ঢাকা ২রা এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৯শে চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৫:৪৬ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৩০, ২০২৪
এম.এ.ওয়াহিদ সোয়েব
সিলেটের সুরমা নদী শহরকে ভাগ করেছে দুটি অংশে। এক পাশে শহরের উত্তর অংশ, অন্য পাশে দক্ষিণ অংশ। সম্প্রতি শীত মৌসুম শুরুর পর সুরমা নদীর নাব্যতা কমেছে। চর জেগেছে বিভিন্ন অংশে। শুষ্ক সুরমা নদীর চর এখন ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। বিশেষ করে নদীর উত্তর পাড় এখন ময়লায় ঠাসা। নগরের অভ্যন্তরে সুরমা নদীর বিভিন্ন অংশে এমন চিত্রই দেখা গেছে। উত্তরের তুলনায় সুরমা নদীর দক্ষিণ অংশে অপেক্ষাকৃত ময়লা-আবর্জনা কম দেখা গেছে।
পরিবেশকর্মীরা বলছেন, সরকারিভাবে পলিথিন ব্যাগ নিষিদ্ধের নির্দেশ জারি হলেও সেটি কার্যকর হয়নি। বিভিন্ন ধরনের পলিথিন ব্যাগই দূষণ করছে সুরমা নদীকে। এ জন্য জনসাধারণকে সচেতন হওয়ার পাশাপাশি নদীকে ভাগাড়ে রূপান্তর থেকে রক্ষায় শহরের অংশে সিটি করপোরেশনের কার্যকর ভূমিকা প্রয়োজন।
সিলেট সুরমা নদীর উত্তর পাড়ের মেন্দিবাগ, মাছিমপুর, ছড়ারপাড়, কালীঘাট, চাঁদনীঘাট, কাজির বাজার, শেখঘাট, কানিশাইল এলাকায় সুরমা নদীর উত্তর পাড়ে ময়লা-আবর্জনায় ঠাসা।
সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মোহাম্মদ একলিম আবদীন বলেন, সিটি করপোরেশনের একার পক্ষে শহরকে এবং নদীর তীর, ঘাট কিংবা পাড় পরিচ্ছন্ন করা সম্ভব নয় সিলেট অপেক্ষকৃত কম জনবল নিয়ে নিয়মিত পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। নদীর পাড় ময়লা-আবর্জনামুক্ত করতে সিটি করপোরেশনের পাশাপাশি অন্যান্য বিভাগের সহযোগিতা এবং নগরের বাসিন্দাদের সচেতনতা প্রয়োজন।
কাজির বাজার অংশে সুরমা নদীর ওপর একটি সেতু রয়েছে। সেতুর পিলার ঘিরেও বেশ কিছু পলিথিনের ব্যাগ ময়লা-আবর্জনা ভরে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকতে দেখা গেছে। একই চিত্র নগরের কালীঘাট, তোপখানা এলাকায়ও। নদীর পাড়ে ময়লার স্তূপে কলার কান্দা থেকে শুরু করে কর্কশিট, প্লাস্টিকের বোতল, বিভিন্ন খাদ্যপণ্যের খালি পলিথিনের প্যাকেট, নারকেল, সুপারির বাকল, পরিত্যক্ত বস্তাসহ বিভিন্ন ময়লা-আবর্জনা ফেলা হয়েছে।
নগরের কালীঘাট এলাকায় পথচারী সাবেল আহমদ বলেন, ময়লা-আবর্জনা ফেলে নদীর পাড়ের পরিবেশ নষ্ট করা হচ্ছে। ময়লা-আবর্জনা পেলে নদীটির নাব্যতা কমেছে এতে নদীটিতে পানির ধারণক্ষমতা কমে প্রতিবছর শহরে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে।
সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ বলেন, জনসাধারণের সচেতনতার পাশাপাশি এ ব্যাপারে সব বিভাগের উদ্যোগী হওয়া প্রয়োজন। প্রয়োজনে জরিমানার ব্যবস্থা চালু করা যেতে পারে। সিলেট সিটি করপোরেশন এ বিষয়ে পাউবোর সহায়তা চাইলে তারা সেটি করতে প্রস্তুত রয়েছে।
সম্পাদক : জে.এ কাজল খান
স্বত্ত্ব: দৈনিক বিজয়ের কণ্ঠ (প্রিন্ট ভার্সন)
০১৭১৮৩২৩২৩৯
Design and developed by syltech