ঢাকা ৯ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৫শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৬:১০ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১, ২০১৯
বিজয়ের কন্ঠ ডেস্ক :: টাকার প্রলোভনে প্রলুব্ধ হয়ে একজন মেধাবী শিক্ষার্থীকে তুহিন হত্যাকান্ডে জড়িত করে অযথা হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে এসএমপির মোগলাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকতার হোসেনের বিরুদ্ধে।
ঐ শিক্ষার্থীর মা রাসনা বেগম রবিবার দুপুরে সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন। পাশাপাশি তার মেধাবী ছেলের উজ্জল ভবিষ্যৎ নষ্ট করার জন্যও তিনি ওসি আকতারকে দায়ী করেন। তিনি বলেন, প্রায় প্রতিটি রাতে পুলিশ তাদের বাড়িতে হানা দিয়ে অযথা হয়রানী করছে। মোগলাবাজার থানাধীন রেঙ্গা আশুগঞ্জবাজারের মির্জানগর গ্রামের মানসিক রোগী দুলু মিয়ার স্ত্রী রাসনা বেগম সংবাদ সম্মেলনে বলেন, গত ২৪ জুলাই সিলেট সরকারি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ছাত্র তুহিন হত্যাকান্ডের পর যে মামলা দায়ের করা হয়, ঐ মামলায় টিটিসির দশম শ্রেণির ১ নম্বর ছাত্র আমার ছেলে সায়েম আহমদ সুমনকে ৯ নম্বর আসামি করা হয়েছে। অথচ আমার ছেলে সেদিন টিটিসিতে উপস্থিত ছিলনা। তার পিতার অসুস্থতার কারণে সে কয়েকদিন আগ থেকেই নিজের বাড়িতে ছিল। প্রকৃত সত্য হচ্ছে, সেদিন ক্লাসে উপস্থিত ছিল সাঈম আহমদ (রোল নম্বর ১৩)। তিনি বলেন, ওসি আকতার হোসেন অবৈধ অর্থের বিনিময়ে সাঈম আহমদের পরিবর্তে আমার ছেলে সায়েম আহমদ সুমনকে আসামী করেছেন। ছেলের ভবিষ্যত চিন্তা করে আমি সেদিনই তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দিতে টিটিসির অধ্যক্ষের মাধ্যমে মোগলাবাজার থানার ওসির কাছে লিখিত আবেদন করি। তিনি আমার আবেদনকে পাত্তা না দিয়ে সুমনকে পুলিশে হস্তান্তর করতে বলেন। ছেলেকে রক্ষা করতে আমি অধ্যক্ষের কাছে আবেদন করলে তিনি ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। কমিটি তদন্ত করে ২৬ জুলাই যে রিপোর্ট দিয়েছেন তাতে পরিস্কার উল্লেখ করা হয়েছে যে সায়েম ঘটনার দিনতো বটে, এর আগে ১৭ জুলাই থেকেই ক্লাসে অনুপস্থিত ছিল। ভিডিও ফুটেজেও তাকে কোথাও দেখা যায়নি বলে তদন্ত কমিটি উল্লেখ করেছে। এরপর টিটিসির অধ্যক্ষ ওয়ালিউল্লা মোল্লা মোগলাবাজার থানার ওসি আকতার হোসেন বরাবর প্রতিবেদন প্রদান করেন। প্রতিবেদনে পরিস্কার উল্লেখ করেন ‘তানভির আহমদ তুহিন হত্যাকান্ডের মামলা থেকে সায়েম আহমদ সুমনকে অব্যাহতি প্রদান করার জন্য, যেহেতু তদন্ত সায়েম আহমদ সুমনের ঘটনার দিন কোথাও তার উপস্থিতি পাওয়া যায়নি, সেহেতু সে ঘটনার সাথে জড়িত নয়। অতএব তাকে মামলার এজাহার থেকে অব্যাহতি প্রদান করার অনুরোধ করা হলো।’ সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ওসি আকতার হোসেন এই মামলাকে পুঁজি করে টাকা কামানোর ধান্দা করছেন। সিসিটিভি ফুটেজ ও বা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের তদন্ত প্রতিবেদনকে পাত্তা দিচ্ছেন না ব্যক্তিগতভাবে লাভবান হওয়ার আশায়। আমার নিরপরাধ ছেলের ভবিষ্যৎ নষ্ট করতে তিনি সদা তৎপর। দুর্ণীতি স্বজনপ্রীতি আর টাকার নেশায় তিনি এখন অন্ধ। সব শেষে তিনি ওসি আকতারের মুখোশ উন্মোচন করতে সাংবাদিক তথা সমাজের সচেতন মানুষের সাহায্য চেয়েছেন। পাশাপাশি তিনি প্রকৃত খুনীদের গ্রেফতার, তার ছেলে সায়েম আহমদ সুমনকে পুলিশী হয়রানী ও মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়ে নিয়মিত ক্লাসে উপস্থিত হওয়ার ও প্রতিটি পরীক্ষায় অংশগ্রহনের সুযোগ দেওয়ার দাবি এবং ওসি আকতারের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহনের আহ্বান জানান।
সম্পাদক : জে.এ কাজল খান
স্বত্ত্ব: দৈনিক বিজয়ের কণ্ঠ (প্রিন্ট ভার্সন)
০১৭১৮৩২৩২৩৯
Design and developed by syltech