নিজস্ব প্রতিবেদক
আদালতে তোলার সময় গণপিটুনির শিকার হয়েছেন বালাগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম গৌরীপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আমির হোসেন নুরু। ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সায়েম আহমদ সুহেল হত্যা মামলায় গ্রেপ্তারের পর তাকে পুলিশি প্রহরায় আদালতে নিয়ে আসা হলে তার উপর হামলা হয়।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে সিলেটের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবনের সামনে এ ঘটনা ঘটে। আসামীকে রক্ষা করতে গিয়ে কর্তব্যরত একজন পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে পুলিশ নুরুকে আদালত প্রাঙ্গণে নিয়ে এলে তার ওপর অতর্কিত হামলা হয়। আদালত চত্বর ও বারান্দায় তাকে কয়েকজন কিল-ঘুষি মারতে থাকেন। এ সময় পুলিশ তাদের বাধা দেয়। হামলায় তার নাক দিয়ে রক্ত বের হতে থাকে।
সিলেট আদালতের পুলিশ পরিদর্শক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘আসামীকে আদালতে হাজির করার আগেই হামলা হয়। আগে থেকে কোন নিরাপত্তা হুমকি থাকলে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা রাখা যেতো কিন্তু সাধারণ আসামী হিসেবেই আদালতে নিয়ে আসার পর হামলা হয়। তখন কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যরা আসামী রক্ষায় চেষ্টা করেন।’
তিনি জানান, আহত অবস্থায় আসামীকে আদালতে প্রেরণ করা যায় না। তাই দ্রুত তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে আদালতে হাজির করা হবে।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সিলেট নগরীর মীরের ময়দান বাংলাদেশ বেতারের কেন্দ্রের সামনের সড়ক থেকে আমির হুসেন নুরুকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)-৯ এর একটি দল। পরে রাত সাড়ে ৮ টায় বালাগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-৩ আসনের অন্তর্ভুক্ত বালাগঞ্জের পশ্চিম গৌরীপুর ইউনিয়নের আজিজপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোটকেন্দ্রে জাল ভোট প্রদানে বাঁধা প্রদান করায় উপজেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সায়েম আহমদ সুহেলকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
পরবর্তীতে নিহত সায়েম আহমদ সুহেলের চাচাতো ভাই পশ্চিম গৌরীপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান লুৎফুর রহমান বাদি হয়ে ৫ জনের নামোল্লেখ করে ও ২৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে সিআর মামলা (নং ০২/২০১৯) দায়ের করেন।