ঢাকা ৯ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৫শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৫:২৩ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৩, ২০১৮
নিজস্ব প্রতিবেদন
সিলেট নগরের বহুল পরিচিত পাঁচভাই রেস্টুরেন্টে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে বিপুল পরিমাণ জবাই করা অতিথি ও পরিযায়ী পাখি জব্দ করা হয়েছে। এসময় রেস্টুরেন্টটির দুইজন ব্যবস্থাপককে আটক করা হয়।
মঙ্গলবার বেলা ২টায় যৌথভাবে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে খাবারের সাথে অতিথি পাখি অবৈধভাবে বিক্রি ও সংরণের অভিযোগে পাখিগুলো জব্দসহ আব্দুল আওয়াল ও কাউসার আহমদ নামের দুই ব্যবস্থাপককে আটক করা হয়েছে। পরে বিকেল ৪টায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে জেলা প্রশাসনের এনডিসি মো. হেলাল চৌধুরী’র ভ্রাম্যমাণ আদালত তাদেরকে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়ে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) সিলেটের নেতৃবৃন্দদের সাথে নিয়ে অভিযানে নামে র্যাব-৯, সিলেট জেলা প্রশাসন এবং বনবিভাগ।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন ও অংশ নেন- সিলেট জেলা প্রশাসনের এনডিসি মো. হেলাল চৌধুরী, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাহাঙ্গীর আলম, র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-৯ এর সিনিয়র এএসপি মাঈন উদ্দিন চৌধুরী, বনবিভাগের রেঞ্জার মো. দেলোয়ার রহমান।
অভিযানে সহযোগিতা করেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন-বাপা সিলেটের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল করিম কিম, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ছামির মাহমুদ ও বাপার সংগঠক বদর চৌধুরী।
অভিযানকালে পাঁচভাই রেস্টুরেন্টের ফ্রিজে সংরণ করা অবস্থায় ২৫টি (অতিথি পাখি) গাঙ টিটি, ২৯টি সাদা ও কানি বক ও ৮টি বালিহাস এবং রান্না করা আরো ৩৯টি পাখির গোস্ত জব্দ করা হয়।
আটক দুই ব্যবস্থাপককে কোতোয়ালি থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। আটক দু’জনসহ রেস্টুরেন্ট মালিকের বিরুদ্ধে থানায় নিয়মিত মামলা রুজু করা হবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসনের এনডিসি মো. হেলাল চৌধুরী। তিনি বলেন, এরা অতিথি পাখি জবাই ও রান্না করে বিক্রি করে বন্যপ্রাণি সংরণে অপরাধ করেছেন। তাই তাদের বিরুদ্ধে শুধু জরিমানা করে ছেড়ে দেয়া যায় না। থানায় মামলা হবে এবং বিচারিক প্রক্রিয়ায় দায়িদের বিরুদ্ধে শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।
এ বিষয়ে বাপা সিলেটের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল করিম কিম জানান, পাঁচভাই রেস্টুরেন্টে অবৈধভাবে পাখি বিক্রির অভিযোগটি দীর্ঘ দিনের। গত প্রায় ৮/১০ দিন আগে বিষয়টি তিনি বনবিভাগকে জানান। কিন্তু আইনি কিছু বিধিনিষেধের কারণে এতে সম্পৃক্ত হয় র্যাব-৯ ও জেলা প্রশাসন এবং সর্বশেষ আজ ক্রেতা সেজে পাখি রেস্টুরেন্টে আছে নিশ্চিত হয়ে প্রশাসনকে নিয়ে অভিযান চালানো হয়।
কিম বলেন, সিলেটের একটা জনপ্রিয় রেস্টুরেন্ট যদি এভাবে অবৈধ পাখি বিক্রি করে এবং সাধারণ মানুষও তা গ্রহণ করে তাহলে তো পাখি শিকারীরা উৎসাহিত হবে। এ ব্যাপারে আমাদের আরও সচেতন হওয়া উচিত।
সম্পাদক : জে.এ কাজল খান
স্বত্ত্ব: দৈনিক বিজয়ের কণ্ঠ (প্রিন্ট ভার্সন)
০১৭১৮৩২৩২৩৯
Design and developed by syltech