সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. আসলাম উদ্দিন বলেছেন, সুবিধাবঞ্চিত ও প্রতিবন্ধী শিশুদের শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি ও প্রাথমিক শিক্ষা সম্প্রসারণে আলোঘর প্রকল্পর অবদান অপরিসীম। এ প্রকল্পটি বন্ধ হয়ে গেলে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের সুবিধা বঞ্চিত শিশু এবং অবহেলিত দূর্গম অঞ্চলের অভিভাবকগণ তাদের সন্তানদের আলোর মুখ দেখাতে বঞ্চিত হবেন। এই আলোঘরের কার্যক্রমকে টিকিয়ে রাখতে কি কি করণীয় তাই করতে হবে। এর জন্য জিও এনজিও ও সরকারি পর্যায়ে সমন্বয় সভা ও পরার্মশর দরকার।

তিনি ৩০ জানুয়ারি বুধবার ১০টায় সদর উপজেলার খাদিমনগর কারিতাস সিলেট অঞ্চলিক কার্যালয়ের হল রুমে আলোঘর প্রকল্পর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও কারিতাস ফ্রান্সের আর্থিক সহায়তায় কারিতাস বাংলাদেশ সিলেট অঞ্চলের ১১টি উপজেলায় সুবিধাবঞ্চিত ও প্রতিবন্ধী শিশুদের শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি ও প্রাথমিক শিক্ষা সম্প্রসারণে প্রকল্প গ্রহণ করে আলোঘর।

কারিতাস সিলেটের অঞ্চলিক পরিচালক যোয়াকিম গমেজের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রার্থমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ ওবায়দুল্লাহ, সিলেটের উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর সহকারী পরিচালক নজরুল ইসলাম ভূইয়াসহ সিলেটের এনজিও কর্মকর্তাগণ।

উল্লেখ্য, কারিতাস বাংলাদেশ পরিচালিত আলোঘর প্রকল্পটি ২০১২ সাল থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মতো সিলেট, মৌলভীবাজার, সুনামগঞ্জ জেলার ১১টি উপজেলায় ২০১৮ সালের ৩০ জানুয়ারী পর্যন্ত শিক্ষাকার্যক্রম চালিয়ে আসছিল। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।