ঢাকা ১২ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৮শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৪:৫১ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৩, ২০১৯
নাইকো দুর্নীতি মামলার শুনানিতে পুরনো ঢাকার সাবেক কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত এজলাসে আনা হয় কারান্তরীণ বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে।
ডেস্ক প্রতিবেদন
নাইকো দুর্নীতি মামলার শুনানিতে পুরনো ঢাকার সাবেক কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত এজলাসে আনা হয় কারান্তরীণ বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে। আদালতের কার্যক্রম শেষে সদ্য সমাপ্ত জাতীয় নির্বাচন নিয়ে বিএনপিনেত্রীকে প্রশ্ন করেন এক সাংবাদিক। এ সময় খালেদা বলেন, ‘এগুলো নিয়ে আমার কিছু বলার নেই।’
এর আগে আদালতে খালেদা বলেন, ‘এই আদালতে আমি আর আসবো না। এখানে আমার আইনজীবীদের বসার জায়গা নাই। এভাবে যদি ট্রায়াল চলে তাহলে আমি আর আসতে পারবো না। আমাকে যা সাজা দেওয়ার দিয়ে দেন। এখানে ওপেন ট্রায়াল হচ্ছে না।’
বৃহস্পতিবার দুপুরে নাইকো দুর্নীতি মামলায় পুরনো ঢাকার সাবেক কেন্দ্রীয় কারাগারে অস্থায়ী বিশেষ জজ-৯ আদালতের এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমানের আদালতে এসব কথা বলেন বিএনপিনেত্রী।
খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয় দুপুর ১২টা ১২ মিনিটে। বিচারক এজলাসে আসেন ১২টা ১৫ মিনিটে। আদালতে আনা হলে খালেদা জিয়া বলেন, ‘এখানে এতো লোকজন কেন? পুলিশ কমাতে বলেন। এতো পুলিশ থাকলে আমার আইনজীবীরা কীভাবে আসবে। জজ সাহেবের সামনে এতো পুলিশ কেমনে থাকে।’
তখন বিচারক বলেন, ‘আগামী তারিখে আরও চেয়ার দেওয়ার ব্যবস্থা করব।’ এরপর মওদুদ আহমেদ বলেন, ‘আমাদের এখানে নাম রেজিস্ট্রি করে ঢুকতে হয়। এটা কিভাবে পাবলিক ট্রায়াল হলো?’ বিচারক বলেন, ‘আগে এখানে বিচার হয়েছে। তখন বলেন নাই কেন।’
উত্তরে মওদুদ বলেন, ‘আগের বিচারককে বলেছি। তিনি উচ্চমহলে কথা বলবেন বলে জানিয়েছিলেন।’ এরপর বিচারক বলেন, ‘ঠিক আছে আমিও জানাবো।’
আদালতের কার্যক্রম শেষে খালেদা জিয়া তার আইনজীবী মওদুদ আহমেদ ও মাহবুব উদ্দিন খোকনের সঙ্গে প্রায় ১০ মিনিট কথা বলেন। এরপর তাকে হুইল চেয়ারে করে নিয়ে যাওয়ার সময় এক সাংবাদিক নির্বাচন নিয়ে কিছু বলার আছে কিনা তা জিজ্ঞাসা করেন। এ সময় খালেদা বলেন, ‘এগুলো নিয়ে আমার কিছু বলার নেই।’
এরপর খালেদা জিয়াকে কারাগারে নিয়ে যাওয়ার জন্য পুলিশ হুইল চেয়ারে নেওয়ার চেষ্টা করলে তিনি ওই পুলিশ কর্মকর্তার ওপর প্তি হয়ে বলেন, ‘এই আস্তে টান দাও। দেখছো না আমি কথা বলছি। আমার পা ভাঙলে তোমাকেই দায় নিতে হবে।’
২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রাজধানীর তেজগাঁও থানায় নাইকো মামলাটি দায়ের করে দুদক। ২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে এ মামলায় অভিযোগপত্র দেয় দুদক।
এই মামলায় খালেদার সঙ্গে সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী একেএম মোশাররফ হোসেন, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, বাপেক্সের সাবেক সচিব শফিউর রহমান, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, বাগেরহাটের সাবেক সাংসদ এম এ এইচ সেলিম এবং নাইকোর দণি এশিয়া-বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ আসামি।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, মতার অপব্যবহার করে তিনটি গ্যাসত্রে পরিত্যক্ত দেখিয়ে কানাডীয় কোম্পানি নাইকোর হাতে ‘তুলে দেওয়ার’ মাধ্যমে আসামিরা রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার তি করেছেন।
সম্পাদক : জে.এ কাজল খান
স্বত্ত্ব: দৈনিক বিজয়ের কণ্ঠ (প্রিন্ট ভার্সন)
০১৭১৮৩২৩২৩৯
Design and developed by syltech