ঢাকা ১০ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৬শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৭:৫১ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৯, ২০২৫
জৈন্তাপুর প্রতিনিধি
শীতের সময়ে সারা দেশে জেঁকে বসেছে শীত। উত্তরা ঠান্ডা হাওয়া দিনকে দিন বেড়েই প্রচন্ড কুয়াশায় কনকনে শীতে কাঁপছে সারা দেশ। এতে চরম বিপাকে পড়েছে গরীব, অসহায় নিম্নবিত্ত ছিন্নমূল শীতার্ত মানুষেরা। ঠান্ডার বস্ত্র না থাকায় অনেকেই অসুস্থ হয়ে যাওয়ার পথে।
এমত অবস্থায় গরীব ও ছিন্নমূল মানুষের পাশে দাঁড়াতে গভীর রাতে আরামের ঘুম ছেড়ে কম্বল নিয়ে মানুষের দ্বারে দ্বারে সাধারণ মানুষের বেশে ছুটছেন জৈন্তাপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে সালিক রুমাইয়া।
বুধবার (৮ জানুয়ারি) গভীর রাতে হঠাৎ করে জৈন্তাপুরের বিভিন্ন রাস্তার অলিতে গলিতে অসহায় শীতার্ত ছিন্নমূল মানুষের মাঝে ইউএনও ও তার পরিবারের সবাই মিলে নিজ হাতে কম্বল বিতরণ করতে দেখা গেছে।
জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে সালিক রুমাইয়া বলেন, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শীতার্ত অসহায় হতদরিদ্র এবং প্রকৃত ছিন্নমূল মানুষের মধ্যে তাদের শীতের কষ্ট লাগবের জন্য তাদের কাছে গিয়ে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, ব্যক্তিগতভাবে আমার পরিবারের সবাই এরকম মানবিক কাজে সবসময় নিয়োজিত থাকেন, তাই সবাই মিলে রাতে কম্বল বিতরণ করতে রাস্তায় রাস্তায় বের হয়েছি।
কম্বল পাওয়া একাধিক শীতার্ত অসহায় ছিন্নমূল ব্যক্তি বলেন, হঠাৎ গভীর রাতে একটি দামি গাড়ি দেখতে পাই। একজন মহিলা ছোট মেয়ে ও ছেলেসহ গাড়ি থেকে নেমে আমাদের দিকে আসছেন, আমরা প্রথমে ভয় পেয়ে অবাক দৃষ্টিতে চেয়ে থাকলাম, পরে দেখতে পেলাম তিনি আর কেউ নন আমাদের উপজেলার ইউএনও উম্মে সালিক রুমাইয়া। কাছে এসেই একান্ত আপন মনে আমাদের সাথে ভালোবাসার সহিত খোঁজখবর নিলেন।
বর্তমানে শীত আগের তুলনায় এখন অনেক বেড়ে গেছে। গত দুই দিন পর্যন্ত তেমন একটা সূর্যের আলো দেখা যায়নি। প্রচন্ড কুয়াশায় ভরা কন কনে ঠান্ডার হিমেল হাওয়ার কারণে শীত বস্ত্র না থাকায় আমরা অনেকেই অসুস্থতায় ভূগছি। তাই এই কনকনে শীতের মধ্যে কম্বল পেয়ে আমরা মহা খুশি। অনেকে আবেগ আপ্লুত হয়ে কান্না ভরা গলায় বলেন, বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে এত গভীর রাতে ইউএনও উনার পরিবারের সবাই আমাদের মতো অসহায়দেরকে কম্বল দিয়েছেন।
আমাদের অনেক উপকার হয়েছে। অন্তত এই ফ্রি কম্বল পাওয়ায় শীত থেকে নিজেদেরকে আরেকটু ভালোভাবে রক্ষা করতে পারব। পাশাপাশি এমন একটি মহৎ উদ্যোগে বর্তমান সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
সম্পাদক : জে.এ কাজল খান
স্বত্ত্ব: দৈনিক বিজয়ের কণ্ঠ (প্রিন্ট ভার্সন)
০১৭১৮৩২৩২৩৯
Design and developed by syltech