ঢাকা ৫ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৮:৪৭ অপরাহ্ণ, জুন ৫, ২০২৪
এম এ ওয়াহিদ সোয়েব
পিচঢালাই উঠে গিয়ে জালালপুর থেকে মোগলাবাজর সড়কের অবস্থা আগে থেকেই খারাপ ছিল। বৃষ্টি শুরু হওয়ার পর এগুলোর অবস্থা আরও শোচনীয় হয়েছে। দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় এগুলোর এই করুণ দশা হয়েছে। এতে এসব সড়ক দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। এ অবস্থায় তাঁরা দ্রুত সড়কগুলো সংস্কার করার দাবি জানিয়েছেন। স্থানীয় লোকজন জানান,জালালপুর বাজার থেকে মানিক বাদশা সহ মোগলাবাজার পর্যন্ত,সমস্ত রাস্তায় একই অবস্থা বিরাজমান।
এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন ১০-১৫ হাজার মানুষ চলাচল করেন। দক্ষিণ সুরমা উপজেলায় যাওয়ার প্রধান সড়ক এটি। গত মঙ্গলবার দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায় স্ট্যান্ড মোড় অংশে ছোট-বড় অসংখ্য গর্তে বৃষ্টির পানি জমে আছে। সেখানে হাঁটুসমান বৃষ্টির পানি জমে রয়েছে। প্রায় এক কিলোমিটার সড়কে খানাখন্দ। এই সড়কে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে ইজিবাইক ও রিকশাসহ বিভিন্ন যানবাহন।
অটোরিকশা চালক ফরহাদ মিয়া বলেন প্রায় তিন-চার মাস ধরে গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এর মধ্যে বৃষ্টির পানি আমাদের ভোগান্তি বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। সড়কে থাকা গর্তে পানি জমে ইজিবাইক উল্টে যাওয়ার উপক্রম হয়। এতে মাঝেমধ্যে দুর্ঘটনাও ঘটে।’
সব্দলপুর গ্রামের একজন বাসিন্দা বিজয়ের কন্ঠকে বলেন, বর্ষাকাল শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সড়কটি যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।যাদের গাড়ি আছে তারা ও এগুলোর কাজ করাতেই অবস্থা বেগতিক। বেশি দিন লাগে না টায়ার নষ্ট হয়ে যায় এতে মালিকদের টিকে থাকতে কষ্ট হচ্ছে।কর্তৃপক্ষ এখনো এটি সংস্কারের কোনো উদ্যোগই নেয়নি। এতে প্রতিদিন কমপক্ষে এক হাজার মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। সড়কজুড়ে কাদা আর পানি একাকার হয়ে আছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টিতেই এ সড়কে হাঁটুপানি জমে যায়। যানবাহন তো দূরের কথা পথচারীদের হেঁটে চলার উপায় থাকে না। বৃষ্টির পানি জমে সড়কের অনেক স্থানে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।
সিলেট তিন আসনের সাংসদ- হাবিবুর রহমান এমপি এই রাস্তার কাজের ব্যাপারে গত কয়েকমাস আগে এক অনুষ্ঠানে তিনি আশ্বাস দেন। কিন্তু এখনো কোন কাজ লক্ষ্য করা যায়নি।এলাকার মানুষ কাজের জন্য অপেক্ষায় আছেন।তারা বিশ্বাস করেন,হাবিবুর রাহমান এমপির হাত ধরেই তাদের এলাকা মডেল এলাকায় রুপান্তরিত হবে।
সম্পাদক : জে.এ কাজল খান
স্বত্ত্ব: দৈনিক বিজয়ের কণ্ঠ (প্রিন্ট ভার্সন)
০১৭১৮৩২৩২৩৯
Design and developed by syltech