ঢাকা ১০ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৫শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৭:২২ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২১, ২০২৩
আনন্দকণ্ঠ ডেস্ক
ভালোবাসার মানুষটিকে একটি সন্তান উপহার দিতে গিয়ে মহাসংকটে পড়েছেন আজমেরী হক বাঁধন। কারণ, কোনো দম্পতি সন্তান নিতে চাইলে সেই পরিবারের একজনকে মারা যেতে হবে। মানে একটি মৃত্যুর বিপরীতে একটি নবজাতক। দেশে এমন আইন পাশ করা হয়েছে। প্রিসিলা নাম ভূমিকায় এমন এক কঠিন চরিত্রে দেখা যাবে বাঁধনকে।
‘গুটি’ ওয়েব সিরিজের মাধ্যমে সাম্প্রতিক সময়ে বেশ প্রশংসিত হয়েছেন আজমেরী হক বাঁধন। এখানে ‘সুলতানা’ নামক মাদক কারবারি রূপে নিজেকে পুরোপুরি মেলে ধরছেন তিনি। এবার এ অভিনেত্রী দিলেন নতুন খবর। নতুন মিশনে নামছেন তিনি। নতুন ওয়েব সিরিজে দেখা যাবে তাকে। নাম ‘ডেল্টা ২০৫১’। এখানে তিনি হাজির হচ্ছেন প্রিসিলা নামক একটি চরিত্রে। এ সিরিজটির চিত্রনাট্য করেছেন তানিম নূর। আর পরিচালনায় কৃষ্ণেন্দু চট্টোপাধ্যায়। প্রযোজনায় সৈয়দ আহমেদ শাওকী।
এ বিষয়ে বাঁধন বলেন, ধন্যবাদ জানাতে চাই এত ঘটনা দুর্ঘটনার পর আমাকে নিয়ে কাজ করার জন্য। সিরিজটির নির্মাতা অসাধারণ একটি চরিত্র নিয়ে এসেছে আমার কাছে। আমি অবাক হয়েছি এ ধরনের একটা গল্প বলার চিন্তা আমাদের এখানে করছে। বেশিরভাগ লোক আমাকে বলেছে, তুমি পর্দায় সারাক্ষণ রেগে থাকছো। সিরিয়াস চরিত্রে কাজ করছো শুধু। এগুলো এখন বাদ দাও। এমন নানা উপদেশ। সেই প্রেক্ষাপটে আমি খুবই গ্রেটফুল- যারা আমার জন্য এই চরিত্রটি চূড়ান্ত করেছে। তিনি আরও জানান, ‘ডেল্টা ২০৫১’ সিরিজের গল্পটি ২০৫১ সালের বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট নিয়ে। যার অনেকটাই ফ্যান্টাসি। মানে জনসংখ্যা বাড়তে বাড়তে দেশের এমন পরিস্থিতি হবে, তখন একটা আইন হবে। যে আইনে লেখা থাকবে, কোনো দম্পতি সন্তান নিতে চাইলে সেই পরিবারের একজনকে মারা যেতে হবে। মানে একটি মৃত্যুর বিপরীতে একটি নবজাতক। গল্পে দেখা যাবে প্রিসিলা এক যুবতী, যে কিনা ভালোবেসে বিয়ে করেছে রাসেলকে। রাসেলের মা আর ছোট ভাই আছে। যদিও ছোট ভাই আর তার বউয়ের সঙ্গে রাসেলের মা বসবাস করেন। সালটা ২০৫০। ইতিমধ্যে ২০৩৫ সালে প্রণীত হওয়া মানব প্রজনন নিয়ন্ত্রণ আইন কার্যকর হয়েছে। তাই এই শহরে ভালোবাসা এখনো টিকে থাকলেও মা কিংবা বাবা হওয়ার শখ-আহ্লাদটা মোটামুটি মিটে গেছে। তবু, প্রিসিলা স্বপ্ন দেখে, সে মা হবে। ছোট্ট একটা সন্তানও উপহার দেবে রাসেলকে ভালোবাসার প্রতিদানস্বরূপ। কিন্তু কীভাবে? রাসেলের তো বাবা নেই, আর অচিরেই মায়ের মৃত্যুরও সম্ভাবনা নেই। অবশ্য আরেকটা উপায় আছে, ক্যান্সার ও অন্যান্য প্রাণঘাতী রোগে আক্রান্ত গরিব বয়স্ক মানুষকে উচ্চমূল্যে কিনতে পাওয়া যায়। কিন্তু তাদের সেই সামর্থ্য নেই। দুজনের বেতন মিলে কোনোভাবে সংসার চলে। সঞ্চয়ের জন্য অবশিষ্ট আর কিছুই থাকে না। প্রিসিলা এক মহাসংকটে পড়েছে।
সম্পাদক : জে.এ কাজল খান
স্বত্ত্ব: দৈনিক বিজয়ের কণ্ঠ (প্রিন্ট ভার্সন)
০১৭১৮৩২৩২৩৯
Design and developed by syltech