চায়না মেশিনের গায়ে ‘মেইড ইন জার্মানি’ স্টিকার
খাদিমপাড়া ৩১ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে দুদকের অভিযানে ধরা পড়ল অভিনব প্রতারণা

প্রকাশিত: ৮:৩২ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২০, ২০২৫

<span style='color:#077D05;font-size:19px;'>চায়না মেশিনের গায়ে ‘মেইড ইন জার্মানি’ স্টিকার</span> <br/> খাদিমপাড়া ৩১ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে দুদকের অভিযানে ধরা পড়ল অভিনব প্রতারণা

বিজয়ের কণ্ঠ ডেস্ক
অ্যানেস্থেসিয়া মেশিনটি তৈরি করেছে চায়না কোম্পানী। কিন্তু আমদানি করা হয়েছে জার্মানির তৈরি উল্লেখ করে। মেশিনের গায়ে স্টিকারও লাগানো ‘মেইড ইন জার্মানি’র। এভাবে চায়নার তৈরি মেশিনের গায়ে জার্মানির স্টিকার লাগিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে অতিরিক্ত মূল্য।
সোমবার সকালে সিলেট মহানগরের খাদিমপাড়া ৩১ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে দুদকের অভিযানে অভিনব এমন প্রতারণার বিষয়টি ধরা পড়ে। অভিযানকালে দুদক সদস্যরা চীন থেকে আনা ভ্যাপোরাইজার মেশিনের গায়ে জার্মানির বিখ্যাত ‘হায়ার’ কোম্পানির নকল স্টিকার লাগানোর প্রমাণ পান।
জানা যায়, অস্ত্রোপচারের রোগীকে অজ্ঞান করতে অ্যানেসথেসিয়া এন্ড ভেন্টিলেটর মেশিনে ব্যবহৃত হয় আইসোফ্লুরেন ভ্যাপোরাইজার। দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে এই যন্ত্রটি সরবরাহে প্রতারণার আশ্রয় নেয় রাষ্ট্রীয় সংস্থা ‘ন্যাশনাল ইলেকট্রো মেডিকেল ইকুইপমেন্ট মেইনটেন্যান্স ওয়ার্কশপ অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টার’ (নিমিউ অ্যান্ড টিসি)। সংস্থাটির সাথে যোগসাজশে ওয়ার্কঅর্ডার পাওয়া ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো চায়নার তৈরি মেশিনের গায়ে জার্মানির প্রতিষ্ঠানের স্টিকার লাগিয়ে হাতিয়ে নিয়েছে মোটা অংকের টাকা।
দুদক সূত্র জানায়, দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চীন থেকে আনা ভ্যাপোরাইজারের দাম ৫৮ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ৮০ হাজার টাকা হতে পারে। আর প্রতারণার মাধ্যমে জার্মানির বিখ্যাত একটি কোম্পানির নামের স্টিকার লাগিয়ে একেকটি মেশিনের দাম ধরা হয়েছে ২ লাখ ৫০ হাজার থেকে ৪ লাখ টাকা পর্যন্ত।
দুদক সিলেট অঞ্চলের সহকারী পরিচালক আশরাফ উদ্দিন জানান, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে সিলেটের খাদিমপাড়া ৩১শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে অভিযান চালায় দুদক। অভিযানে চীন থেকে আনা ভ্যাপোরাইজারে জার্মানির স্টিকার লাগিয়ে দুর্নীতির প্রাথমিক প্রমাণ মিলেছে। এ বিষয়ে অধিকতর তদন্তের জন্য কমিশনে রিপোর্ট পাঠানো হবে।
খাদিমপাড়া ৩১শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের জুনিয়র কনসালটেন্ট (গাইনী) ও তত্ত্বাবধায়ক (ভারপ্রাপ্ত) মোছা. ফাতেমা ইয়াছমিন বলেন, ‘নিমিউ এন্ড টিসি যেহেতু সরকারি প্রতিষ্ঠান, তারা এক কোম্পানি বলে আরেক কোম্পানির যন্ত্র দিলে সেই দায় তাদের। তারা যেভাবে দেয় সেভাবেই আমরা গ্রহণ করি।’

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বশেষ ২৪ খবর