নৌঘাঁটি বিএনএস শেখ মুজিবের কমিশনিং করলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত: ৫:০১ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৫, ২০১৮

নৌঘাঁটি বিএনএস শেখ মুজিবের কমিশনিং করলেন প্রধানমন্ত্রী

ডেস্ক প্রতিবেদন
বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ নৌঘাঁটি হিসেবে ‘বিএনএস শেখ মুজিব’ এর কমিশনিং করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সোমবার রাজধানীর খিলতে এলাকায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে এই প্রথম কোনো নৌঘাঁটির কমিশনিং করা হলো।

তিনি একই সঙ্গে অনুষ্ঠানস্থল থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ঢাকা, খুলনা ও চট্টগ্রামে নৌবাহিনীর ২২টি বহুতল ভবন উদ্বোধন করেন এবং সাভারে বিএন টাউনশিপের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ভিডিও কনফারেন্সে স্থানীয় এরিয়া কমান্ডার, নৌবাহিনী কর্মকর্তা এবং তাদের সহধর্মিনীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
সাভারে চীনা কোম্পানি এই বিএন টাউনশিপ নির্মাণ করবে। এর আওতায় ১০টি ২৭ তলা এবং ১২টি ২৬ তলা অত্যাধুনিক সুবিধা সম্বলিত আবাসিক ভবন নির্মিত হবে।

প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ক্রমবিকাশ এবং জাতি গঠনে তাদের ঐতিহাসিক ভূমিকা নিয়ে প্রকাশিত ‘বাংলাদেশ নেভি ইন দি টুয়েন্টি ফাষ্ট সেঞ্চুরি’ শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন।

প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল নিজাম উদ্দিন আহমেদসহ ঊর্ধ্বতন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
বিএনএস শেখ মুজিবের কমান্ডিং অফিসার মইনুদ্দিন মালিক প্রধানমন্ত্রীর নিকট থেকে কমিশনিং ফরমান গ্রহণ করেন। এর আগে প্রধানমন্ত্রী এই নতুর নৌঘাঁটিতে পৌঁছলে তাকে রাষ্ট্রীয় সালাম জানানো হয় এবং এ সময় জাতীয় সংগীত বাজানো হয়।

প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে বলেন, বানৌজা শেখ মুজিব ঘাঁটি নিজস্ব অপারেশনাল কর্মকাণ্ডের পাোপাশি জনকল্যাণ এবং জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলায় বিশেষ ভূমিকা পালন করবে।

তিনি বলেন, ঢাকা নৌঅঞ্চলে নৌবাহিনী সদরদপ্তর, একটি ছোট ঘাঁটি ব্যতিত আর কোনো স্থাপনা আগে ছিল না। কাজেই ২০০৯ থেকে ২০১৮ এই সময়ের মধ্যে এই নৌবাহিনীকে বিভিন্নভাবে আমরা শাক্তিশালী করেছি এবং আন্তর্জাতিকমানের উপযুক্ত করেছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি নৌবাহিনীর সদস্যদেরকে বলবো, নৌবাহিনীতে দীর্ঘদিন ধরে মাসম্পন্ন প্রশিণ স্থাপনা, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং নাবিকদের আবাসিক ভবন ছিল না। তাদের তীব্র সংকটের মধ্যদিয়ে দিনযাপন করতে হয়েছে। আজকে যে সমস্যাটির কিছুটা হলেও সমাধান হয়েছে। ঢাকা, চট্টগ্রাম এবং খুলনা নৌ-অঞ্চলে আমরা এ সংক্রান্ত প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছি।

পুনরায় নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করতে পারলে নৌবাহিনীকে আরো শক্তিশালী করে গড়ে তোলা তার সরকারের পরিকল্পনায় রয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘ভবিষ্যতে ইনশাল্লাহ আবার যদি আমরা আসতে পারি নিশ্চয়ই আমরা এই নৌবাহিনীকে আরো শক্তিশালী করে গড়ে তুলবো, সে ল্য আমাদের রয়েছে।’

তিনি নৌবাহিনীর সদস্যদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমরা চাই যারা আমার দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের জন্য কাজ করবেন, যারা স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের অতন্ত্র প্রহরী, তারা এবং তাদের পরিবারবর্গ সুন্দরভাবে বসবাস করবেন, সুন্দরভাবে জীবনযাপন করবেন এবং আন্তরিকতার সঙ্গে দেশের জন্য কাজ করবেন-সেটাই আমাদের ল্য,’ যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, জাতির পিতা চেয়েছিলেন একটি আধুনিক উন্নত বাংলাদেশ গড়তে এবং একটি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের উপযোগী সসশ্র বাহিনী গড়ে তুলতে। তাই তিনি সসশ্র বাহিনীর একটা প্রতিরা নীতিমালা তৈরি করে দিয়ে গিয়েছিলেন।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বশেষ ২৪ খবর