ঢাকা ১৪ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৩১শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১২:২৬ পূর্বাহ্ণ, জুন ১৭, ২০২১
নিজস্ব প্রতিবেদক
কোম্পানীগঞ্জের শীর্ষ পাথর ও বালুখোকো মোহাম্মদ আলী। তার বাড়ি উপজেলার বুরদে গ্রামে। অবৈধ ও চোরাই পথে উত্তোলিত পাথর ও বালু বহনে রয়েছে তার একটি পরিবহণ কোম্পানী। নাম বশির নৌযান পরিবহণ। ধলাই নদী উৎমা কোয়ারি, শাহ আরেফিন টিলা, বাংকার প্রভৃতি এলাকায় অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনের মূল হোতা এই মোহাম্মদ আলী। র্যাব ও পুলিশের হাতে একাধিকবার ধরা পড়া মোহাম্মদ আলী সরকারি মহাল থেকে অবৈধ পাথর ও বালু উত্তোলনে শীর্ষে অবস্থান তার। উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশের সাথে রয়েছে তার গভীর সখ্যতা। তাই তার অবৈধ পাথর ও বালু ব্যবসা সবসময় থেকে যায় ধরাছোঁয়ার বাইরে বাইরে। ঘটনাচক্রে তার কোন পাথরবাহী নৌযান ও গাড়ি ধরা পড়লে রাতের আঁধারে ছাড়িয়ে নেন তিনি। এভাবে দীর্ঘ ক’বছর ধরে কোম্পানীগঞ্জের পাথর ও বালুমহালে তান্ডব চালিয়ে যাচ্ছে তার নামের মোম্মদ আলী চক্র। তার এ বালু ও পাথরখেকো চক্রের বিরুদ্ধে অ্যাকশনে যেতে পারে না প্রশাসন। অজ্ঞাত কারণে ও খুঁটির জোরে একহাত করে নিয়েছেন জেলা ও উপজেলা প্রশাসন।
রবিবার কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশের একটি অভিযানিক দল ধলাই নদীর ইজারা বহির্ভুত এলাকায় অভিযান চালায়। অভিযানকালে চুরি করে বালু নদী থেকে উত্তোলনকালে ব্যবহৃত ৫টি নৌযান আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। ভুলক্রমে আটক এই ৫টি নৌযানের মধ্যে একটি ধরা পড়ে যায় পাথরখেকো মুহাম্মদ আলীর মালিকানাধীন বশির নৌপরিবহণের একটি নৌযান।
অন্যগুলো হচ্ছে- সৌদিয়া নৌ পরিবহন-৪, মাহদি নৌ পরিবহন, তেলিখাল এক্সপ্রেস-১, জুয়েল নৌ পরিবহন-৫। কিন্তু রাত পোহালে দেখা যায় নদীঘাটে আটক বশির পরিবহনের নৌযানটি নেই।
অভিযোগ পাওয়া গেছে, বশির পরিবহণের মালিক মোহাম্মদ আলী প্রভাব খাটিয়ে রাতের আঁধারে তার কোম্পানীর নৌযানটি ছাড়িয়ে নিয়ে যান। ফলে এ নিয়ে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা জুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। পরদিন সোমবার থানা পুলিশ আরো ৬টি নৌকাসহ ৭ জনকে আটক করলেও অবৈধ বালুভর্তি মোহাম্মদ আলীর কোন নৌযাপন আটকাতে পারেনি।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি কেএম নজরুল ইসলাম কাজল সোমবার ৬টি নৌকাসহ ৭ জনকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে রোববারের আটক ৫টি নৌযানের মধ্যে মুহাম্মদ আলীর মালিকানা বশির পরিবহনের নৌযানটি ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে কোন বক্তব্য দিতে রাজি হননি তিনি।
স্থানীয় সূত্রে প্রকাশ, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা জুড়ে বশির পরিবহণ কোম্পানীর পরিচালক মোহাম্মদ আলীর রয়েছে একক আধিপত্য। রয়েছে থানার অসাধু পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসনের অসাধু কর্মকর্তাদের সাথে গভীর সখ্যতা। মোহাম্মদ আলী শুধু কোম্পানীগঞ্জের নয়, তিনি হচ্ছেন সিলেটের শীর্ষ পাথরখেকো। তাকে ঘিরে অনেক কথা অনেক অভিযোগ কোম্পানীগঞ্জের পাথর ও বালুমহাল নিয়ে। মোহাম্মদ আলী একাধিকবার র্যাব ও পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন। কিন্তু প্রতিবারই অল্প সময়ের মধ্যে ছাড়া পেয়ে যান। ফলে ধলাই নদী থেকে তার বালুু ও পাথর চুরি অব্যাহত রয়েছে। উপজেলাবাসীর প্রশ্ন সরকারি পাথরখেকো ও বালুচোর মোহাম্মদ আলীর খুঁটির জোর কোথায় ?
এ বিষয়ে মুহাম্মদ আলীর বক্তব্য নিতে বুধবার সন্ধ্যায় বারবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিজয়ের কণ্ঠ অফিসের মোবাইল ফোন রিসিভ করেননি।
পাথরখেকো মোহাম্মদ আলীর বিষয়ে দৈনিক বিজয়ের কণ্ঠ টিমের অনুসন্ধান অব্যাহত রয়েছে। অচিরেই ধারাবাহিক বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ পাবে।
সম্পাদক : জে.এ কাজল খান
স্বত্ত্ব: দৈনিক বিজয়ের কণ্ঠ (প্রিন্ট ভার্সন)
০১৭১৮৩২৩২৩৯
Design and developed by syltech