ঢাকা ২রা জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৭:০৮ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১৭, ২০২৪
কোম্পানীগঞ্জ প্রতিনিধি
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যথাযথ সম্মাননা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা স্বজনরা। সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) মহান বিজয় দিবসে বরাবরের ন্যায় অনুষ্ঠানস্থলে আসেন প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যরা। অনুষ্ঠান শুরুর প্রাক্কালে স্বজনরা ভেতরে ঢুকতে চাইলে প্রশাসনের পক্ষ হতে কড়াকড়ি আরোপ হয়। এতে বৃহৎ একটি অংশ বাহিরে অবস্থান নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন।
বিষয়টি নজরে আসে বীর মুক্তিযোদ্ধা এক সন্তান কমান্ড মহিউদ্দিন আল মামুনের। তিনি স্থানীয় এক সংবাদকর্মীকে বিষয়টি অবহিত করলে ভিডিওসহ স্বজনদের বক্তব্য তুলে ধরেন। তাতে টনক নড়ে প্রশাসনের। তড়িঘড়ি করে উপেক্ষিত স্বজনদের ভেতরে বসানোর ব্যবস্থা করেন উপজেলা প্রশাসন।
এবিষয়ে স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান মহিউদ্দিন আল মামুন বলেন- ভিডিও প্রচারের পর স্বজনদের ভেতরে বসালেও যেই লাউ সেই কদু। অতীতে প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের প্রতি আর্থিক অনুদানসহ কম্বল, চাদর সরকারীভাবে প্রশাসন দিলেও এবার উপেক্ষিত করা হয়েছে। অথচ বিজয় দিবসের প্রস্তুতি সভায় অতীতর মতো বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবার্ধনাসহ প্রয়াত পরিবারের সদস্যদের প্রতি আর্থিক অনুদান, চাদর, কম্বল বহাল রাখার দাবি তুলে ধরেন। বাস্তবে এবার শুধু মুক্তিযুদ্ধাদের নামমাত্র সংবর্ধনার পাশাপাশি কিঞ্চিৎ আর্থিক অনুদান হাতে তুলে দিয়ে প্রয়াত মুক্তিযুদ্ধা পরিবারদের উপেক্ষিত করা হয়েছে। বিষয়টি দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেন মুক্তিযুদ্ধা সন্তান মহিউদ্দিন আল মামুন।
ভিডিও প্রচারকারী স্থানীয় সংবাদকর্মী আনোয়ার হোসেন সুমন জানান, রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে বাহিরে ও বারান্দায় থাকা ৭ মৃত মুক্তিযোদ্ধাদের স্ত্রী ও ১ জন মেয়ে অভিযোগ করে বলে তাদেরকে ভিতর থেকে বের করে দিয়ে আর ঢুকতে দিচ্ছেন না। এজন্য কয়েকজন বাড়ি ফিরে যায়। পরে তিনি ভিডিও করে ফেসবুকে প্রচার করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন মুক্তিযোদ্ধা বলেন, শুধুমাত্র আমরাকে (জীবিত মুক্তিযোদ্ধা) সংবর্ধনায় জনপ্রতি ২০০ টাকা ও দুপুরের নাস্তা একটি সিঙ্গাড়া ও একটি জিলাপি দিয়েছেন। কিন্তু মৃত মুক্তিযোদ্ধা পরিবার সদস্যদের কোনো টাকা পয়সা দেননি।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবিদা সুলতানার সরকারি ফোনে বারবার ফোন দিলেও প্রতিবেদকের ফোন রিসিভ করেননি।
তবে যুগান্তর প্রতিনিধিকে দেয়া বক্তব্যে তিনি বলেন, বিষয়টি অনাকাঙ্খিত। এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। উনারা যখন দাঁড়িয়ে ছিলেন, তখন আমরা অভিবাদন মঞ্চে ছিলাম। গেট খুলে দেওয়ার পর উনারা ভিতরে গিয়েছেন।
কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিওতে মুক্তিযুদ্ধা পরিবারের সদস্যরা উপজেলা অডিটোরিয়াম বারান্দায় দাঁড়ানো অবস্থায় এক সংবাদকর্মীকে লাজুক লাজুক উপেক্ষিত হওয়ার বিবরণ দিয়েছেন যা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।
সম্পাদক : জে.এ কাজল খান
স্বত্ত্ব: দৈনিক বিজয়ের কণ্ঠ (প্রিন্ট ভার্সন)
০১৭১৮৩২৩২৩৯
Design and developed by syltech