ঢাকা ৭ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৩শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৬:১১ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৫, ২০২৫
মো. আব্দুল শহীদ, সুনামগঞ্জ
দুই উপজেলার মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত মরা সুরমা। এই মরা সুরমা নদী দিয়ে প্রবাহিত হয় পানি। এই পানি দিয়ে আশপাশের হাওর বিলের বোরো ফসল আবাদ হয়। কিন্তু প্রতিবছর স্থানীয় প্রভাবশালী চক্রের সদস্যদের ফিসারী স্থাপনের কারণে অন্তত: ছয় শত একর জমি আবাদ করতে পানি সংকটে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন কৃষকেরা। তাই এই মরা সুরমা খননসহ ফিসারী উচ্ছেদের দাবি স্থানীয় কৃষকদের।
স্থানীয় কৃষকেরা জানান, সদর উপজেলার কাঠইর ইউনিয়নে এবং শান্তিগঞ্জ উপজেলার জয়কলস ইউনিয়নে এই মরা সুরমা অবস্থিত। এই মরা সুরমার মধ্যে প্রভাবশালী চক্রের ফিসারী এবং গ্রামের মানুষেরও ফিসারী রয়েছে। ফিসারী স্থাপন করায় বিভিন্ন স্থানে আড়াআড়ি বাঁধ দিয়ে পানি আটকে রাখা হয়েছে। এতে অন্তত: ছয় শত একর বোরো ফসল আবাদে পানি সংকটে ভুগছেন কৃষকেরা। এই মরা সুরমায় ফিসারী উচ্ছেদ এবং খননের দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের।
স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান, জয়কলস ইউনিয়নের জয়কলস গ্রামের বাসিন্দা আনোয়ার আলীর ছেলে সোহেল মিয়া ও সিজিল মিয়া, খোদা বক্সের ছেলে আওয়ামী লীগ নেতা শাহীন মিয়া, তার আপন ভাই শিরিন মিয়া, সিদ্দিকুর রহমান গংরা মরা সুরমায় বিভিন্ন স্থানে বাঁধ দিয়ে পানি চলাচল রোধ করছে। এতে বিভিন্ন স্থানে পানি সংকট সৃষ্টি হয়েছে কৃষি কাজে।
সদর উপজেলার লক্ষণশ্রী ইউনিয়নের মদনপুর গ্রামের কৃষক সেলিম রেজা আলী, ব্রাহ্মণগাঁওয়ের কৃষক আবু বকর, লাল মিয়া, আব্দুল হাশিম, বাদল মিয়া, জসীম উদ্দিন, কাঠইর ইউপি’র জগজীবনপুরের কৃষক খেলো মিয়া, সাদক আলী, দিলোয়ার হোসেন, মুক্তার আলীসহ অনেকে জানান, আওয়ামী লীগ সরকারের সময় শাহীন মিয়াসহ অনেকে স্থানীয় মানুষকে হামলা-মামলার ভয় দেখিয়ে তাদের দখলে মরা সুরমা নিয়ে যায়। এতে দেখা দেয় কৃষি কাজে পানি সংকটসহ নানা সমস্যা। এসব সমস্যা দূরীকরণে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেন এলাকাবাসী।
কাঠইর গ্রামের কৃষক দুলাল আহমদ বলেন, প্রশাসনে কয়েক বার চেষ্টা করেও সমাধানে আনতে পারেনি। ওই সময় ক্ষমতায় ছিল আওয়ামী লীগ সরকার। এখন সরকারীভাবে মরা সুরমা উদ্ধারের চেষ্টা করলে সফলতা আসবে। আমরা প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করি।
কাঠইর ইউপি সদস্য আজিম আলী বলেন, এই মরা সুরমা উদ্ধার করে খননের ব্যবস্থা করলে গ্রামের বাসিন্দারা উপকৃত হবেন।
কাঠইর ইউপি চেয়ারম্যান মুফতি সামছুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে খোঁজ নিয়ে দেখছি।
সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইসমাইল রহমান বলেন, অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সম্পাদক : জে.এ কাজল খান
স্বত্ত্ব: দৈনিক বিজয়ের কণ্ঠ (প্রিন্ট ভার্সন)
০১৭১৮৩২৩২৩৯
Design and developed by syltech