ঢাকা ২৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৪:৩০ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৬, ২০১৮
ডেস্ক প্রতিবেদন
সংলাপে সমাধান না আসলে আঙ্গুল বাঁকা করা হবে। শেখ হাসিনাকে এখনি গদি ছাড়তে হবে। এই অবৈধ সরকার নির্বাচনটাকেও খেয়ে ফেলেছে। শেখ হাসিনাকে সংসদ ভেঙে নিরপে সরকারের অধীনে নির্বাচন ও খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ সাত দফা দাবি মেনে নিতেই হবে, তা না হলে কঠিন পরিণতি ভোগ করতে হবে।
মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের জনসভায় এসব কথা বলেন বক্তারা।
বক্তারা বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তি প্যারোলে নয়, নিঃশর্ত দিতে হবে। খালেদা জিয়াকে কারাগারে নির্বাচন হবে না। সংলাপ চলবে খালেদার আবার প্রধানমন্ত্রী হবেন। খালেদা জিয়ার মুক্তি প্যারোলে নয়, নিঃশর্ত দিতে হবে। খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে নির্বাচন হবে না। সংলাপ চলবে খালেদার আবার প্রধানমন্ত্রী হবেন।
তারা আরও বলেন, দুর্নীতি, লুন্ঠন, অনিরাপত্তা, অস্থিতিশীলতা, সন্ত্রাস, আইনের শাসন ও ন্যায় বিচারের অনুপস্থিতিতে মানুষ আজ উৎকন্ঠিত, অস্থির ও জর্জরিত। জনগণের ভোটাধিকার লুন্ঠিত। জনপ্রতিনিধিত্বহীন সরকার বল প্রয়োগের মাধ্যমে মতায় বসে আছে। ফলে দেশে গণতন্ত্র নেই। দুর্নীতি ও লুন্ঠনের মাধ্যমে মতাসীনরা জাতীয় সম্পদ কুগিত ও দেশের সম্পদ বাইরে পাচার করছে।
বক্তারা বলেন, চারদিকে শুধু লুটপাট আর খাওয়া। ব্যাংক থেকে কোটি কোটি টাকা লুট করা হয়েছে। এই অবৈধ সরকার নির্বাচনটাকেও খেয়ে ফেলেছে। শেখ হাসিনাকে দাবি মেনে নিতেই হবে, তা না হলে কঠিন পরিণতি ভোগ করতে হবে।
সরকারের পদত্যাগ, নিরপে সরকারের অধীনে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন, খালেদা জিয়াসহ সব রাজবন্দির নিঃশর্ত মুক্তি এবং সাত দফা দাবি আদায়ের ল্েয এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
এর মধ্যেই সমাবেশ স্থল জনসমুদ্রে পরিণত হয়। সকাল থেকে দলে দলে ঐক্যফ্রন্টের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশ করেন। বিশেষ করে বিএনপি নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে মুখর হয়ে উঠেছে সোহরাওয়ার্দী এলাকা। তাদের হাতে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, সিনিয়র ভাইস-চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ছবি সম্বলিত ফেস্টুনও দেখা যায়। দেখা যায় খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিভিন্ন স্লোগানযুক্ত ব্যানারও।
রাজধানীসহ ঢাকার আশাপাশের জেলা থেকে আগত নেতাকর্মীরা খন্ড খন্ড মিছিল ও নানা স্লোগানে সমাবেশস্থলে জড়ো হন। তারা স্লোগানে স্লোগানে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি জানাচ্ছেন। ‘বন্দি আছে আমার মা, ঘরে ফিরে যাবো না’, ‘হামলা করে আন্দোলন- বন্ধ করা যাবে না’- ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা গেছে বিএনপি নেতাকর্মীদের।
দুপুর একটার পর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান নেতাকর্মীদের ভিড়ে পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এর ফলে আশপাশে প্রতিটি সড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়।
জনসভায় সভাপতিত্ব করেন-বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন। প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখবেন জেএসডি সভাপতি আসম আবদুর রব। সমাবেশে বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের কেন্দ্রীয় নেতারা, বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের নেতারা বক্তব্য দেবেন। জনসভা শুরু হওয়ার পর ইতোমধ্যে বক্তব্য রাখেন আফরোজা আব্বাস, শফিউল বারী বাবু, রাজিব আহসান প্রমুখ।
দাবি না মানলে পরদিন রোডমার্চ :
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র ও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বুধবার সংলাপ সফল না হলে এবং দাবি না মানলে পরদিন রাজশাহী অভিমুখে রোডমার্চ করা হবে। পরে একে একে খুলনা, বরিশাল অভিমুখেও রোডমার্চ করা হবে।
সংলাপে দাবি না মেনে তফসিল ঘোষণা করা হলে নির্বাচন কমিশন ভবন অভিমুখে পদযাত্রা করা হবে বলে জানান তিনি।
সম্পাদক : জে.এ কাজল খান
স্বত্ত্ব: দৈনিক বিজয়ের কণ্ঠ (প্রিন্ট ভার্সন)
০১৭১৮৩২৩২৩৯
Design and developed by syltech