কৃষক দল নেতা মুজিব হত্যা মামলার বাদীকে হত্যার হুমকি

প্রকাশিত: ৮:৫২ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২৫

কৃষক দল নেতা মুজিব হত্যা মামলার বাদীকে হত্যার হুমকি

নিজস্ব প্রতিবেদক, গোলাপগঞ্জ
গোলাপগঞ্জে হত্যা মামলার এক বাদীকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী ও হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভাদেশ্বর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও কৃষক দলের সাবেক সভাপতি মরহুম মুজিবুর রহমানের বড় ভাই মুহিবুর রহমান এই অভিযোগ করেছেন। তিনি মুজিব হত্যা মামলার বাদী হওয়ায় তাকে এমন হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে গণমাধ্যমকে দাবি করেছেন।
মঙ্গলবার রাতে উপজেলার ভাদেশ্বর ইউনিয়নের গোয়াসপুর এলাকায় নিজ বাড়িতে সাংবাদিকদের সাথে লিখিত বক্তব্যে তিনি মামলার বিবাদী আইন উদ্দিন গং এবং নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালের পিপি মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উত্থাপন করেন। এ সময় তিনি হত্যার হুমকি ও মিথ্যা মামলার হয়রানী থেকে মুক্তি এবং নিরাপত্তা চান প্রশাসনের কাছে।
লিখিত বক্তব্যে মুহিবুর রহমান বলেন, গত ১১ নভেম্বর ২০২২ ইং তারিখে ৮ নং ওয়ার্ড বিএনপি সাংগঠনিক সম্পাদক ও ৮নং ওয়ার্ড কৃষকদলের সভাপতি আমার ছোট ভাই মুজিবুর রহমান বিবাদী কয়েস উদ্দিনের ছেলে আইন উদ্দিন, আবিদ আহমদ, মৃত আব্দুল কাইয়ুম ভেড়া মিয়ার ছেলে ফজির উদ্দিন, নাছির উদ্দিন, মক্তার আলীর ছেলে শামীম আহমদ, মাহতাব উদ্দিনের ছেলে আবু বকর, কয়েস আহমদের স্ত্রী নাজমা বেগম ও আঞ্জব আলীর ছেলে মন্টু মিয়া গংদের দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রের আঘাতে আমার ছেলে আজাদ মিয়া, এবাদুর রহমান, আমার ভাই সজিবুর রহমান, ফয়জুর রহমান ও মুজিবুর রহমান মারাত্মক আহত হন। পরে মুজিবুর রহমান সিলেট ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। এর পর গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করি (মামলা নং- ১৩/তাং ১৩-১১-২২) ।
মামলার পর থেকে বিবাদী আইন উদ্দিন গং এবং তাদের আত্মীয় নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালের বর্তমান পিপি অ্যাডভোকেট মুজিবুর রহমান আদালত প্রাঙ্গনসহ বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দিন। আমি হুমকিতে ভয় পেয়ে সিলেট কোতয়ালী মডেল থানায় ৩০/০১/২০২৪ ইং তারিখে একটি সাধারণ ডায়েরি করি(জিডি নং-৩০৯২, তাং- ৩১/০১/২০২৪)। জিডির প্রেক্ষিতে ঘটনার সত্যতা পেয়ে মামলাটি বর্তমানে সিলেট আদালতে বিচারাধীন আছে।
তিনি আরও অভিযোগ করে বলেন, শুধু এ মামলা নয়। আমাকে গোলাপগঞ্জ মডেল থানা সহ সিলেট বিজ্ঞ আদালতসহ ৪টি মামলায় ফাঁসানো হয়। এর মধ্যে গোলাপগঞ্জ সি. আর মামলা (দ্রুত বিচার) নং-৩৭/২০২২ ইং, গোলাপগঞ্জ নির্বাহী বিবিধ মোং নং- ২৬/২০২৪ইং, গোলাপগঞ্জ সিআর ৪৪/২৪, এ তিনটি মামলা মিথ্যা প্রমাণ হওয়ায়, তা সিলেট মহামান্য আদালত কতৃক খারিজ করা হয়। বাকি ১টি মামলা চলমান আছে।
লিখিত বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, ভাই হারানো কষ্টে এখনও কেঁদে কেঁদে রাত পোহাতে হয়। তারপরও বিবাদী কয়েস আহমেদের ছেলে মামলার আসামী আবিদ ও মাহতাব উদ্দিনের ছেলে আবু বকর সোস্যাল মিডিয়া টিকটকে চাইনিস কোড়াল দিয়ে প্রাণে মারার হুমকি ও যা লোকমুখ প্রায়ই বলে বেড়াচ্ছে।
লিখিত বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, বিবাদী আইন উদ্দিন গং এবং তাদের আত্বীয় নারী শিশু ট্রাইবুনালের বর্তমান পিপি এডভোকেট মুজিবুর রহমান, আবিদ ও মাহতাব উদ্দিনের ছেলে আবু বকর যে কোন সময় আমাকে বা আমার পরিবারের সদস্যদের প্রাণে হত্যা কিংবা মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করতে পারে। এজন্য তিনি মিথ্যা মামলা ও হয়রানি থেকে বাঁচতে প্রশাসনের হস্থক্ষেপ চান।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বশেষ ২৪ খবর