ঢাকা ২৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৭:৫৩ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৫, ২০২০
নিজস্ব প্রতিবেদন : সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে পাথরখেকোদের ধ্বংসলীলা থেকে রেহাই পায়নি মসজিদ-মন্দির ও সরকারের সড়ক ও জনপথের রাস্তা। এবার পাথরখেকোদের ছোবলে বাজার, খেলার মাঠ ও স্কুল-সহ সরকারী বেসরকারী বিভিন্ন স্থাপনা। উপজেলার কালাইরাগ এলাকায় বোমামেশিন ফেলোডারসহ যন্ত্রদাবন দিয়ে গভীর থেকে পাথর উত্তোলন শুরু করেছে স্থানীয় পাথরখেকোরা। তারা মানছে না এমপি-মন্ত্রীর কোন নিষেধাজ্ঞা। স্থানীয় প্রশাসনের নাকের ডগায় পরিবেশ বিরোধী এ ধ্বংসলীলা অব্যাহত রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। বেআইনী পাথর উত্তোলনের ফলে এর আগে ধ্বংস হয়েছে কালাইরাগের বিভন্ন বসতবাড়ি। বাস্তুহারা হয়েছে অনেক মানুষ। নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায় গ্রামের প্রাচীন মসজিদ, হিন্দুমন্দির ও এলজিইিডি’র রাস্তা। ক্ষতি সাধন হয় প্রায় একশ’ কোটি টাকার। প্রকৃতি ও পরিবেশের এহেন বিপর্যয় দেখে স্থানীয় এমপি ও বর্তমান প্রবাসী কল্যান মন্ত্রী ইমরান আহমদ নিজেই এ এলাকা থেকে পাথর উত্তোরনে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। ফলে কিছুদিন পাথর উত্তোলন বন্ধ থাকে।
গত প্রায় একমাস ধরে আবার কারাইরাগ এলাকায় কোয়ারি খনন শুরু করে দিয়েছে পাথরখেকোরা। কালাইরাগ গ্রামের পাথরখেকো অখিল চন্দ্র শীল, জয়নাল মেম্বার, রইছ উদ্দীন, আমির উদ্দীন, লতিফ মিয়া, কুদ্দুছ মিয়া, সাচ্চা মিয়াসহ কিছু লোক কোয়ারী খননের নামে কালাইরাগ মৌজার বস্তি খনন করে ধ্বংস করে দিচ্ছে সবকিছু। শত শত বোমামেশিন ও ফেলোডার দিয়ে পাথর উত্তোলন করায় নদীগর্ভে বিলীন হতে শুরু করেছে অবশিষ্ট বসতবাড়ি-সহ বিভিন্ন স্থাপনা। বিলীন হওয়ার পথে কালাইরাগ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ফুটবল খেলার মাঠ ও কালাইরাগ বাজার। পাশপাশি বৃদ্ধি পাচ্ছে নদীর ব্যাস। এমতাবস্থায় এলাকার জনমনে আবারো ছড়িয়ে পড়েছে ভাঙ্গণাতংক । এলাকাবাসীর দাবি ও প্রতিবাদ সত্বেও তাদের সহয় সম্পদ ও বাড়িঘর এবং সরকারী বেসরকারী স্থাপনা রক্ষায় কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না স্থানীয় প্রশাসন। অজ্ঞাতকারনে ব্যবস্থা না নেয়ায় পাথরখেকোরা আরো বেপরোয় হয়ে রাতদিন তাদের ধ্বংসলীলা অব্যাহত রেখেছে বলে স্থানীরা অভিযোগ করেছেন। কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ সজলকুমার কানু বলেন থানার কোথাও বোমামেশিন কিংবা পরিবেশবিধ্বংসী পাথর উত্তোলন নেই। তা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন আচার্য্য জানান,কারাইরাগ-সহ যেখানেই বেআইনী পাথর উত্তোলন করা হচ্ছে এর বিরুদ্ধে প্রত্যহ অভিযান অব্যাহত রয়েছে। প্রতিদিনই দুই থেকে আড়াইঘন্টা অভিযান করে তাকে বাসায় ফিরতে হয় বলে জানান তিনি।
সম্পাদক : জে.এ কাজল খান
স্বত্ত্ব: দৈনিক বিজয়ের কণ্ঠ (প্রিন্ট ভার্সন)
০১৭১৮৩২৩২৩৯
Design and developed by syltech