ঢাকা ১২ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৮শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৪:৩৬ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৩, ২০১৯
নির্বাচন কমিশনের হাতে স্মারকলিপি দিচ্ছেন ঐক্যফ্রন্ট নেতৃবৃন্দ।
ডেস্ক প্রতিবেদন
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন জাতির সঙ্গে নিষ্ঠুর উপহাস (মকারি) বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র ও বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘এবারের নির্বাচন জাতির সঙ্গে মকারি (উপহাস), ক্রুয়েল মকারি। জাতিকে অন্ধকারের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।’
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত নির্বাচন ভবনে এ মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল। এ সময় নির্বাচনের ফল বাতিল ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে পুনরায় নির্বাচনের দাবিতে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) স্মারকলিপি দেয় ঐক্যফ্রন্ট।
তাদের অভিযোগ, অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গ, ভোটারদের সঙ্গে প্রতারণা, ভোট জালিয়াতি, সরকারি প্রশাসন তথা রাষ্ট্রযন্ত্রকে নজিরবিহীনভাবে জনগণের বিরুদ্ধে ব্যবহার এবং নির্বাচন কমিশনের সর্বাত্মক পপাতমূলক কার্যকলাপের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয়েছে একাদশ জাতীয় নির্বাচন।
ঐক্যফ্রন্টের দাবি মানা না হলে পরবর্তী কর্মসূচি কী হবে জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, এটা পরে জানবেন। এটা তো প্রমাণই হলো ২০১৪ সালে নির্বাচন বর্জন করেছিলাম, সেটাই সঠিক। দলীয় সরকারের অধীনে কখনই সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপে নির্বাচন হবে না। অনতিবলম্বে নির্বাচন বাতিল করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জোর দাবি জানিয়েছি।
ইতোমধ্যে নির্বাচনের গেজেট প্রকাশ হয়েছে, শপথও হয়েছে। এ রকম অবস্থায় সরকারের কাছে না গিয়ে ইসিতে কেন আসল ঐক্যফ্রন্ট -এমন প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ইসিই তো নির্বাচন করেছে, তাদের কাছে আমাদের দাবি জানালাম। এরপরে আমরা অন্যান্য ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
স্মারকলিপি দিতে আসলেও কমিশনের সঙ্গে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের কোনো কথা হয়নি। তারা শুধু স্মারকলিপি জমা দিয়েছে। এ সময় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা ও ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ উপস্থিত ছিলেন।
ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীরা শপথ নেবে কি-না, জানতে চাইলে ফখরুল বলেন, ‘শপথের প্রশ্ন আসে কোত্থেকে। আমরা তো ফলাফলই প্রত্যাখ্যান করেছি।’
ঐক্যফ্রন্টের এই প্রতিনিধি দলের মধ্যে আরও ছিলেন বিএনপির একাদশ জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, বাংলাদেশের জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আব্দুর রব, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু প্রমুখ।
ভোট কারচুপির মামলা করবে ঐক্যফ্রন্ট :
এর আগে নির্বাচনে অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ এনে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলা করা হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট কায়সার কামাল।
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার (৩ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে প্রার্থীদের এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। দুপুর ১২টায় শুরু হওয়া এ বৈঠক চলে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত। বৈঠক থেকে বের হয়ে নেত্রকোনা-১ আসন থেকে ধানের শীষের প্রার্থী অ্যাডভোকেট কায়সার কামাল সংবাদমাধ্যকে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।
ঐক্যফ্রন্টের যারা নির্বাচিত হয়েছেন তাদের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়েছে কি না -এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ফ্রন্টের সিনিয়র নেতারা সিদ্ধান্ত নেবেন।
গত ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে মহাজোট পেয়েছে ২৮৮টি আসন। ধানের শীষ প্রতীকে ঐক্যফ্রন্ট পেয়েছে ৭টি (বিএনপি ৫টি এবং গণফোরাম ২টি) ও ৩ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন।
সম্পাদক : জে.এ কাজল খান
স্বত্ত্ব: দৈনিক বিজয়ের কণ্ঠ (প্রিন্ট ভার্সন)
০১৭১৮৩২৩২৩৯
Design and developed by syltech