্রায় পাচ হাজার, মাসে দেড় লক্ষ এবং বছরে প্রায় ১৮ লাখ টাকা অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে।
অতিরিক্ত ভাড়ার বিষয় ইজারাদার সজিব চৌধুরী বলেন, খেয়াঘাট পারাপারে ৩টি নৌকা চলাচল করে। জেলা পরিষদ নির্ধারিত ৫ টাকা করে ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। খেয়া পারাপারে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হয়নি। অতিরিক্ত ভাড়ার ব্যাপারে আমাদের জানাও ছিল না।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তরিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন জনস্বার্থে এধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
সম্পাদক : জে.এ কাজল খান
স্বত্ত্ব: দৈনিক বিজয়ের কণ্ঠ (প্রিন্ট ভার্সন)
০১৭১৮৩২৩২৩৯
Design and developed by syltech