অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থনের অঙ্গীকার যুক্তরাষ্ট্রের

প্রকাশিত: ৮:৪৬ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২০, ২০২৫

অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থনের অঙ্গীকার যুক্তরাষ্ট্রের

বিজয়ের কণ্ঠ ডেস্ক
বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের নতুন চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন উন্নয়ন ও সন্ত্রাসবাদ দমনসহ বিভিন্ন ইস্যুতে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি তার দেশের সমর্থনের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন। সোমবার (২০ জানুয়ারি) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এই কথা ব্যক্ত করেন। জ্যাকবসন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসকে বলেন, ‘জাতি হিসেবে আমরা বিভিন্ন ইস্যুতে আপনার সরকারকে সমর্থন দিতে প্রস্তুত।’
এ সময় প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশে চলমান সংস্কার উদ্যোগ, জুলাইয়ের ঘোষণাপত্র সম্পর্কে রাজনৈতিক ঐকমত্য গড়ে তুলতে সরকারের প্রচেষ্টা এবং আগামী সাধারণ নির্বাচনের পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলেন।
জুলাইয়ের ঘোষণাপত্রের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘তিনি আশা করছেন, ফেব্রুয়ারির প্রথম দিকে রাজনৈতিক দলগুলো একটি ঐকমত্যে পৌঁছাবে।’
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমি ঘোষণাপত্র নিয়ে কোনও ভিন্নমতের কথা শুনিনি।’
তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলো সংস্কার প্রস্তাবগুলোতে একবার সম্মত হলে সরকার জুলাই-সনদ তৈরির জন্য তাদের স্বাক্ষর করার জন্য অনুরোধ করবে।’
মার্কিন কূটনীতিককে তিনি বলেন, ‘আমরা জানি না ওই কনটেন্টে অনেক আইটেম থাকবে নাকি অল্প কিছু আইটেম থাকবে। আমাদের যে ভিন্ন মতামত রয়েছে, তাতে এটি একটি কঠিন কাজ। তবে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। চুক্তি স্বাক্ষরিত হলে আমাদের রাজনীতি হবে জুলাই-সনদের ভিত্তিতে।’
মার্কিন চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স কয়েকজন সাংবাদিককে গ্রেফতার এবং ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে কিছু সহিংসতার খবরে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এ সময় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, দেশের সবার জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে তার সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা ও ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে ঢাকার সম্পর্ক, রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের অগ্রগতি এবং মিয়ানমারের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা করেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘বাংলাদেশ সব প্রতিবেশীর সঙ্গে সম্পর্ককে মূল্য দেয়।’ সার্ককে পুনরুজ্জীবিত করে দেশগুলোকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের মতো একটি প্ল্যাটফর্মে রূপান্তরে তার সাম্প্রতিক পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘সার্কের ধারণা এভাবেই এসেছে এবং আমরাই এর সূচনাকারী।’
তিনি রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মানবিক সহায়তা প্রদানের জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে ধন্যবাদ জানান এবং বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রত্যাবাসন এবং মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে বাস্তুচ্যুত মানুষের জন্য একটি নিরাপদ অঞ্চল তৈরির জন্য সমর্থন কামনা করেন।
বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ তুলার আমদানিকারক উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা যুক্তরাষ্ট্রকে আরও পোশাক ও বস্ত্র আমদানির আহ্বান জানান। এ সময় এসডিজি বিষয়ক সিনিয়র সচিব লামিয়া মোরশেদ উপস্থিত ছিলেন।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বশেষ ২৪ খবর