স্বপন দেব, মৌলভীবাজার: বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় আগমনের একশত বছরপূর্তি উপলক্ষে সোমবার কুলাউড়ার স্বাধীনতা স্মৃতিসৌধ মাঠে দিনব্যাপি নানা অনুষ্টানের মধ্যদিয়ে দিবসটি উদযাপন করেন শতবর্ষ পূর্তি পরিষদ। সকাল ১০টায় উৎসব প্রাঙ্গনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন সাবেক সাংসদ বীরমুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুল মতিন এবং উৎসব উদযাপন পরিষদের আহবায়ক সাবেক অতিরিক্ত সচিব(বানিজ্য) মো. আব্দুর রউফ উৎসবের পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের শুভসূচনা করা হয়।

.
দিনের শুরুতে সকালে কুলাউড়া রেলওয়ে জংশন ষ্টেশন প্রাঙ্গনে স্মারকস্তম্ভ উম্মোচন করেন উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক মোঃ আব্দুর রউফ। পরে সকাল সাড়ে ১০টায় বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায় কুলাউড়ার ইউএনও এটিএম ফরহাদ চৌধুরী ও কুলাউড়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ সাদেক কাওসার দস্তগীরসহ উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ,সাংবাদিক, স্কুল কলেজের শিক্ষক শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেনীপেশার লোকজন অংশ গ্রহন করেন।
আয়োজকরা জানান, ১৯১৩ সালে প্রথম বাঙ্গালী হিসেবে কবিগুরু রবীন্দ্র নাথ ঠাকুর সাহিত্যে নোবেল পুরুস্কার পাওয়ার পর ১৯১৯ সালের ৪ নভেম্বর একটি স্পেশাল ট্রেনযোগে সিলেটে এসেছিলেন। সেসময় রাত্রি অধিক হওয়ায় কবিগুরু যাত্রা বিরতি করে কুলাউড়া রেলওয়ে জংশনের রেলওয়ে রেষ্ট হাউসে রাত্রি যাপন করেছিলেন। সেসময় স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ বিশ্বকবি রবীন্দ্র নাথ ঠাকুরের সাথে রেস্ট হাউসে সাক্ষাৎ করেছিলেন। তাই কবিগুরুর পদধুলোয় ধন্য কুলাউড়ায় শতবর্ষ পরে এ দিবসটি সাড়ম্বরে পালন করা হচ্ছে।

.
পরে উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক ঢাকাস্থ কুলাউড়া উপজেলা সমিতির সভাপতি মোঃ আব্দুর রউফ এর সভাপতিত্বে ও উদযাপন পরিষদের সদস্য সচিব কুলাউড়া সরকারী কলেজের উপাধ্যক্ষ আব্দুল হান্নান ও যুগ্ম-সচিব বরমচাল স্কুল এন্ড কলেজের সহকারী অধ্যাপক সিএম জয়নাল আবেদীনের সঞ্চালনায় উদ্বোধনী সভায় বক্তব্য রাখেন কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাবেক এমপি মোঃ আব্দুল মতিন, সাধারন সম্পাদক মোঃ রফিকুল ইসলাম রেনু, যুগ্ম-সম্পাদক আব্দুল মোক্তাদির তোফায়েল,জাসদ নেতা গিয়াস উদ্দিন আহমদ,সিপিবি নেতা খন্দকার লুৎফুর রহমান,উপজেলা বিএনপি সহ-সভাপতি রেদওয়ান খান, সম্পাদক বদরুজ্জামান সজল,ঢাকাস্থ জালালাবাদ সমিতির যুগ্ম-সম্পাদক ফাহিমা খানম চৌধুরী মনি প্রমুখ।
রবীন্দ্র উৎসব উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব উপাধ্যক্ষ আব্দুল হান্নান জানান, রবিরাগ অনুষ্ঠানে সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রেজোয়ানা চৌধুরী বন্যা রবীন্দ্র সংগীত পরিবেশন করবেন।